দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ অবশেষে মিশরের প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ মুরসিকে গতকাল ৩ জুলাই সেনাবাহিনী অভ্যুত্থানের মাধ্যমে ক্ষমতাচ্যুত করেছে ।
এর আগে সেনাবাহিনী মুরসিকে ২ দিনের সময় বেঁধে দিয়েছিল। সেই বেঁধে দেয়া সময়ের মধ্যে পদত্যাগ না করায় তাকে উৎখাত করে দেশটির সংবিধান স্থগিত করা হয়েছে।
দেশটির সেনাপ্রধান জেনারেল আবদেল ফাত্তাহ আল-সিসি রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনে জাতির উদ্দেশে এক ভাষণে মুরসিকে উৎখাতের কথা ঘোষণা করেন। ৩ জুলাই বাংলাদেশ সময় মধ্যরাতে ওই ভাষণে তিনি আরও জানান, নির্বাচনের আগ পর্যন্ত সাংবিধানিক পরিষদ রাষ্ট্র পরিচালনা করবে।
উল্লেখ্য, ইতিপূর্বে প্রেসিডেন্ট মুরসির জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা বলেছিলেন, সরকার ও বিরোধীদের মধ্যে চলমান সংঘাতের কোনো রাজনৈতিক সমাধান না হওয়ায় সরকার সেনা-অভ্যুত্থানের মুখোমুখি।
মুরসির এক সহকারীর বরাত দিয়ে বলা হচ্ছে, মুরসি কায়রোর কাছাকাছি রিপাবলিকান গার্ডের একটি ব্যারাকে আছেন এবং সেখানেই থাকবেন। উপদেষ্টারা রাত ৯টার পর প্রাসাদ ছেড়েছেন।
মুরসিসহ মুসলিম ব্রাদারহুডের জ্যেষ্ঠ নেতাদের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে বলে আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমে বলা হচ্ছে। এছাড়া মুরসির দল মুসলিম ব্রাদারহুডের নেতাদের মালিকানাধীন টেলিভিশন স্টেশনগুলোর সম্প্রচার বন্ধ করে দেয়া হয়েছে।
মুরসিবিরোধীদের উল্লাস
মুরসিকে উৎখাতের ঘোষণার সঙ্গে সঙ্গে তাহরির স্কয়ারে অবস্থান নিয়ে থাকা মুরসিবিরোধী আন্দোলনকারীরা উল্লাসে ফেটে পড়েন। সেখানে তারা গত ৪ দিন ধরে অবস্থান করছিলেন। ‘মুরসির কুরসি গেল, কুরসি গেল বলেও বিদ্রুপজ্জ্বল হয়ে উঠেছিল তাহরির স্কয়ার।’
মিসর সেনাপ্রধানের প্রোফাইল
পুরো নাম : আব্দেল ফাত্তাহ আল-সিসি
জম্ম ও জম্মস্থান : ১৯ নভেম্বর, ১৯৫৪ কায়রো, মিসর।
পড়াশোনা : মিসর মিলিটারি একাডেমি থেকে স্নাতক, ১৯৭৭।
সেনাপ্রধান ও প্রতিরক্ষামন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ : ১২ আগস্ট, ২০১২।
ধর্ম : সুন্নি ইসলাম
যুদ্ধে অংশগ্রহণ : উপসাগরীয় যুদ্ধ সিনাই ওয়ার অন টেরর।
বিরোধীদের অভিযোগ : মিসরের কিছু পত্রপত্রিকা এবং স্যাটেলাইট চ্যানেলগুলোতে সিসি সম্পর্কে খবর রটেছে যে, সে মুসলিম ব্রাদারহুডের একজন সদস্য। ২০১২ সালের আগস্ট মাসে আল-তাহরির পত্রিকায় এক রিপোর্টে বলা হয়, আল-সিসির সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের কূটনৈতিক ও সামরিক পর্যায়ে ঘনিষ্ঠ যোগাযোগ রয়েছে। সূত্র : বিবিসি, গার্ডিয়ান।