দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ বর্তমানে আমরা খুবই গতিময় জীবন পার করছি। আধুনিকায়নের এই যুগে আমাদের সকল কাজ কর্ম হয়েছে গতিময় এবং হয়েছে আধুনিক থেকে আধুনিকতর।
আমাদের কর্মব্যস্ত জীবনের মাঝে বাজার করার মতো আলাদা সময় আমরা বের করতে পারি না। স্বাভাবিক কর্মজীবনের চাপে আমরা এতটাই ব্যস্ত হয়ে পড়েছি যে নিজেদের জন্য একটু সময় বের করা এবং ঘরের জন্য একটু বাজার-সদাই করার মত সময়ও যেন হয়ে ওঠে না। ঠিক এমন একটি মুশকিলের আসান হিসেবে আমাদের বেছে নিতে হয় মজুদকরণ বা সংরক্ষণের মত পথ। যার ফলে আমরা ছুটির দিনে লম্বা একটি লিস্ট নিয়ে বাজার করে থাকি যাতে আমরা সারা সপ্তাহ ধরে সে বাজার ব্যবহার করতে পারি।আমাদের বাজারের সবজি বা মসলা সমূহ আমাদের সঠিকভাবে সংরক্ষণ করার অভাবে আমাদের বাজারে কাঁচা তরকারি গুলো খুব সহজে নষ্ট হয়ে যায়। মশলাপাতিও বাদ যায় না সে তালিকা থেকে। অল্প সময়ের মধ্যেই আমাদের মসলার স্বাদ ও গন্ধ নষ্ট হয়ে যেতে পারে। আমরা যদি সামান্য কিছু নিয়ম বা সঠিক সংরক্ষণের কিছু সঠিক পন্থা জেনে থাকি তাহলে খুব সহজে আমরা আমাদের দৈনন্দিন বাজার মসলা ও সবজি কে নষ্ট হওয়ার হাত থেকে বাঁচাতে পারবো।
নানাবিধ পুষ্টিবিজ্ঞানি ও বিশেষজ্ঞদের মতে মশাল নষ্ট হয়ে যাওয়ার অন্যতম প্রধান কারন গুলোর মধ্যে অন্যতম হলো আদ্রতা। বাতাসে আদ্রতার পরিমাণ বেশি থাকলে মসলা নষ্ট হতে পারে বিশেষ করে গুঁড়া মসলার ক্ষেত্রে এটি দ্রুত কাজ করে। আমরা অনেকেই মসলা কে খোলা ভাবে রাখি যেটি মোটেও উচিত নয় মনে রাখতে হবে একটি নির্দিষ্ট বয়ামের মধ্যে যাতে কোনভাবে বাতাস প্রবেশ করতে না পারে। আমরা অনেকেই সারাবছরের মসলা একসাথে গুঁড়ো করে সংরক্ষণ করে থাকি সেক্ষেত্রে আমাদেরকে অবশ্যই তা ভালোভাবে শুকিয়ে নিতে হবে। মসলাকে ভালোভাবে শুকানোর পর একটা বায়ুরোধী বাক্সে বা জারের মধ্যে রাখতে হবে। এছাড়া মসলাকে ভালো ভাবে ফ্রিজে সংরক্ষণ করা যেতে পারে। অন্যদিকে বাটা মসলা থেকে গন্ধ বের হতে পারে বা নষ্ট হয়ে যেতে বেশি দিন হয়ে গেলে । সেক্ষেত্রে বাটা মসলা বেশিদিন সংরক্ষণ করা উচিত না সেক্ষেত্রে অবশ্যই লবণ ছিটিয়ে ফ্রিজে রাখতে হবে।
গরম মসলা বা জিরা চুলার পাশে বা রোদে রাখা যাবে না রোদের তাপে মসলা তার সঠিক স্বাদ ও গন্ধ হারিয়ে ফেলতে পারে পারে। মসলা কে নাড়াচাড়া অথবা মজুদ করা পাত্র থেকে বের করার জন্য চামচ ব্যবহার করতে হবে খালি হাতে স্পর্শ করা যাবে না এবং আমাদের অবশ্যই চামচ যাতে শুকনা থাকে সেদিকে অবশ্যই লক্ষ্য রাখতে হবে। আমাদের আলু পেঁয়াজ সংরক্ষণের ক্ষেত্রে অবশ্যই প্লাস্টিকের বা ভালো মানের বায়ু রধী জার ব্যবহার করতে হবে তবে আমাদের পেঁয়াজ অনেকদিন এমনি ভাবে থাকে। অনেক ক্ষেত্রে আলু বা পেয়াজ সংরক্ষণের ক্ষেত্রে পচে যেতে পারে সে ক্ষেত্রে পচা অংশটি ভালভাবে বাছাই করে সরিয়ে ফেলতে হবে। আমাদের অনেকেরই কাজুবাদাম পেস্তা বাদাম খুবই পছন্দ সে ক্ষেত্রে কাজু পেস্তা বাদাম কে ভালো রাখার জন্য সামান্য চিনি মিশিয়ে রাখতে হবে এতে কাজু ও পেস্তা বাদাম অনেকদিন পর্যন্ত ভালো থাকে। কাঁচামরিচ সংরক্ষণের ক্ষেত্রে ফ্রিজ খুবই উত্তম একটি জায়গা সে ক্ষেত্রে মরিচের বটাকে ফেলে দিয়ে পানিতে ধুয়ে নিতে হবে। বটা ফেলে পানিতে ছেড়ে রাখলে মরিচ ১০ থেকে ১৫ দিন থাকবে।
খাদ্য বিশেষজ্ঞ রেহানা বেগম এর মতে সবজিকে ভিনেগারে সাথে পানিতে মিশিয়ে রাখলে দীর্ঘদিন পর্যন্ত এর কার্যক্ষমতার পাশাপাশি এর পুষ্টিগুণও বজায় থাকে।
এছাড়া আমাদের মাঝে অনেকেই নানা ধরনের সবজিকে কেটে কেটে আলাদা আলাদা ভাবে সংরক্ষন করে থাকি। সেক্ষেত্রে সকল সবজিগুলোকে সঠিক পরিমাণে ভাব প্রদান করে তারপর তাকে বক্সে বা বায়ুরোধী বক্স করে রেখে রেফ্রিজারেটরে সংরক্ষণ করা যেতে পারে।
সবুজ শাক সবজি সংরক্ষণের ক্ষেত্রে আমার সবুজ শাকপাতা বিশিষ্ট উপাদানসমূহকে ভালো করে পরিষ্কার করে বেছে রেফ্রিজারেটরে সংরক্ষণ করতে পারি তবে শাঁক পাতা বেশি দিন সংরক্ষণ করাই ভালো। সেক্ষেত্রে যত দ্রুত সম্ভব এদেরকে টাটকা অবস্থায় রান্না করে খেয়ে ফেলতে হবে।
এছাড়া গাজর, টমেট্ আলু , মুল্, শসা ইত্যাদি সবজি কে আলাদা আলাদা ভাবে কেটে ধুয়ে তারপর বায়ুরোধী কন্টেইনারে সংরক্ষণ করা যেতে পারে এবং সকল কন্টেনার গুলোকে ফ্রিজে সংরক্ষণ করলে বহুদিন যাবত খাদ্যগুণাগুণ বজায় থাকে। সে ক্ষেত্রে টমাটো আর মাশরুমকে কাগজের বেঁধে রাখলে এটি বেশি দিন পর্যন্ত ভালো থাকে।