দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ প্যারালাইসিস বা পক্ষাঘাত এমন একটি মারাত্বক রোগ যা ভাল হওয়ার সম্ভবনা নেই বললেই চলে। বিশেষ করে স্ট্রোকের কারণে মানুষ পারালাইজড হয়ে যায়। এই রোগে আক্রান্ত রোগী যেন বেঁচে থেকেও মৃত। সাধারনত মস্তিষ্কের “স্পাইনাল কর্ড” ক্ষতিগ্রস্থ হয়ে মস্তিষ্কের কোন অংশের কাজ করার ক্ষমতা নষ্ট হয়ে যাওয়াকে প্যারালাইসিস বলা হয়। তবে গ্রিগোয়ার কোর্টনিন (Grégoire Courtine) দাবি করছেন তাঁদের উদ্ভাবিত প্রযুক্তির সাহায্যে প্যারালাইজড রোগীদের সম্পূর্ণরূপে সারিয়ে তোলা সম্ভব হবে।
আক্রান্ত রোগী দেহের আক্রান্ত অংশের নিয়ন্ত্রণ ক্ষমতা হারিয়ে ফেলেন। ফলে মস্তিষ্ক শরীরের যে অংশে নিউরণের মাধ্যমে সংকেত পৌঁছাতে পারে না, সেই অংশটি সারাজীবনের জন্য বিকল হয়ে যায়।
তবে এবার প্যারালাইজড সমস্যার সমাধান নিয়ে বিবৃতি দিয়েছেন সুইজারল্যান্ডের ইকলা পলিটেকনিক ফেডারেল দি লাউসনের (ইপিএলএফএল) প্রধান গবেষণামূলক স্নায়ুবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক গ্রিগোয়ার কোর্টনিন ও তাঁর দলের গবেষকগণ। তারা দাবি করছেন তাঁদের উদ্ভাবিত প্রযুক্তির সাহায্যে প্যারালাইজড রোগীদের সম্পূর্ণরূপে সারিয়ে তোলা সম্ভব হবে।
তারা এমন একটি ডিভাইজ তৈরি করেছেন যা মস্তিষ্কে প্রতিস্থাপন করার মাধ্যমে মস্তিষ্কে বিভিন্ন সংকেত আদান প্রদান করা যায়। ফলে শরীরের প্যারালাইজড অংশটুকু পুনরায় আগের মত কাজ করতে পারবে। গবেষকরা ইতিমধ্যে প্যারালাইজড আক্রান্ত বানরের উপর পরীক্ষা চালিয়ে সফল হয়েছেন। তাদের বিশ্বাস এই প্রযুক্তি মানুষের উপর প্রয়োগ করলেও তারা সফল হতে পারবে।
নিচের অ্যানিমেশন দুইটা লক্ষ্য করুন:
প্রথম চিত্রে বানরটি তার প্যারালাইজড আক্রান্ত ডান পা নড়াতে পারছে না। কারণ তার মস্তিষ্ক ডান পায়ে সংকেত আদান-প্রদান করতে পারছে না। কিন্তু দ্বিতীয় চিত্রে এই প্রযুক্তি প্রয়োগ করার পর বানরটি স্বাভাবিক ভাবেই তার ডান পা নড়াতে পারছে। কারণ এখন মস্তিষ্ক তার পায়ে ওই ডিভাইসের মাধ্যমে তথ্য আদান-প্রদান করতে পারছে।
গবেষকগণ যদি মানুষের উপর এই প্রযুক্তি প্রয়োগ করে সফলতা পান তবে পৃথিবীর লক্ষ লক্ষ প্যারালাইজড রোগী এই অভিশপ্ত রোগ থেকে মুক্তি পাবে।