দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ মোবাইল ফোন বা স্মার্টফোন বর্তমানে আমাদের সকলের কাছে একটি খুবই প্রয়োজনীয় বস্তুতে পরিণত হয়েছে যা আমাদের জিবন ব্যবস্থাকে করেছে সহজতর ও আরামদায়ক।
অসংখ্য জটিল কাজ সমূহ আমরা স্মার্ট ফোন দ্বারা খুবি সহজে ও সল্প সময়ের মধ্যে করতে পারি। বর্তমানে আমরা স্মার্ট ফোন ব্যতীত একটি দিনও কল্পনা করতে পারিনা। কেনাকাটা থেকে শুরু করে দূর-দূরান্তের মানুষের সাথে খুবই অল্প সময়ের মধ্যে ভিডিও কলিং, অডিও কলিং, নিউজ সহ সকল কাজ স্মার্ট ফোন দ্বারা করা সম্ভব। সম্প্রতি ব্যাংকিং শেয়ার বাজার জাতিয় নানান ব্যংকিং কাজ করা সম্ভব। স্মার্ট ফোনকে স্মার্ট করার জন্য ব্যবহার করা হয় অ্যাপ্লিকেশন বা মোবাইল অ্যাপ। এই সকল মোবাইল অ্যাপ্লিকেশন ব্যবহার করে আমরা আমাদের পছন্দ মত কাজ করতে পারি।
এ সকল মোবাইলের অ্যাপ্লিকেশন ব্যবহারের ফলে আমাদের মোবাইল ফোনে বা স্মার্ট ফোনে ম্যালওয়্যার ভাইরাস অথবা ক্ষতিকারক প্রোগ্রাম ইনস্টল হয়ে যেতে পারে যার ফলে আমাদের ফোনটি হয়ে যেতে পারে অকেজো অথবা ফোনের সফটওয়্যারে দেখা দিতে পারে নানাবিধ সমস্যা। সম্প্রতি ব্যবহৃত এসকল ক্ষতিকর ভাইরাস আমাদের ফোনের মধ্যে প্লে স্টোর দ্বারা বিভিন্ন অ্যাপের মধ্যে ছড়িয়ে রয়েছে। এই সকল অ্যাপ্লিকেশন আমাদের ফোনকে সম্পূর্ণ ভাবে আক্রমণ করে আমাদের ফোনকে নিয়ন্ত্রণে নিয়ে নিতে পারে এবং তার পাশাপাশি আমাদের ফোনকে করে দিতে পারে অকেজো। এসকল অ্যাপ ব্যবহারের ফলে আমাদের ফোনের ব্যক্তিগত তথ্য চুরি হওয়ার সম্ভাবনা অতিমাত্রায় বেড়ে যায়। আমাদের ফোনকে ব্যাংকিং খাতে ব্যবহার করা হলে এবং আমাদের ফোনের মধ্যে এই ভাইরাস আক্রান্ত হলে আমাদের মোবাইলের টাকা শেষ হয়ে যেতে পারে যেকোনো সময় এটি সাইবার নিরাপত্তা বিরুদ্ধে ঘটে যাওয়া একটি কাজ।
এযাবৎ পর্যন্ত মোট চব্বিশটি অ্যাপ এর কথা বলা হয়েছে সিএসআইএসের গবেষণা রিপোর্ট মোতাবেক। সাইবার নিরাপত্তা প্রতিষ্ঠান সমূহ মনিটরিং করার পর এই সকল অ্যাপ এর নাম খুঁজে পাওয়া যায়। যা আমাদের ফোনকে খুব সহজেই ম্যালওয়্যার দ্বারা আক্রান্ত হতে পারে। এসকল অ্যাপের মাঝে জোকার নামক একটি ক্ষতিকর ম্যালওয়্যার এর সন্ধান পাওয়া যায় যা পরীক্ষা করে গুগল প্লে স্টোর থেকে সংগ্রহ করা যায়। এই সকল ম্যালওয়্যার সম্প্রতি সারা বিশ্বে ছড়িয়ে পড়েছে ইতিমধ্যে ৫ লাখ ডিভাইসের মধ্যে এই ম্যালওয়্যার এর সন্ধান পাওয়া যায় যা খুবই ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে বলে গবেষকদের ধারণা।
জোকার একটি খুবই মারাত্মক ম্যালওয়্যার যা আমাদের মোবাইলের কন্টাক্ট লিস্ট, এসএমএস, খুব সহজে চুরি করতে পারে। জকার বিভিন্ন বিজ্ঞাপন সাইটের সঙ্গে যোগাযোগ করে থাকে এবং তাদের কাছে আমাদের মোবাইলের এসএমএস, কন্টাক্ট লিস্ট, বিভিন্ন তথ্য হাতিয়ে নিয়ে নেয় যা আপনাদের একান্ত গোপনীয় তথ্য সমূহকে ভাইরাল করে দেওয়ার জন্য যথেষ্ট। চলতি বছরের জুন মাসে প্রথম এই জোকার নামের ম্যালওয়্যার সম্পর্কে গবেষকরা জানতে পারেন। জোকার ম্যালওয়্যার আমাদের ডিভাইসের এসএমএসের একসেস নিয়ে নিতে পারে এবং সেই একসেস দ্বারা তারা আমাদের মোবাইলের কন্টাক্ট লিস্ট জেনে নিতে পারে। জোকার ম্যালওয়্যার নিজে ক্ষতি করার পাশাপাশি অন্যান্য ক্ষতিকারক অ্যাপের সাবস্ক্রিপশন চালু করে যাতে আমাদের ফোনের মধ্যে অন্যান্য ম্যালওয়্যার আক্রমণের জন্য যথেষ্ট।
অ্যাপগুলো হলো:
র্যাপিড ফেস স্ক্যানার ১০.০২
লিফ ফেস স্ক্যানার ১.০.৩
ব্রড পিকচার এডিটিং ১.১.২
কিউট ক্যামেরা ১.০৪
ড্যাজল ওয়ালপেপার ১.০. ১১
স্পার্ক ওয়ালপেপার ১.১. ১১
ক্লাইমেট এসএমএস ৩.৫
বিচ ক্যামেরা ৪.২
মিনি ক্যামেরা ১.০.২
সার্টেন ওয়ালপেপার ১.০২
রেডওয়ার্ড ক্লিন ১.১.৬
এজ ফেস ১.১.২
অল্টার মেসেজ ১.৫
সবি ক্যামেরা ১.০.১
ডিক্লেয়ার মেসেজ ১০.০২
ডিসপ্লে ক্যামেরা ১.০২
কোলাট ফেস স্ক্যানার ১৭.
গ্রেট ভিপিএন ২.০১
হিউমার ক্যামেরা ১.১.৫
প্রিন্ট প্ল্যান স্ক্যান ১.০৩
অ্যাডভোকেট ওয়ালপেপার ১.১.৯
রুডি এসএমএস মড ১.১
ইগনাইট ক্লিন ৭.৩
অ্যান্টিভাইরাস সিকিউরিটি-সিকিউরিটি স্ক্যান, অ্যাপ লক ১.১.২