দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ বিশ্বের একমাত্র দেশ যেখানে সমাধিতে রয়েছে নানা রকম রহস্য। যুগে যুগে গবেষকরা সেইসব রহস্যের কিনারা খুঁজে পেয়েছেন। এবারও উঠে এসেছে মিশরের পুরনো সমাধির রহস্য।
মিশর নিয়ে রহস্য যেনো কোনো মতেই শেষ হওয়ার নয়। ২০১৮ জুড়েই সংবাদ শিরোনামে ছিলো এই এই দেশটি। মিশরে একের পরে এক আবিষ্কৃত হয়েছে নতুন প্রত্নক্ষেত্র, যা দেশটির প্রাচীন সভ্যতা সম্পর্কে তৈরি করেছে নানা কৌতূহল।
সম্প্রতি মিশরের রাজধানী কায়রো শহরের দক্ষিণে সাক্কারা নামক স্থানে এক প্রাচীন সমাধিক্ষেত্রে প্রত্নতাত্ত্বিকরা সন্ধান পেয়েছে এক রহস্যময় সমাধির।
এই সমাধিটি পর্যবেক্ষণ করে মিশরের সুপ্রিম কাউন্সিল অফ অ্যান্টিকুইটিজ-এর সেক্রেটারি জেনারেল মোস্তাফা ওয়াজিরি বলেছেন, এই সমাধিটি একেবারেই অবিকৃত অবস্থায় রয়েছে। তার ধারণা মতে, এমন সমাধি গত কয়েক দশকের মধ্যেও পাওয়া যায়নি।
ওয়াজিরি আরও জানিয়েছেন, এই সমাধি মিশরের পঞ্চম রাজবংশের তৃতীয় সম্রাট নেফেরিরকারে কাকাইয়ের সমকালীন সময়ের। অর্থাৎ এই সমাধি প্রায় ৪ হাজার ৪০০ বছরেরও বেশি পুরনো।
সংবাদ মাধ্যমের খবরে জানা যায়, সম্প্রতি প্রত্নতত্ববিদরা যখন এই সমাধির ভিতরে প্রবেশ করেন, তখন তারা দেখেন হায়ারোগ্লিফিক লিপিতে বহু কিছু লেখা রয়েছে সেই সমাধিতে। সেইসঙ্গে আরও রয়েছে বেশ কিছু মূর্তিও। সেইসব লিপি এই মূর্তির ঔজ্জল্য প্রায় সাড়ে ৪ হাজার বছরেও রয়েছে অমলিন!
সংবাদে আরও জানা যায়, ওই সমাধির ভিতরে ৫টি কুঠুরির সন্ধান পেয়েছেন প্রত্নতত্ববিদরা। যারমধ্যে ৪টি কুঠুরি সিলমোহর করে বন্ধ। আশা করা হচ্ছিল যে, এগুলো খুললে হয়তো অমূল্য কিছুর সন্ধান পাওয়া যাবে।
সম্প্রতি একটি কক্ষের সিলমোহর খুলে প্রবেশ করেন প্রত্নতত্ববিদরা। সেখানে তারা একটি শবাধারও পান। এই শবাধারের রং, নকশা এবং আকার আশ্চর্য রকমের টাটকা। মিশরের প্রত্নমন্ত্রী খালেদ এল-এনানি জানিয়েছেন, এই শবাধার এবং মমি সম্রাট নেফেরিরকারে কাকাইয়ের প্রধান পুরোহিতের। তার ধারণা মতে, এটিই হলো ২০১৮-এর সেরা আবিষ্কার।
মিশরের এই আবিষ্কার নিয়ে তুমুল হইচই শুরু হয়েছে প্রত্নতাত্ত্বিক মহলে। এখন বাকি রয়েছে ওই সমাধির লিপিগুলোর পাঠোদ্ধার করা।