দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ মার্কিন সিনেটের একদল আইনপ্রণেতা সৌদি আরবে মানবাধিকার লঙ্ঘনের মাত্রা ক্রমাগতভাবে বেড়ে যাওয়ার কারণে এর বিরুদ্ধে কড়া হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেছেন। একইসঙ্গে তারা সৌদি যুবরাজ মুহাম্মদ বিন সালমান পুরোপুরি গুন্ডা বনে গেছেন বলেও মন্তব্য করেছেন।
জেনারেল জন আবিজাইদ (অব:) কে সৌদি আরবে রাষ্ট্রদূত হিসেবে মনোনীত করেছেন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। গত বুধবার ট্রাম্পের মনোনীত প্রার্থীর পদ নিশ্চিতকরণে সিনেটের ফরেন রিলেশন্স কমিটিতে শুনানিও অনুষ্ঠিত হয়। শুনানিতে মার্কিন আইনপ্রণেতারা সৌদি আরবের বিরুদ্ধে নানা ধরনের অভিযোগ তোলেন। এই সময় তারা ইয়েমেন যুদ্ধে সৌদির ভূমিকা, নারী মানবাধিকার কর্মীদের আটকে রেখে তাদের ওপর নির্যাতন চালানো ও তুরস্কের কনস্যুলেট অফিসে সৌদি সাংবাদিক জামাল খাসোগি হত্যার বিষয়ে সৌদি আরবের কড়া সমালোচনা করেন।
সৌদি আরবের প্রতিরক্ষামন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করা যুবরাজ সালমানই দারিদ্রপীড়িত ইয়েমেনের ওপর বর্বরোচিত সামরিক আগ্রাসন চাপিয়ে দিয়েছেন বলেও মনে করা হয়। যুবরাজ সালমান গত অক্টোবরে তুরস্কের ইস্তাম্বুলে সৌদি কনস্যুলেটে খ্যাতিমান সাংবাদিক জামাল খাশোগিকে হত্যার নির্দেশ দিয়েছেন বলেও অভিযোগ রয়েছে।
কমিটির চেয়ারম্যান এবং রিপাবলিকান সিনেটর জিম রিশ বলেছেন, সৌদি আরব যেসব কাজ করছে তা কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য হতে পারে না।
রিপাবলিকান সিনেটর মার্কো রুবিও বলেছেন, মোহাম্মদ বিন সালমান পুরোপুরিই গুন্ডা বনে গেছেন। সম্পর্ক রক্ষা করা যতোটা গুরুত্বপূর্ণই হোক না কেনো এই ধরনের বেপোরোয়া ও নির্মম ব্যক্তির সঙ্গে কাজ করা খুব কঠিন বলেও মন্তব্য করেছেন তিনি।