দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ রাশিয়া ‘শয়তান’র চেয়েও শক্তিশালী ক্ষেপণাস্ত্র বানিয়েছে এই খবর দিয়ে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন বলেছেন, তার দেশ নতুন অস্ত্র তৈরির শিল্পে প্রতিদ্বন্দ্বী দেশগুলোর চেয়ে কয়েক বছর বা কয়েক দশক এগিয়ে রয়েছে।
আন্তর্জাতিক সংবাদ মাধ্যমগুলোর খবরে বলা হয়েছে, রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন বলেছেন যে, তার দেশ নতুন অস্ত্র তৈরি শিল্পে প্রতিদ্বন্দ্বী দেশগুলোর চেয়ে কয়েক বছর বা কয়েক দশক এগিয়ে রয়েছে। তিনি রাশিয়ার সামরিক একাডেমিগুলো থেকে পাস করা একদল গ্র্যাজুয়েটের সমাবেশে এই মন্তব্য করেছেন।
ভ্লাদিমির পুতিন বলেছেন, আধুনিক অস্ত্রগুলো রাশিয়ার সামরিক সক্ষমতাকে বেশ কয়েক গুণ বাড়িয়ে দিয়েছে। আমাদের কিছু কিছু সমরাস্ত্র সিস্টেম প্রতিদ্বন্দ্বী দেশগুলোর চেয়ে কয়েক বছর বা কয়েক দশক এগিয়ে রয়েছে।
রুশ প্রেসিডেন্ট দৃষ্টান্ত হিসেবে তার দেশের ‘অ্যাভানগার্ড’ হাইপারসনিক ক্ষেপণাস্ত্রের কথা তুলে ধরেন যা শব্দের চেয়ে ২০ গুণ দ্রুত গতিতে চলে। এই ক্ষেপণাস্ত্র লক্ষ্যবস্তুর দিকে ছুটে যাওয়ার সময় আবহমণ্ডলে দিক এবং উচ্চতা পরিবর্তন করতে পারে বলে তা যে কোনো ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষা বা বিমান প্রতিরক্ষা-ব্যবস্থার জন্য চরম অভেদ্য কিংবা ধরা-ছোঁয়ার বাইরে থাকে বলে জানিয়েছেন পুতিন।
রুশ প্রেসিডেন্ট তার দেশের একটি নতুন আন্ত:মহাদেশীয় ক্ষেপণাস্ত্রের কথাও উল্লেখ করেছেন যেটি ১০টিরও বেশি পরমাণু অস্ত্র বহন করতে সক্ষম এবং ২২০ টন ওজনের এই ক্ষেপণাস্ত্র পৃথিবীর যে কোনো স্থানে আঘাত হানতে সক্ষম। ‘সারমাট’ নামে এই ক্ষেপণাস্ত্রটি সোভিয়েত যুগের রুশ ‘ভয়েভোডা’ নামক আন্ত:মহাদেশীয় ক্ষেপণাস্ত্রের চেয়েও অনেক বেশি শক্তিশালী। ‘ভয়েভোডা’-কে বিশ্বের সবচেয়ে শক্তিশালী আন্ত:মহাদেশীয় ক্ষেপণাস্ত্র বলে মনে করা হয়ে থাকে এবং পাশ্চাত্যে এটিকে বলা হয় ‘স্যাটান’ বা শয়তান।