দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ আমাদের কর্ম উন্নয়নে যে সকল কাজকর্ম যা স্বাভাবিক মানুষ দ্বারা সম্ভব হয় না যা অতীব বিপদজনক খুবই ভারী এক্ষেত্রে এরকম কাজকর্ম সম্পাদন করার ক্ষেত্রে বর্তমানে রোবট বা কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বিষয়ক যন্ত্র ব্যবহারের প্রচলন চলছে।
কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা কাজে লাগিয়ে সম্প্রতি করা যাচ্ছে নানাবিধ ঝুঁকিপর্ণ কাজ যাতে বেঁচে যাচ্ছে সময় বাড়ছে উৎপাদন। কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বা রোবট দ্বারা বর্তমানে বিপুল পরিমাণ উৎপাদন করা সম্ভব যা আগে অনেকগুলো মানুষকে একসাথে কাজে লাগিয়েও করা যেত না। বর্তমানে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ব্যবহার করে বিভিন্ন ভারি কাজগুলকে এক নিমিষের মধ্যেই করা সম্ভব হচ্ছে। রোবট বা কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ব্যবাহার দ্বারা বর্তমানে সময় ও পরিশ্রম দুটোই বেঁচে যাচ্ছে। বর্তমানে শারীরিক অক্ষমতা বা প্রতিবন্ধীদের জন্য কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা হতে পারে একান্তই বন্ধু। যারা শারীরিকভাবে অক্ষম বা চাকরির জন্য শারীরিকভাবে প্রস্তুত নয় সে সকল মানুষদের জন্য সুখবর বইয়ের নিয়ে আসতে পারে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা।
কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বা আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্সি প্রতিবন্ধীদের জীবনের হারানো সুখ বা কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্য। গবেষণা প্রতিষ্ঠান গার্টনারের মতে প্রতিবন্ধীদের জন্য সুখ বয়ে আনতে পারে আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স বা কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা। তাদের মধ্যে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তায় হবে প্রতিবন্ধী মানুষদের প্রকৃত বন্ধু যা পূর্বাভাস দিচ্ছে তাদের গবেষণায়। গবেষণা প্রতিষ্ঠান গার্টনারের মতে আগামী ২০২৩ সালের মধ্যে শারীরিক প্রতিবন্ধীদের চাকরির সন্ধান বৃদ্ধি পাবে আরো তিন গুণ হারে এই কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বা আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্সির দ্বারা। পৃথিবীতে বুদ্ধিমত্তার আধুনিক প্রযুক্তির বিকাশের ফলে প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের কর্মক্ষেত্রের সুযোগের পরিমাণ অতীব হারে বৃদ্ধি পেয়ে যাবে বলে মত প্রকাশ করেন এই প্রতিষ্ঠানটি।
দক্ষ প্রতিভা সম্পন্ন প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের নিয়ে কাজ করা যেতে পারে বলে জানান গার্টনারের ফেলো ডেরি প্লামার। তিনি আরো ব্যক্ত করেন অগমেন্টেড রিয়েলিটি ও ভার্চুয়াল রিয়েলিটির মতো আধুনিক এই প্রযুক্তি দ্বারা খুব সহজেই প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের নিয়ে কাজ করা যেতে পারে যা থেকে তাদের সঠিক কর্ম দক্ষতা ও যোগ্যতা প্রমাণিত হবে। বর্তমানে প্রায় অনেক রেস্তোরাঁতেই রোবট পরিবেশনকারী নিয়োগ হচ্ছে যেখানে খুব সহজে রোবট কে পরিচালনা করা হচ্ছে শারীরিক অক্ষমতা সম্পন্ন ব্যক্তিদের দ্বারা। সেসব প্রতিষ্ঠানে বিশেষ ভাবে শারীরিক অক্ষম এমন ব্যক্তিকে কর্মী নিয়োগ করা যেতে পারে। সে ক্ষেত্রে উক্ত প্রতিষ্ঠানের সুনাম বাড়ার পাশাপাশি তাদের প্রায় ৭০ শতাংশ উৎপাদন ক্ষমতা বৃদ্ধি পাবে বলে ব্যক্ত করেন প্লামার। এ সকল কাজের ক্ষেত্রে প্রতিষ্ঠানের লাভ প্রায় ২৯ শতাংশ বৃদ্ধি পেতে পারে। ভবিষ্যতে এইআই এর প্রতি সকল প্রতিষ্ঠান আগ্রহ প্রকাশ করবে বলে পূর্বাভাস দিয়েছেন গার্টনার। তাদের মত ২০২০ সালের পর থেকে এই প্রযুক্তির পেছনে ছুটবে সকল প্রতিষ্ঠানসমূহ যারা খুব সহজে চাইবে তাদের উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধি করতে।
কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার কাজ করার ধরন হবে ভিন্ন এটি ক্রেতাদের আবেগ আচরণকে বিশ্লেষণ করে পরবর্তী পদক্ষেপ গ্রহণ করবে। কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ক্রেতাদের রুচি অনুযায়ী তাদের কেনাকাটার তথ্য বিশ্লেষণের ক্ষেত্রে কাজ করে যাবে। মার্কেটিংয়ের ক্ষেত্রে ভবিষ্যতে এ আই ও মেসিন লার্নিং কেনাকাটার ক্ষেত্রে শীর্ষ তিন স্থানে দেয়া যাবে। কেনাকাটার ক্ষেত্রে এই বুদ্ধিমত্তাকে শীর্ষস্থানে রেখেছে প্রায় ২৮ শতাংশ ক্রেতা নিজেই। তাদের মতে এ আই এর ও মেশিন লার্নিং এর এই উদ্যোগ খুবই অভিনব ও আধুনিক।