দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ দিন যতো গড়াচ্ছে ততোই ইলেকট্রনিক্স সামগ্রীর ব্যবহার বাড়াছে। মোবাইল ফোন এবং ট্যাবের মতো আধুনিক প্রযুক্তি-সুবিধার ইলেকট্রনিক যন্ত্র ব্যবহারের কারণে মানুষ কম বয়সেই বুড়িয়ে যাচ্ছে।
সম্প্রতি ভারতের বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা বলেছেন, আধুনিক প্রযুক্তিপণ্যের ব্যবহার মানুষের শারীরিক ও মানসিক চাপ তৈরি করছে।
বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা বলেছেন, কুঁজো হয়ে কিংবা নতো হয়ে ইলেকট্রনিক পণ্য অধিক সময় ধরে ব্যবহারের কারণে মানুষের ‘টেক নেক’ জাতীয় সমস্যা বেশি দেখা দিচ্ছে। এতে করে মানুষের মুখের ও চোয়ালের চামড়া কুঁচকে এবং ঝুলে যাচ্ছে। সে কারণে অল্প বয়সেই মানুষকে বয়স্ক দেখাচ্ছে।
মুম্বাইভিত্তিক ফর্টিস হাসপাতালের কসমেটিক সার্জন বিনোদ ভিজ বলেছেন, ‘দীর্ঘ সময় ধরে যারা ঝুঁকে স্মার্টফোন, ট্যাবলেট কিংবা কম্পিউটারের মতো যন্ত্র ব্যবহার করেন, তাদের মুখে বলিরেখা দেখা দিচ্ছে। আবার ঝুঁকে মোবাইল ফোন ব্যবহারের কারণে ঘাড় ও কাঁধে ব্যথা হয়। এছাড়াও মাথাব্যথা, ঝিমুনি, হাত-কবজি, কনুইয়ে ব্যথা কিংবা খিঁচুনির মতো সমস্যা দেখা দিতে পারে মানুষের শরীরে।
ভারতের কসমেটিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের সিনিয়র কসমেটিক সার্জন মোহন থমাস বলেছেন, ঘাড়, হাড় এবং ত্বকের ওপর যে নেতিবাচক প্রভাব পড়ছে, মানুষ সহজে তা বুঝতে পারছে না। প্রযুক্তিসংশ্লিষ্ট মানুষগুলোর এ ধরনের সমস্যা ঠেকাতে যথাযথ পদক্ষেপ নিতে হবে। এক্ষেত্রে ইলেকট্রনিক পণ্যের অতিব্যবহার অবশ্যই কমাতে হবে।
কসমেটিক সার্জন মোহন থমাস আরও বলেরছেন, স্মার্টফোনের অতিব্যবহারের কারণে ঘাড়ের পেশিতে টান পড়ে। এতে করে চামড়ার ওপর মধ্যাকর্ষণ চাপও বাড়ে। সে কারণে চামড়া কুঁচকে যাওয়া, দুই চিবুক, চিবুক এবং ঠোঁট বরাবর খাড়া লাইন ও চোয়াল আলগা হয়ে পড়ে। মুখের ওপর এই চিহ্নগুলো দেখা দেওয়ার কারণে চিকিৎসাবিজ্ঞানে এটিকে বলা হচ্ছে, স্মার্টফোন ফেস।
তাই এইসব ইলেকট্রনিক সামগ্রী ব্যবহারে আরও সতর্ক হওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা।