দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ সাগরের বিস্ময়কর এক মাছের নাম এংলার ফিশ। এই ফিস সাগরের অতন্দ্র প্রহরীর মতো কাজ করে। পৃথিবীতে দুই শতাধিক প্রজাতির এংলার ফিশ রয়েছে। বেশিরভাগ প্রজাতি গভীর সাগরে বিচরণ করে।
এই মাছের মাথা বেশ বড়। মুখটা অর্ধচন্দ্রাকার। মুখে সুচালো দাঁত থাকে এই মাছের। মাথার ওপর থাকে এক ধরনের লম্বা কাঁটা যাকে ইলিসিয়াম বলা হয়। এই লম্বা কাটা বা ইলিসিয়ামের শেষপ্রান্ত এসকা নামে পরিচিত যা হতে আলো উৎপন্ন হয়। এংলার ফিশ সাগরতলের অন্ধকারে বিচরণ এবং শিকারীদের আলো দিয়ে সাহায্য করে।
এংলার ফিশ স্ত্রী মাছ পুরুষ মাছের তুলনায় অনেক বড় হয়ে থাকে। এদের প্রজননক্রিয়াও বেশ অদ্ভুত ধরনের। মূলত পুরুষ মাছ একটি নির্দিষ্ট সময় পর পর পরিপাকতন্ত্রের জটিলতায় খাদ্যগ্রহণ করতে পারে না।
এই অবস্থা হতে অর্থাৎ খাদ্য গ্রহণ করার জন্য বা বাঁচার জন্য স্ত্রী মাছের শরণাপন্ন হয়। ঘ্রাণের মাধ্যমে স্ত্রী মাছকে বেছে নেয় ও কামড়ে ধরে তার গায়ে আটকে থাকে। তখন মুখ থেকে এক ধরনের এনজাইম নিঃসরণ করে।
বলা হয়েছে, এতে কামড়ের স্থান গলে স্ত্রী মাছের রক্তনালির সঙ্গে পুরুষ মাছের দৈহিক সংযোগও ঘটে এবং স্ত্রী মাছ হতে পুষ্টি উপাদান গ্রহণ করে। এভাবেই স্ত্রী মাছ যতোদিন বাঁচে পুরুষ মাছও ততোদিন স্ত্রীর গায়ে লেগে থাকে। এক সময় পুরুষ মাছটি প্রজননের জন্য শুক্রাণুও সরবরাহ করে। এভাবে জীবন যাপন করে সমুদ্রের অতন্ত্র প্রহরী এংলার ফিশ।