দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ অনেকের মুখেই শোনা যায় রাতে নাকি ঘুম হয় না। তবে অসুস্থ্য মানুষদের কাছেই এই অভিযোগ বেশি। তাই বিষয়টি নিয়ে গবেষণার যেনো শেষ নেই। এবার তথ্য বেরিয়ে এসেছে যে, বিশ্বের ১০০ মিলিয়ন মানুষ নিদ্রাহীন থাকেন!
নিদ্রাহীন থাকার খবর খুব একটা কম নয়। তবে তাই বলে ১০০ মিলিয়ন মানুষ যদি নিদ্রাহীন থাকেন তাহলে অবস্থা কী দাঁড়ায় একবার ভাবুন? বিশ্বে কমপক্ষে ১০০ মিলিয়ন মানুষের পর্যাপ্ত পরিমাণ ঘুম হয় না। বিশ্বের মোট ৮ শতাংশ মানুষ নিদ্রাজনিত রোগ ও নাকডাকা সমস্যায় ভুগছেন। এক তথ্যে বলা হয়েছে, ২২ মিলিয়ন আমেরিকানই নিদ্রাহীনতায় ভুগছে।
গত বুধবার নিদ্রা দিবস উপলক্ষে আয়োজিত ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে আলোচনা সভায় এসব তথ্য জানানো হয়েছে। বিশ্ব নিদ্রা দিবস উপলক্ষে এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করে অ্যাসোসিয়েশন অব সার্জন্স ফর স্লিপ অ্যাপনিয়া।
ডা. মো. খোরশেদ আলম মজুমদারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি ডা. মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদ স্বাচিপ মহাসচিব অধ্যাপক ডা. এম. এ. আজিজ। ওই অনুষ্ঠানে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ ও মিটফোর্ড হাসপাতালের নাক-কান-গলা ও হেড-নেক সার্জারি বিভাগের প্রধান অধ্যাপক ডা. মনিলাল আইচ লিটু।
মূল প্রবন্ধে অধ্যাপক ডা. মনিলাল আইচ লিটু বলেন, শিশু হতে বৃদ্ধ সবারই ঘুমের সমস্যা হতে পারে। তবে বয়স ভেদে এর কারণের ভিন্নতা রয়েছে। শিশুদের ক্ষেত্রে সাধারণত এডিনয়েড ও টনসিলের অস্বাভাবিক বৃদ্ধিজনিত কারণে ঘুমের ব্যাঘাত ঘটে থাকে। বড়দের ক্ষেত্রে নাকের হাড় বাকা, বড় আকারের টনসিল, নাকের পলিপ ও অতিরিক্ত ওজনের কারণে ঘুমের সমস্যা দেখা দেয়।
অধ্যাপক ডা. মনিলাল আইচ লিটু বলেন, সুচনাতে খুব সামান্য সমস্যা দিয়ে শুরু হলেও ঘুমের ব্যাঘাতজনিত কারণে উচ্চরক্তচাপ, স্ট্রোক, হৃদরোগ ইত্যাদি নানা রোগ হতে পারে। অনিয়ন্ত্রিত হয়ে পড়তে পারে ডায়াবেটিস এবং উচ্চরক্তচাপ। তাই প্রথম হতেই এইসব সমস্যা দেখা দিলে চিকিৎসকের স্মরণাপন্ন হতে হবে।