দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ হয়তো এমন কথা শুনে অনেকেই বিস্মিত হতে পারেন। কিন্তু আসলেও সত্য। বিশ্বের এমন ৬টি শহর দেখুন যেখানে কোনো গাড়ি নেই।
আমরা সবাই জানি গাড়ির শব্দ এবং ধোঁয়া কিভাবে আমাদের পরিবেশ দূষণ করে। তাই যদি কোনোখানে সেই গাড়ি যদি না থাকে তাহলে সেখানকার পরিবেশটা কেমন হবে একবার ভাবুন! এমন ৬টি শহরের কথা রয়েছে আজকের এই প্রতিবেদনে যে শহরগুলোতে যন্ত্রচালিত কোনো গাড়ি নেই।
মিশিগানের ম্যাকিনাক আইল্যান্ড
মিশিগানের লেক হর্নের ম্যাকিনাক আইল্যান্ড। এখানে স্থায়ীভাবে বসতি গড়েছেন মাত্র ৫শ’ মানুষ। এই শহরের স্থায়ী বসতি ছাড়াও অনেক মানুষ রয়েছে। তবে এসব মানুষের সংখ্যা শুধুমাত্র বৃদ্ধি পায় পর্যটকের জন্য। পর্যটকদের জন্যে হোটেল এবং মোটেলও রয়েছে। কিন্তু সবার জন্যেই একটি সতর্কবাণী টাঙিয়ে দেওয়া রয়েছে- ‘এখানে গাড়ি ঢুকতে পারবে না’। অর্থাৎ এই শহরটি গাড়িমুক্ত একটি শহর।
নিউ ইয়র্কের ফায়ার আইল্যান্ড
অনেকেই জানেন না যে এই শহরের নামটি কিভাবে এসেছে। তবে আগুনের এই শহরটিতে বিরাজ করে এক অভাবনীয় শান্তি। এখানে কোনো গাড়ি নেই। ছোট্ট এই দ্বীপটিতে গাড়ির ধোঁয়াবিহীন এক মনোরম পরিবেশ বিদ্যমান।
নেদারল্যান্ডসের গায়েটহর্ন
এটি আবার এক আশ্চর্য শহর। রাস্তার পরিবর্তে গায়েটহর্নের নরডিক শহরে রয়েছে সরু সরু খাল। অর্থাৎ নৌকায় চলাচলের ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। এটিকে বলা হয় উত্তরের ভেনিস। এখানে কোনো গাড়ির হর্ন, শব্দ কিংবা ধোঁয়া নেই। প্রাকৃতিক পুরো পরিবেশটি এই শহরটিকে যেনো স্বর্গ সৃষ্টি করে রেখেছে। এখানে প্রতিদিন প্রচুর পর্যটক আসেন। পর্যটকরা নৌকায় চড়ে ঘুরে বেড়ান। উপভোগ করেন ধোঁয়া ছাড়া এক মনোরম প্রাকৃতিক পরিবেশ।
গ্রিসের হাইড্রা
এটি একটি দ্বীপ। হাইড্রা পোর্টের মূল শহর। সারোনিক ও আরগোলিক গালফের মধ্যে হাইড্রা অবস্থিত। প্রকৃতপক্ষে এটি একটি ক্লাসিক গ্রিক শহর। এখানে রয়েছে পাহাড়, সমুদ্র এবং পাহাড়ের নিচে সারি সারি বাড়ি। তবে কোনো গাড়ি নেই।
ইতালির ভেনিস
ইতালির ভেনিস শহর। ৫ম অব্দে রোমান সাম্রাজ্যের পতন ঘটেছিল। গাড়িবিহীন শহরের মধ্যে সবচেয়ে বিখ্যাত হলো এই ভেনিস শহর।
জার্মানির ভাওবান
জার্মানির ভাওবান ছোট একটি শহর। এই শহরটিতে কোনো গাড়ি নেই। মূলত এই শহরটি এমনিভাবেই গড়ে তোলা হয়েছে। পরিবেশগত, অর্থনৈতিক ও সামাজিকভাবেও এই শহরটি প্রতিষ্ঠা পেয়েছে।