দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ ভারতে কয়েক বছর ধরে চলছে তীব্র খরা। বিভিন্ন স্থানে পানির তীব্রতা দিনকে দিন বাড়ছে। এমন অবস্থা চলতে থাকলে অদূর ভবিষ্যতে ভারতকে পানি আমদানি করতে হতে পারে!
কয়েক বছর ধরে ভারতে পানির জন্য রাজ্যে রাজ্যে চলছে হাহাকার। নিকটতম উৎস হতে পানি সংগ্রহ করতে কয়েক কিলোমিটার দূরে যেতে হচ্ছে অঞ্চলের বাসিন্দাদের। টাইমস অব ইন্ডিয়ার খবরে বলা হয়েছে, এমন অবস্থা চলতে থাকলে ২০৫০ সাল নাগাদ পানি আমদানি করতে হতে পারে ভারতকে।
ওই প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, ভারতে ভূগর্ভস্থ পানির মজুদ ক্রমান্বয়ে কমে যাচ্ছে। বর্তমান প্রবণতা চলতে থাকলে ২০৫০ সাল নাগাদ দৈনিক ব্যবহারের জন্য একজন ব্যক্তি পানি পাবেন মাত্র ৩ হাজার ১২০ লিটার।
দেশটির কেন্দ্রীয় ভূগর্ভস্থ পানি বোর্ড সিজিডব্লিউবির হিসাব অনুযায়ী, ১৯৫১ সালে দেশটিতে দৈনিক ব্যবহারের জন্য জনপ্রতি পানি ছিল ১৪ হাজার ১৮০ লিটার। ১৯৯১ সালে সেটি কমে অর্ধেকের নিচে নেমে যায়।
২০০১ সালের হিসাবে দেখা যায়, বর্তমানে জনপ্রতি ভূগর্ভস্থ পানির মজুদ কমে দাঁড়িয়েছে ৫ হাজার ১২০ লিটার। অর্থাৎ ১৯৫১ সালের তুলনায় ভূগর্ভস্থ পানির মজুদ কমেছে ৩৫ শতাংশেরও বেশি। ২০২৫ সাল নাগাদ মজুদ কমে দাঁড়াবে ২৫ শতাংশে। ২০৫০ সালে তা ২২ শতাংশে দাঁড়াবে।
প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয় যে, বৃষ্টি কম হওয়া, নদী, হ্রদ এবং কুয়ার পানি সেচকাজে ব্যবহার, সচেতনতার অভাব, সবুজায়ন কমে যাওয়ার কারণে দিনতে দিন ভূগর্ভস্থ পানির মজুদ কমছে বলে মনে কেরছেন বিশেষজ্ঞরা।