দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী ড. মাহাথির মোহাম্মদ জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের অধিবেশনে দেওয়া বক্তৃতায় বলেছেন, ইসরায়েলে আধুনিক সন্ত্রাসবাদের উৎপত্তি।
মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী ড. মাহাথির মোহাম্মদ জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের অধিবেশনে দেওয়া বক্তৃতায় বলেছেন, ইসরায়েলে আধুনিক সন্ত্রাসবাদের উৎপত্তি।
ফিলিস্তিনের ভূখণ্ড দখল করে ইসরায়েল প্রতিষ্ঠা এবং ৯০ শতাংশ আরব জনসংখ্যাকে উচ্ছেদ করার মধ্যেই আধুনিক সন্ত্রাসবাদের শেঁকড় প্রোথিত রয়েছে। মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী ড. মাহাথির মোহাম্মদ জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের অধিবেশনে দেওয়া এক বক্তৃতায় এমন কথাই উচ্চারণ করেছেন।
মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী দাবি করে বলেন, যেদিন থেকে ইসরায়েল প্রতিষ্ঠিত হয়েছে, সেদিন থেকেই অনেক দেশ যুদ্ধে জড়িয়েছে। যাদের অনেকেই ইসরায়েল প্রতিষ্ঠার সঙ্গেও জড়িত। বর্তমানে আমাদের মধ্যে যে সন্ত্রাসবাদ রয়েছে, ইসরায়েল প্রতিষ্ঠার পূর্বে তা বর্তমানের মতো এতো ব্যাপক এবং বিস্তৃত আকারে কখনও ছিল না।
নিউইয়র্কে জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের ৭৪ তম অধিবেশনে সাধারণ বিতর্ক চলাকালীন মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী ড. মাহাথির মোহাম্মদ এমন মন্তব্য করেন। মাহাথির মোহাম্মদ আরও বলেন, ‘সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে সামরিক পদক্ষেপ কখনই সফল হবে না। আমাদেরকে এর সঠিক কারণ বের করে তা সমূলে উৎপাটন করতে হবে। তবে ক্ষমতাধরেরা (রাষ্ট্ররা) তা কখনই চান না।’
মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী মাহাথির মোহাম্মদ আরও বলেন, ‘ইসরায়েল তৈরির কারণে সেখানে ইসলাম ও মুসলিম বিরোধী শত্রু তৈরি হয়েছে। গোটা বিশ্বে মুসলিমরা কিছু না করলেও তাদের সন্ত্রাসী হিসেবে আখ্যায়িত করা হয়ে থাকে। সবখানে মুসলিমরা নির্যাতিত ও নিজের দেশ থেকে বিতাড়িতও হচ্ছে। তাদের কেও আশ্রয় পর্যন্ত দিচ্ছে না।’
ড. মাহাথির মোহাম্মদ আরও বলেন, ‘প্রতি বছর হাজার হাজার মুসলিম সাগরে প্রাণ দিচ্ছে। কেও এটা অস্বীকার করতে পারবে না যে আগে কখনও এতো প্রকটভাবে অভিবাসী সঙ্কট ছিল না। বর্তমানে যুদ্ধ ও অস্থিরতার কারণে বিভিন্ন দেশ থেকে বাড়িঘর ছেড়ে পালাতে বাধ্য হচ্ছে বহু মানুষ। এটা নিয়ে কারও মধ্যে কোনো মাথা ব্যথা নেই।’
বিশ্বনেতাদের সামনে ড. মাহাথির মোহাম্মদ আরও বলেন, ‘বন্ধুরা সব আইনেরই ঊর্ধ্বে, তাদের সব কিছুই করার সুযোগ থাকে। তাই বোধহয় ইসরায়েল আন্তর্জাতিক আইন এবং বৈশ্বিক মূল্যবোধকে বৃদ্ধাঙ্গুল দেখানোর পরও তাদেরকে সবাই সমর্থন দিচ্ছে ও তাদের পক্ষে কথাও বলছে। এই পৃথিবীতে বর্তমানে কোনো ন্যায়বিচার নেই।’