দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ বিপিএলের সর্বশেষ আসরে সিলেট রয়ালসের হয়ে খেলা জিম্বাবুইয়ান খেলোয়াড় এল্টন চিগুম্বুরা এবং হ্যামিল্টন মাসাকাদজা অভিযোগ করেছেন যে, তারা এখনও তাদের পাওনা টাকার দ্বিতীয় কিস্তি বুঝে পাননি। যদিও আসর শুরু হবার আগে তারা প্রথম কিস্তির টাকা পেয়েছিলেন।
বিপিএলে খেলোয়াড়দের সাথে কন্টাক্ট সই হয়েছিলো এভাবে, আসর শেষ হবার পর ২য় কিস্তি এবং আসর শেষ হবার পরবর্তী ছয়মাসের ভেতর ৩য় কিস্তির টাকা পেয়ে যাবে।
২০১২ আসরে অনিয়মের পর ২০১৩ সালের বিপিএল আসরে বিসিবি নিজেই দায়িত্ব নিয়েছিলো খেলোয়াড়দের যাতে টাকা পুরোপুরি পরিশোধ করে দেয়া হয়। কিন্তু বর্তমান প্রেক্ষিতে বিপিএল সেক্রেটারী ইসমাইল হায়দার মল্লিক সুত্রে জানা গেছে যে, বিসিবি শুধুমাত্র ঢাকা গ্ল্যাডিয়েটরস এবং দুরন্ত রাজশাহীর খেলোয়াড়দের টাকা পুরোপুরি পরিশোধ করেছে।
মল্লিক বলেছেন, “এটা সত্যি যে সাতটি ফ্র্যাঞ্চাইজিদের ভেতর দুটি বাদে বাকী পাঁচটি ফ্র্যাঞ্চাইজির খেলোয়াড়দের টাকা প্রথম কিস্তির ২৫% এর পর আর দেয়া হয়নি। আমাদের আইনজীবীরা পরামর্শ দিয়েছেন লিগ্যাল নোটিসের জন্য ১৫ই মে পর্যন্ত অপেক্ষা করতে। আমরা যদি এর মধ্যে টাকা না পাই তবে আইনগত ব্যবস্থা নিতে বাধ্য হব।”
নিলামে মাসাকাদজা ৩০ হাজার ডলারে বিক্রি হয়েছিলেন সিলেট রয়ালসের কাছে। কিন্তু সে টাকার মাত্র ২৫%ই পেয়েছেন তিনি। সিলেটের হয়ে তিনি ৭ ম্যাচে ১২.৮৫ গড়ে করেছেন ৯০ রান।
“আমি খুবই আনন্দিত ছিলাম যখন আমি নিলামে বিক্রি হয়েছিলাম, টূর্ণামেন্টে অংশগ্রহণের অভিজ্ঞতাও আমি উপভোগ করেছি, কিন্তু ২য় কিস্তির ডলার এখনও পাওনা হয়ে রয়েছে। ফলে সবকিছুই এখন পানসে মনে হচ্ছে। গত ১০ সপ্তাহ ধরে আমি অপেক্ষা করছি পাওনা ডলার পাবার জন্য” বলেছেন মাসাকাদজা।
অপরদিকে চিগুম্বুরাও অধৈর্য্য হয়ে উঠেছেন। অথচ বিপিএলে সিলেটের হয়ে তার পারফরম্যান্স ছিলো দূর্দান্ত। ব্যাট হাতে গড়ে ৪৪.৩৩ রানের পাশাপাশি নিয়েছেন ১৩টি উইকেটও।
চিগুম্বুরা বলেন, “আমি আশা করবো আয়োজকরা বাকী পাওনা আমাদের মিটিয়ে দেবেন, যেভাবে তারা প্রথম কিস্তি পরিশোধ করেছিলেন। আমি ২ মাসেরও বেশী সময় ধরে অপেক্ষা করছি। এটা সত্যিই লজ্জাজনক একটা ব্যাপার, কিন্তু পুরো টূর্ণামেন্টে আমার অসংখ্য ভালো স্মৃতি রয়েছে। তবে আমরা ক্রিকেট ভালোবাসি, সেই সাথে আমাদের উপার্জনের একটা ক্ষেত্রও বটে।”