দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ স্মার্টফোন অপারেটিং সিস্টেমের মূল প্রতিযোগিতা মূলত টেক জায়ান্ট অ্যাপলের নির্মিত আইওএস ও গুগলের তৈরি অ্যানড্রয়েড অপারেটিংয়ের মধ্যেই। তবে আইওএস থেকে কেনো এগিয়ে অ্যানড্রয়েড?
পৃথক ফিচার ও সুবিধা রয়েছে এই দুটি অপারেটিং সিস্টেমেই। তবে কিছু ফিচারের দিক দিয়ে আইওএস হতে এগিয়ে রয়েছে অ্যানড্রয়েরড। জেনে নিন তেমনই কয়েকটি ফিচারের কথা, যে ফিচারগুলো এগিয়ে রেখেছে অ্যানড্রয়েডকে:
স্প্লিট স্ক্রিণ
অ্যানড্রয়েডের সর্বশেষ সংস্করণ নুগাট ও অ্যাপলের আইওএস ১০- উভয় অপারেটিং সিস্টেমেই রয়েছে মূল পর্দাকে দুই ভাগ করে ভিন্ন ভিন্ন অ্যাপ ব্যবহার করার সুবিধা। তবে আইওএসের এই ফিচার শুধু আইপ্যাডের জন্যই প্রযোজ্য। আইফোনে এখনও চালু হয়নি স্প্লিট স্ক্রিণ ফিচার। অপরদিকে ট্যাবলেট হতে স্মার্টফোন সব ডিভাইসেই স্প্লিট স্ক্রিণ ব্যবহারের সুবিধা দিচ্ছে অ্যানড্রয়েড নুগাট।
নোটিফিকেশন বারের দ্রুত ব্যবহার
নোটিফিকেশন বারে বিভিন্ন রকমের ফিচার রয়েছে, যেমন- টর্চ, ওয়াইফাই, ডাটা অ্যাকসেসের মতো প্রয়োজনীয় অপশন। শুধু একবার ড্র্যাগ করেই এসব অপশন চালু বা বন্ধ করা সম্ভব অ্যানড্রয়েড স্মার্টফোনে।
ডোজ
অ্যানড্রয়েডের অত্যন্ত কার্যকর একটি ফিচারের নাম হলো ‘ডোজ’। মূলত মার্শম্যালো সংস্করণ হতে চালু হয় এই ডোজ। এই ফিচারের আওতায় স্মার্টফোনটি যখন ব্যবহৃত না হয়ে অলস অবস্থায় থাকে, ঠিক সে সময় ব্যাটারি চার্জ সংরক্ষণে সহায়তা করে। ডোজ ব্যবহারের কারণে স্ট্যান্ডবাই স্মার্টফোন মাত্র ৩ শতাংশ চার্জ হলেই কাটিয়ে দিতে পারে পুরো রাত।
সহজে এক অ্যাপ হতে আরেক অ্যাপে
একটি অ্যাপ ব্যবহার করতে অন্য আরেকটি অ্যাপ চালু করার ক্ষেত্রে অনেক দ্রুত অ্যানড্রয়েড অপারেটিং সিস্টেম। মাল্টি-উইন্ডো বাটনে দুবার স্পর্শ করলেই চালু থাকা সব অ্যাপের একটি তালিকা হাজির হবে পর্দায়। গতির দিক হতে আইওএস এদিক থেকে পিছিয়ে রয়েছে।
ডাটা সেভার
অনেকটা ডোজের মতোই ‘ডাটা সেভার’ ফিচার। তবে ব্যাটারি নয়, ইন্টারনেট ডাটা খরচের ক্ষেত্রে বেশ সাশ্রয়ী করে তুলবে স্মার্টফোনকে এই ফিচারটি। ব্যাকগ্রাউন্ডে কোনো অ্যাপ কেমন ডাটা ব্যবহার করতে পারবে, তা নিয়ন্ত্রণ করা যাবে ডাটা সেভারের মাধ্যমেও।
ডেড্রিম ভিআর
গুগল অ্যানড্রয়েড নুগাটের জন্য ভার্চুয়াল রিয়েলিটির ব্যবস্থা করেছে। এই ভার্চুয়াল প্ল্যাটফর্ম ব্যবহার করে খেলা সম্ভব হবে বিভিন্ন ভিআর গেম, এতে দেখা যাবে ভার্চুয়াল রিয়েলিটি ভিডিও।
তথ্যপূর্ণ ‘সেটিংস’ ফিচার
পূর্বের থেকে আরও বেশি তথ্যপূর্ণ ও সম্প্রসারিত সেটিংস অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে অ্যানড্রয়েডের সর্বশেষ সংস্করণটিতে।
ইন্সট্যান্ট অ্যাপ
ডাউনলোড না করেও প্লেস্টোর হতে বিভিন্ন অ্যাপ সাময়িক ভিত্তি ও নির্দিষ্ট পরিসরে ব্যবহারের সুযোগ অ্যানড্রয়েড অপারেটিং সিস্টেমে রয়েছে। আইওএস অপারেটিং সিস্টেমে এই রকম কোনো ফিচার চালু নেই।
আপডেটে স্বাচ্ছন্দ্য
অ্যাপলের আইওএস ৮ অপারেটিং সিস্টেমের আকার ছিলো ৪ গিগাবাইট। যদিও অ্যাপল সেটি কমিয়ে ২ গিগাবাইটে এনেছে, তবুও অ্যানড্রয়েডের তুলনায় তা এখনও বেশি। অ্যানড্রয়েড ওএস আপডেট সব সময়ই এক গিগাবাইট আকারের কাছাকাছি থাকে। অপরদিকে অ্যানড্রয়েড নুগাটে যুক্ত হয়েছে ‘সিমলেস আপডেট ফিচার’। এই ফিচারের কারণে নতুন সব আপডেট ব্যাকগ্রাউন্ডে ডাউনলোড হতে থাকবে। ব্যবহারকারী ফোন রিস্টার্ট করলে ইন্সটল হয়ে যাবে সেসব আপডেট।