দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ আমাদের অনেকের মধ্যেই এমন বদ অভ্যাস রয়েছে অধিক রাত পর্যন্ত জাগার। তবে এবার এক গবেষণা রিপোর্টে উঠে এসেছে যে, অধিক রাত পর্যন্ত জাগলে অকালমৃত্যু হতে পারে।
আমাদের অনেকের মধ্যেই এমন বদ অভ্যাস রয়েছে অধিক রাত পর্যন্ত জাগার। তবে এবার এক গবেষণা রিপোর্টে উঠে এসেছে যে, অধিক রাত পর্যন্ত জাগলে অকালমৃত্যু হতে পারে।
আমাদের অনেকেরই এমন একটি বদ অভ্যাস রয়েছে রাত পর্যন্ত জেগে খেবে সকালে দেরি করে ঘুম থেকে ওঠা। সেইসঙ্গে অনিয়মিত খাওয়া-দাওয়ার অভ্যাসও। এমন জীবনযাপনের ফলাফল খুবই মারাত্মক হতে পারে বলে এক গবেষণায় উঠে এসেছে। এই কারণে শরীরে বাসা বাঁধতে পারে মারণ রোগ। এমন তথ্যই উঠে এসেছে সাম্প্রতিক এক গবেষণায়।
বিশ্ববিখ্যাত জার্নাল ‘অ্যাডভান্সেস ইন নিউট্রিশন’-এ গত শুক্রবার প্রকাশিত একটি গবেষণাপত্রে বলা হয়েছে যে, প্রতিদিন রাত করে ঘুমাতে যাওয়া এবং সকালে দেরিতে ওঠার অভ্যেস থেকে হার্টের অসুখ এবং টাইপ-২ ডায়াবেটিসের সম্ভাবনা বহুলাংশে বেড়ে যেতে পারে।
এই বিষয়ে গবেষণার পর বিজ্ঞানীরা বলেছেন যে, ঘুমের ক্ষেত্রে এমন অভ্যেস যাদের রয়েছে, সচরাচর তাদের রাতের মেনুতেও থাকে মশলাদার এবং গ্লুকোজযুক্ত নানা খাবার। এমনকি মদ্যপানের প্রবণতাও এদের ক্ষেত্রে অনেক বেশি দেখা যায়।
এই গবেষণা বলছে যে, এমন অভ্যেসের বীজ পোঁতা হয়ে যায় প্রতিটি ব্যক্তির শৈশব কালেই। বড় বয়সে আসার পর তা-ই ফুলে-ফেঁপে ওঠে। অনিয়মিত জীবনযাপন প্রতিদিনের যেনো এক অভ্যাসে পরিণত হয়। তার থেকেই হার্টের রোগ বা ডায়াবেটিসের সম্ভাবনা দেখা দিচ্ছে বলে বিজ্ঞানীরা অভিমত ব্যক্ত করেছেন।
বিজ্ঞানীরা বলেছেন যে, প্রকৃতপক্ষে মানুষের শরীরে রাতের দিকে গ্লুকোজের পরিমাণ থাকা উচিত সবথেকে কম। অথচ অনেক রাতে, অর্থাৎ ঘুমাতে যাওয়ার ঠিক আগেই ডিনার করার কারণে রাতে শরীরে গ্লুকোজের পরিমাণ আরও বাড়ে। এটিও একটি ক্ষতির অন্যতম কারণ হিসেবে দেখা হচ্ছে।
সে কারণে সুস্থ জীবন পেতে চাইলে এই ধরনের লাইফস্টাইল হতে দূরে থাকাই বুদ্ধিমানের কাজ বলে মনে করছেন বিজ্ঞানীরা। তারা এই বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনায় আনার পরামর্শ দিয়েছেন। নিয়মিতভাবে না ঘুমালে এবং মানুষের শরীরের এমনিতেই নানা রকম সমস্যা দেখা দিতে পারে। তারওপর যদি অধিক রাত পর্যন্ত জেগে থাকা যায় তাহলে শরীরের মারাত্মক প্রভাব পড়বে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। তাই এই বিষয়ে সময় থাকতে সকলকে সজাগ থাকার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।