দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ গাছ থেকে নামলেই বাঘের পেটে যেতে হবে। এমন অবস্থায় ৫ দিন ধরে গাছের ডালে বসে ছিলেন তাঁরা ৫ জন। নিচে নামতে পারছিলেন না।
গাছ থেকে নামলেই নির্ঘাত বাঘের পেটে যেতে হবে। কারণ গাছের তলায় বসে আছে চার-চারটি বাঘ। ইতিমধ্যেই দলের ষষ্ঠজনকে খাবার বানিয়েছে বাঘগুলো। তারপর অপেক্ষা করতে থাকে বাকিদেরও খাওয়ার জন্য। এমন ঘটনা ইন্দোনেশিয়ার সুমাত্রা দ্বীপের গহিন জঙ্গলের। খবর দৈনিক কালের কষ্ঠ’র।
বলে সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, ওই লোকগুলো বাঘের একটি বাচ্চাকে মেরে ফেলায় এ পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে। মোবাইল ফোনে খবর পেয়ে তাঁদের উদ্ধারে একটি দল গত শনিবার রওনা হয়ে যায় জঙ্গলের ওই জায়গাটিতে। হেঁটে সেখানে পৌঁছাতে দু-তিন দিন সময় লাগে। অবশেষে গতকাল ৮ জুলাই তাঁদের উদ্ধার করা হয়েছে।
সংবাদমাধ্যম জানায়, মূল্যবান কাঠ ও সুগন্ধি তেল সংগ্রহের জন্য স্থানীয় বাসিন্দাদের একটি দল সুমাত্রার গুনুং লিউসার ন্যাশনাল পার্কের গহিন জঙ্গলে প্রবেশ করে। বৃহস্পতিবার হরিণ শিকারের জন্য দলের ছয় সদস্য একটি ফাঁদ পাতেন। একটি বাঘের বাচ্চা ওই ফাঁদটিতে আটকে মারা যায়। এর পরপরই চারটি বাঘ লোকগুলোকে আক্রমণ করে।
বাঘের হাত থেকে বাঁচতে দলের ৫ জন একটি গাছে আশ্রয় নিতে সক্ষম হলেও ডেভিড (২৮) নামের এক সদস্য বাঘের হাতে প্রাণ হারান। পরে মোবাইল ফোনের মাধ্যমে তাঁদের সঙ্গে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়।
গত ৭ জুলাই স্থানীয় পুলিশের প্রধান ডিকি সোনদানি বলেন, ‘প্রায় ৩০ জনের একটি দল তাদের উদ্ধারে গত ৬ জুলাই রওনা হয়ে যায়। হেঁটে সেখানে পৌঁছাতে দুই থেকে তিন দিন সময় লাগার কথা। আটকা পড়া ব্যক্তিদের উদ্ধার করতে প্রয়োজনে গুলি চালানো হবে।’
ন্যাশনাল পার্কের প্রধান আন্দি বসরুল ৮ জুলাই জানান, লোকগুলোকে উদ্ধার করে কাছের গ্রামে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। জামাল গায়ো নামের এক কর্মকর্তা জানান, লোকগুলো কয়েক দিন ধরে কোনো কিছু না খেতে পারায় বেশ দুর্বল হয়ে পড়েছেন।
এলাকার লোকজন জানায়, জঙ্গলের ওই স্থানে প্রচুর বাঘ ও হাতি থাকে। এ ছাড়া এ সময়ে বাঘরা গ্রামবাসীকে শিকারের জন্য অপেক্ষায় থাকে। সূত্র : টেলিগ্রাফ।