দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ বই থাকে স্টলে। কিংবা বলা যায় বই থাকে বই মেলায়। কিন্তু যদি রাস্তা জুড়ে শুধুই বই দেখা যায়, তাহলে কেমন দেখা যাবে? ঠিক এমনই একটি খবর রয়েছে আজ!
গোটা পৃথিবী দূষণের চাদরে ঢেকে গেছে। অতিরিক্ত বায়ু দূষণসহ নানা দূষণে মানুষের জীবন যেনো সঙ্কটময়। সম্প্রতি দূষণের টুকরো ছবি ফুটে উঠেছে দিল্লিতে। দূষণের মাত্রা অতিরিক্ত বেড়ে যাওয়ায় ঘন কুয়াশায় আচ্ছন্ন হয়েছে দিল্লির রাজপথ। সেখানে নাকি মাস্ক পরে বেরুলেও কোনো নিস্তার নেই! চোখ জ্বালা করেছে সেখানে। স্কুল-কলেজ-অফিস প্রায় বন্ধ। এমন পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে শুধু দিল্লি নয়, বিশ্বের ব্যস্ততম অনেক শহরেই। যানজট ও গাড়ির হর্নে ঝালাপালা পথচলা নাগরিক। এই পরিস্থিতি হতে যদি একটা দিনের জন্য হলেও নিস্তার পাওয়া যায়! তাহলে মন্দ কী?
এর সঠিক উপায় খুঁজতে গিয়ে পথে নেমেই পথ দেখাল এক স্প্যানিশ আর্টিস্ট গ্রুপ লুজিনটেরাপ্টাস। তবে সেই পথটি ছিলো একটু অন্য রকম। কানাডার টরেন্টোর ব্যস্ততম রাস্তা হলো হ্যাগার স্ট্রিট। রাত ১২টা পেরুলেও অনবরত যান চলাচলে ঘুম আসে না শহরের বাসিন্দাদের। তবে সেই রাস্তা এক দিনের জন্য নিস্তব্ধ করে দেন তারা। কীভাবে? জানুন।
টরেন্টোর ব্যস্ততম হ্যাগার স্ট্রিটের পুরো রাস্তা ঢেকে দেওয়া হয় বইয়ে! প্রায় ১০ হাজার বই দিয়ে রাজপথ হতে অলিগলি সব পথ ঢেকে দেওয়া হয়। তবে সেটি ঘটেছিলো মাত্র এক দিনের জন্য।
লুজিনটেরাপ্টাসের এক শিল্পী জানিয়েছেন, “গাড়ির ভিড়ে নয়, বইয়ের ভিড়ে রাস্তা ঢাকা থাক। অন্তত একদিন শহর ঘুমোক নিশ্চিন্তে।” শুধু তাই নয়,আলো লাগানো রয়েছে বিছিয়ে রাখা এই দশ হাজার খোলা বইয়ের পাতায়। রাতের অন্ধকারে টিমটিমে আলোয় যেনো এক মায়াবী জগৎ হয়ে উঠেছে হ্যাগার স্ট্রিট।
এতো বই কীভাবে এলো লুজিনটেরাপ্টাসের কাছে। তারা দাবি করেছেন, এতো বই দান করেছিলো সালভেশন আর্মি নামে গির্জা কর্তৃপক্ষ। ১২ দিন ধরে কাজ করে ব্যস্ততম রাস্তাটিকে বই দিয়ে ঢেকে ফেলেন তারা। এ বছর টরেন্টোর নিউট ব্লাঁচে ফেস্টিভ্যালে অন্যতম আকর্ষণ হয়ে ওঠে এই বইয়ের রাস্তা। দূষণ হতে বাঁচতে তাদের প্রধান স্লোগান ছিলো সাহিত্য বনাম ট্রাফিক। অর্থাৎ কেবল গাড়িই নয়, কবিতা, গল্প, সাহিত্য দখল করুক রাজপথগুলো। সেইসঙ্গে প্রকৃতির পাশাপাশি মনের দূষণও কমবে, এমনটাই দাবি লুজিনটেরাপ্টাসের শিল্পী সমাজের।