দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ প্রথমেই ডিভাইসটি দেখে যে কারো সাধারণভাবে মনে হবে এটি একটি সায়েন্টিফিক ক্যালকুলেটর। কিন্তু আসলে ডিভাইসটি মূলত এক ধরণের স্ক্যানার ও স্মার্টফোন, যা ব্যবহার করা হচ্ছে পরীক্ষায় নকলের কাজে।
সম্প্রতি হাজী দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের এ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষায় উচ্চ প্রযুক্তির এই জালিয়াতির সন্ধান পাওয়া গেছে। সায়েন্টিফিক ক্যালকুলেটরের সাহায্য নিয়ে এভাবে জালিয়াতি করা আবুল হোসাইন লিটন নামের এক পরীক্ষার্থীকে পুলিশে দেয়া হয়েছে। পরীক্ষা শুরুর ৪০ মিনিটের সময় আবুল হোসাইনের কাছে থাকা সায়েন্টিফিক ক্যালকুলেটরের বিষয়ে সন্দেহ হলে তা পরীক্ষা করে দেখা যায় এতে লাগানো আছে উচ্চ প্রযুক্তির ক্যামেরা এবং স্ক্যানার!
পরে ওই ডিভাইস পরীক্ষা করে দেখা যায় এতে ক্যামেরা, সিমকার্ডসহ স্মার্টফোনের সকল সুবিধা রয়েছে। এতে ধারন করা ছবি তাৎক্ষনিক ইন্টারনেটের সাহায্য নিয়ে চলে যায় বাইরে, সেখান থেকে প্রশ্নের উত্তর আবার চলে আসে আধুনিক সায়েন্টিফিক ক্যালকুলেটরের ডিস্প্লেতে।
এদিকে লিটন জানায় সে ডিভাইসটি একটি চক্রের নিকট থেকে নিজের পরীক্ষায় ব্যবহার করার জন্য কেবল দুই দিনের জন্য ৫০,০০০ টাকায় ভাড়া এনেছে। এই ভাড়ার অর্থ অর্ধেক সে দইতিমধ্যে পরিশোধ করেছে এবং বাদ বাকি টাকা পরীক্ষা শেষে পরিশোধের করা হতো। এছাড়াও লিটন পুলিশকে জানিয়েছে, আধুনিক এই যন্ত্রের উদ্ভাবক চক্রটি বিভিন্ন পরীক্ষার্থীকে আরও ৪৭টি ডিভাইস প্রদান করেছে, যা তারা বিভিন্ন ভর্তি পরীক্ষায় ব্যবহার করেছে, এবং সফল হয়েছে।