দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমে যার কথা গত কয়েকদিন ধরে প্রকাশ পেয়েছে। এই খবর দর্শকদের মধ্যে বিশেষ করে যারা ছোটবেলাকার ছবি দেখেছেন তাদের মধ্যে আগ্রহ বেড়েছে। আর সে হলেন অভিনেত্রী দিঘী।
প্রার্থনা ফারদিন দিঘী। সেই ছোট্ট মেয়েটি এখন অনেক বড় এবং অভিনেত্রী। দিঘী নামেই তিনি সমধিক পরিচিত। তারকা জুটি প্রয়াত চিত্রনায়িকা দোয়েল এবং চিত্রনায়ক সুব্রত বড়ুয়ার মেয়ে হলেন এই দিঘী। তবে ছোট্ট বয়সে একটি বিজ্ঞাপনের সংলাপ দিয়ে ব্যাপক জনপ্রিয়তা পেয়েছিলেন দিঘী। এরপর শিশুশিল্পী হিসেবেই সিনে জগতে অভিষেক ঘটে তার। এ পর্যন্ত অনেকগুলো সিনেমাতে শিশুশিল্পী হিসেবে অভিনয় করেছেন দিঘী। তবে পূর্ণাঙ্গ অভিনেত্রী হিসেবে দিঘীকে কমই দেখা গেছে। তবে ছোট বেলায় অভিনয় করে ব্যাপক প্রশংসা পেয়েছেন দিঘী।
সেই ছোট্ট মেয়েটি এবার পূর্ণাঙ্গ একজন নায়িকা হয়ে দর্শকদের সামনে আসতে চান। সেই কথায় এবার জানিয়েছেন তার ভক্তদের। বলেছেন, এ বছরই আমি মাধ্যমিক শেষ করে কলেজের প্রাঙ্গণে পা রেখেছি। পড়াশোনার ব্যস্ততাটা তাই একটু বেড়েছে। যে কারণে নতুন করে এখন কাজের কোনও পরিকল্পনা আমার নেই। তবে শুটিংয়ের ব্যস্ততা না থাকলেও বিভিন্ন শো বা অনুষ্ঠানে মাঝে মধ্যেই সময় দিয়েছেন দিঘী। এর বাইরে এখন মূলত পড়াশোনা নিয়েই ব্যস্ত রয়েছেন এই তারকা।
সম্প্রতি একটি গণমাধ্যমের সাক্ষাৎকারে নতুন করে অভিনয়ে ফেরার বিষয়ে দিঘী বলেছেন, দর্শকরা আমাকে শিশুশিল্পী হিসেবে দেখেই অভ্যস্ত। নতুন করে অভিনয়ে ফিরলে ম্যাচিউর চরিত্রের মাধ্যমেই ফিরতে হবে আমাকে। তাই এমন একটি গল্পের মাধ্যমে ফিরতে চাই, যে কাজটি দেখে দর্শকদেরও খুব ভালো লাগবে। ভালো কিছুর মধ্যদিয়েই ফিরবো। সবকিছু মিলিয়ে একটু সময় নিচ্ছি এই যা। বলা যায় যে, নায়িকা হিসেবে আত্ম প্রকাশের জন্য আমি প্রস্তুত হচ্ছি।
শিশুশিল্পী হিসেবে তুমুল জনপ্রিয় পাওয়া এই তারকা আরও জানিয়েছেন, আমার মায়ের খুব ইচ্ছে ছিল, আমি যেনো অভিনয় করি। তাই এখন পর্যন্ত আমার ইচ্ছে সিনেমাতেই নিজের ক্যারিয়ার গড়ার জন্য। অভিনয় আমার জন্য অভ্যাস এবং ভালোবাসা দুটোই সমানভাবে রয়েছে। তাই এই জায়গাটিই আমার প্রথম পছন্দের স্থান। তবে এখনও আমার সামনে অনেক সময় রয়েছে। পরিকল্পনার পরিবর্তনও হতে পারে যে কোনো সময়। তার কথায় বোঝা যায় যে কোনো সময় যে কোনো সিদ্ধান্ত তিনি নিয়ে ফেলতে পারেন।