দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ ১৫০ বছরের পুরনো রাশিয়ার একটি কাঠের গীর্জা সম্ভবত পৃথিবীর সর্বোচ্চ কাঠের ইমারত হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে বলে ধারনা করা হচ্ছে।
রাশিয়ার খ্রিস্ট অর্থডক্স ধর্মাবলম্বীদের একটি গির্জার বয়স ১৫০ বছর ছাড়িয়ে গেছে। গির্জাটির পুরোটাই কাঠের তৈরি। এমনকি নাটবল্টুও কাঠের। দৃষ্টিনন্দন গঠন কাঠামো। উচ্চতা ১২৩ ফুট। এটি রাশিয়ার পশ্চিমাঞ্চলীয় কিজি দ্বীপে অবস্থিত। নাম কিজি পগোস্ট। এটি ফিনল্যান্ড-রাশিয়া সীমান্তের ১৫০ মাইল পূর্বে অবস্থিত। অনেগা হ্রদের পাশে হওয়ায় এর সৌন্দর্য যেন একটু বেড়ে গেছে। পুরোপুরি কাঠের তৈরি এ যাবত্কালে প্রতিষ্ঠিত ভবনগুলোর মধ্যে বিশ্বে এটি সবচেয়ে বড় ভবন। এমনকি বিশ্বের সর্বোচ্চ কাঠের স্থাপনাও এটি।
সিলভার ও ক্ষয়িষ্ণু রংয়ের গির্জার গম্বুজগুলোর গায়ে শেষ বিকেলের আলো যখন পড়ে তখন মনে হয় ভবনে যেন সূর্যস্নান করছে। গম্বুজগুলোর ডিজাইনগুলো দেখলে মনে হবে স্তরে স্তরে সাজানো।
এটি এতই নিখুঁত যে মনে হবে, কোনো এক শিল্পীর মনের সব রং মাখিয়ে সযত্নে আঁকা ছবি দেখে এটি তৈরি করা হয়েছে। প্রতিটি গম্বুজের সরু মাথায় রয়েছে যিশুখ্রিস্টের ক্রুশবিদ্ধ প্রতীক। গির্জায় ২২টি গম্বুজ রয়েছে। বাম দিকে রয়েছে প্রবেশপথ। ভেতরে গেলে পুরনো দিনের কাঁসার দ্রব্যাদি ও কাঠের সুন্দর ফার্নিচার চোখে পড়ে।
জানা যায়, অষ্টাদশ শতাব্দীতে গির্জাটি প্রতিষ্ঠিত হয় এবং বাহ্যিক সৌন্দর্যবর্ধন কাজ শেষ হয় ১৮৬২ সালে। এটি বিশ্বের দুর্লভ ধর্মীয় স্থাপত্যগুলোর একটি। ১৯৯০ সালে ইউনেস্কো এটিকে বিশ্ব ঐতিহ্যের স্থান হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে। তথ্যসূত্র: ডেইলি মেইল।