দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ সবাই চাই বাসার গেস্ট রুম বা বেডরুম সুন্দর করে সাজিয়ে রাখতে। তবে ঘর সাজানোর উপকরণগুলো অনেকটা ব্যয় বহুল হওয়ায় ইচ্ছে থাকলেও সাধ্য হয় না। তবে আজ আমরা ঘর সাজানোর কিছু সহজ এবং সাশ্রয়ী উপায় নিয়ে আলোচনা করব যা দ্বারা খুব সহজেই আপনার ঘরকে সুন্দরভাবে কম খরচে সাজিয়ে রাখতে পারবেন।
১। কালারফুল ওয়ালপেপার ব্যবহারঃ ঘর সাজানোর জন্য আপনি সাশ্রয়ী মূল্যে বিভিন্ন ফুল বা নকশার ওয়ালপেপার কিনে ওয়ালের সৌন্দর্য্য বৃদ্ধি করতে পারেন। এগুলো দামে সাশ্রয়ী কিন্তু আপনার ঘরকে করে তুলবে আকর্ষনীয়।
২। প্লাস্টিক বা কাগজের ফুল ব্যবহারঃ নানা ধরনের প্লাস্টিক বা কাগজের ফুল বাজারে কিনতে পাওয়া যায়, যার দাম খুব কম। আপনি এই ফুলগুলো কিনে ঘরের বিভিন্ন দর্শনীয় স্থানে সাজিয়ে রাখতে পারেন। এই ফুলগুলোতে ধুলাবালি পরলে কিছুদিন পরপর ডিটারজেন্ট দিয়ে ধুয়ে শুকিয়ে আবার সাজিয়ে রাখতে পারেন।
৩। ছোট ইনডোর প্লান্ট ব্যবহারঃ বিভিন্ন ধরণের ইনডোর প্লান্ট ব্যবহার করতে পারেন। গাছ ঘরের তাপমাত্রা স্বাভাবিক রাখে এবং সৌন্দর্য্য বৃদ্ধি করে। তবে ৭ থেকে ১০ দিন পরপর কিছু সময়ের জন্য গাছগুলোকে রোদে রেখে দিবেন। তাহলে এর সজিবতা ঠিক থাকবে। পানি স্প্রে করার আগে নরম কাপড় দিয়ে পাতাগুলো মুছে নিতে পারেন।
৪। হস্ত শিল্পের নানা ব্যবহারঃ সামান্য অর্থ ব্যয় করে আপনি নিজেই নানা ধরনের ঘর সাজানোর উপকরণ তৈরি করতে পারেন। যেমন কাগজের ফুলদানী, কলমদানী, নানা রংয়ের পুঁথি দিয়ে আকর্ষনীয় সব জিনিস তৈরি করে আপনার ঘরকে সাজিয়ে তুলতে পারেন।
৫। আসবাবপত্রের সঠিক অবস্থানঃ কোন আসবাবপত্র কোথায় রাখলে সুন্দর দেখবে সেই স্থানে উপযুক্ত আসবাবপত্র স্থাপন করুন। ঘরে দামী আসবাবপত্র থাকলেই তার সৌন্দর্য্য বৃদ্ধি পায় না। সঠিক অবস্থান ঘর সাজানোর গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয়।
৬। ঘরের এক কোণে একটি কাচের পাত্রে কিছু কালারফুল মাছ রাখুন। এবং ওই পাত্রের পানির মধ্যে কিছু কচুরি পানা ছেড়ে দিন। সেই সাথে ওই পাত্রে কালারফুল আলোর ব্যবস্থা করুন। তাহলে দেখতে অনেক সুন্দর লাগবে।
৭। কিছু সুন্দর ছবি বাঁধায় করে দেওয়ালের দর্শণীয় স্থানে স্থাপন করতে পারেন। এগুলো হতে পারে আপনার কোন পারিবারিক ছবি বা কোন সুন্দর স্থানের প্রাকৃতিক ছবি।
এছাড়া বসার জন্য শীতল পাটি, নকশা করা পাখা, জানালায় কালারফুল পর্দা ইত্যাদি দিয়েও ঘরের সৌন্দর্য্য বৃদ্ধি করতে পারেন।