দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ আফগানিস্তানের রাজধানী কাবুলে এক নির্বাচনী সমাবেশে বোমা হামলায় অল্পের জন্য রক্ষা পেয়েছেন দেশটির প্রেসিডেন্ট আশরাফ গনি। ওই হামলায় ২৪ জন বেসামরিক নাগরিক নিহত হয়েছেন। এই ঘটনায় আহত হয়েছেন অন্তত ৩১ জন। দেশটির স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের বরাত দিয়ে বার্তা সংস্থা রয়টার্স এই তথ্য নিশ্চিত করেছে। পরে নিরাপত্তা বাহিনী নিরাপত্তা বলয় তৈরি করে প্রেসিডেন্টকে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নিয়ে যায়।
আফগানিস্তানে যেনো যুদ্ধের দামামা থামছেই না। একের পর এক হামলার ঘটনা দেশটির সাধারণ মানুষের ঘুম হারাম করে দিয়েছে। প্রায় প্রতিদিনই ঘটছে একের পর এক ঘটনা। আর এই সব ঘটনায় দেশটির বেসামরিক লোকজন নিহত হচ্ছেন। বছরের পর বছর ধরে চলছে এই দামামা। পরিস্থিতি এতোটাই ভয়াবহ যে কেও ঘর থেকে বের হলে সে যে আবার ঘরে ফিরতে পারবেন তার কোনো নিশ্চয়তা নেই। এমন এক পরিস্থিতিতে চলছে আফগানিস্তান।
আফগানিস্তানের রাজধানী কাবুলে এক নির্বাচনী সমাবেশে বোমা হামলায় অল্পের জন্য রক্ষা পেয়েছেন দেশটির প্রেসিডেন্ট আশরাফ গনি। ওই হামলায় ২৪ জন বেসামরিক নাগরিক নিহত হয়েছেন। এই ঘটনায় আহত হয়েছেন অন্তত ৩১ জন। দেশটির স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের বরাত দিয়ে বার্তা সংস্থা রয়টার্স এই তথ্য নিশ্চিত করেছে। পরে নিরাপত্তা বাহিনী নিরাপত্তা বলয় তৈরি করে প্রেসিডেন্টকে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নিয়ে যায়।
দেশটির স্থানীয় সময় মঙ্গলবার (১৭ সেপ্টেম্বর) সকালের দিকে রাজধানীর উত্তরাঞ্চলের পারওয়ান প্রদেশের চারিকরে ওই নির্বাচনী জনসভায় আফগানিস্তানের প্রেসিডেন্ট আশরাফ গনি ভাষণ দিচ্ছিলেন। এই সময় এই হামলার ঘটনাটি ঘটে। তবে এখন পর্যন্ত এ ঘটনায় কোনো গোষ্ঠীই দায় স্বীকার করেনি।
এই বিষয়ে সংবাদ মাধ্যমকে প্রাদেশিক হাসপাতালের প্রধান কর্মকর্তা আব্দুল কাশিম সানজিন বলেছেন, হতাহতদের মধ্যে নারী ও শিশুও রয়েছে।
তিনি আরও বলেন, ধারণা করা হচ্ছে যে হতাহতদের অধিকাংশই বেসামরিক নাগরিক। ঘটনা ঘটার পর প্রায় সঙ্গে সঙ্গেই ঘটনাস্থলে অ্যাম্বুলেন্স পৌঁছে। বিস্ফোরণে হতাহতের সংখ্যা ক্রমেই আরও বাড়তে পারে বলে ধারনা করা হচ্ছে।
উল্লেখ্য, প্রায় সারা বছরই হামলার ঘটনা ঘটলেও নির্বাচন ঘোষণা পর হতে দেশটির বিভিন্ন অঞ্চলে হামলার ঘটনা আরও বৃদ্ধি পেয়েছে। আগামী ২৮ সেপ্টেম্বর আফগানিস্তানে প্রেসিডেন্ট নির্বাচন হওয়ার কথা রয়েছে। নির্বাচনকে ঘিরে এইসব হামলার জন্য সশস্ত্র জঙ্গী গোষ্ঠী তালেবানদেরকেই দায়ী করে আসছে দেশটির কর্তৃপক্ষ। যে কারণে আগামী নির্বাচনকে ঘিরে আরও বড় ধরণের হামলা হতে পারে বলেও ধারণা করছে দেশটির আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সর্বোচ্চ সংস্থাগুলো।