দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ টঙ্গীর তুরাগ তীরে আজ (শুক্রবার) হতে শুরু হয়েছে বিশ্ব ইজতেমার প্রথম পর্ব। এদিকে এই বিশ্ব ইজতেমা ঘিরে থাকছে পাঁচ স্তরের নিরাপত্তাব্যবস্থা। ফজরের নামাজের পর আম বয়ানের মাধ্যমে শুরু হয়েছে এবারের বিশ্ব ইজতেমা।
নিরাপত্তার জন্য বিশ্ব ইজতেমায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর প্রায় সাড়ে ৮ হাজার সদস্য দায়িত্ব পালন করবেন। আজকের (১০ জানুয়ারি) হতে শুরু হয়ে প্রথম পর্বের ইজতেমার আখেরি মোনাজাত হবে আগামী পরশু (রবিবার) ১২ জানুয়ারি।
টঙ্গীর তুরাগ নদীর তীরে আজ (শুক্রবার) হতে শুরু হওয়া প্রথম পর্বের বিশ্ব ইজতেমা ঘিরে থাকছে পাঁচ স্তরের নিরাপত্তাব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। এবার ইজতেমায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর প্রায় সাড়ে ৮ হাজার সদস্য দায়িত্ব পালন করবেন। ১০ জানুয়ারি থেকে প্রথম পর্বের ইজতেমার আখেরি মোনাজাত হবে ১২ জানুয়ারি রবিবার। মাঝে চারদিনের বিরতি দিয়ে দ্বিতীয় পর্বের বিশ্ব ইজতেমা আগামী ১৭ জানুয়ারি শুরু হয়ে ১৯ জানুয়ারি আখেরী মোনাজাতের মধ্য দিয়ে তা শেষ হবে।
প্রতি বছরের মতো এবারও বাড়তি পুলিশ, র্যাব, বিজিবি এবং সাদা পোশাকের গোয়েন্দা সংস্থার লোকজন মাঠের ভিতর এবং বাইরে নিরাপত্তার দায়িত্বে নিয়োজিত থাকবেন বলে জানানো হয়েছে। বিশ্ব ইজতেমা ময়দানের বিশাল সামিয়ানা টাঙ্গানো আগেই শেষ হয়। রাস্তাঘাট মেরামত ও পয়ঃনিষ্কাশনের কাজও শেষ করা হয়েছে। আগত মুসল্লিদের নিরাপত্তায় থাকছে কঠোর নিরাপত্তাব্যবস্থা। ১৬০ একর জমির ওপর প্রায় দুই বর্গকিলোমিটার এলাকাজুড়ে বিশাল চটের প্যান্ডেলের সামিয়ানার নিচে প্রতিবছর এই ইজতেমা অনুষ্ঠিত হয়ে থাকে। স্কুল-কলেজ ও মাদ্রাসার ছাত্রসহ বিভিন্ন শ্রেণী-পেশার মানুষ স্বেচ্ছাশ্রমের ভিত্তিতে ময়দানে প্যান্ডেল তৈরির কাজ করেন। এটি বর্তমানে রেওয়াজে পরিণত হয়েছে। অনেক মুসল্লি দলবল নিয়ে আগে থেকেই ইজতেমা মাঠে চলে আসেন এবং ময়দানে কাজে অংশও নিয়ে থাকেন।
গাজীপুর সিটি করপোরেশন সূত্রে জানা যায়, তাদের ব্যবস্থাপনায় এবার ৮টি কন্ট্রোল রুম স্থাপন করা হয়েছে। এছাড়াও মাঠের গুরুত্বপূর্ণ স্থানে ১৫টি তোরণ নির্মিত হয়েছে। পুলিশের পক্ষ হতে ১৪টি এবং র্যাবের পক্ষ থেকে ১০টি ওয়াচ টাওয়ার নির্মাণ করা হয়। এছাড়াও মাঠে ব্লিচিং পাউডার ও মশক নিধনের পর্যাপ্ত ওষুধ ছিটানোর কাজও শুরু করা হয়েছে আগেই। ৭৫০টি বৈদ্যুতিক বাতি স্থাপন এবং ধুলোবালি যাতে না ওঠে সেজন্য পানি ছিটানোর ব্যবস্থাও থাকছে।
জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল বিভাগ বিশ্ব ইজতেমা ময়দানে পানি সরবরাহ ও পয়ঃনিষ্কাশনের পর্যাপ্ত ব্যবস্থায় রেখেছে। মুসল্লির সমাগমকে সামনে রেখে প্রতিদিন সাড়ে তিন কোটি গ্যালন পানির ব্যবস্থা থাকছে। বাড়তি টয়লেট নির্মাণ এবং পাকা টয়লেটগুলো ব্যবহার উপযোগী করা হয়েছে। প্রতি বছরের মতো এবারও পানি ও পয়ঃনিষ্কাশনে মুসল্লিদের কোনো সমস্যা হবে না বলে জানানো হয়েছে। সিসিটিভি, আর্চওয়ে, মেটাল ডিটেক্টর থাকছে পুরো ময়দানজুড়েই। সার্বিক নিরাপত্তায় এবার ইজতেমায় ৮ হাজার পুলিশ সদস্য কাজ করবে। এ বছরের ইজতেমা রেকর্ড সংখ্যক মানুষের উপস্থিতির সম্ভাবনা তৈরি হওয়ায় বিশ্ব ইজতেমার মাঠের পরিধি আরও বাড়ানো হয়েছে বলে জানা যায়। আগের খিত্তাগুলোর সঙ্গে এবার অতিরিক্তি ১৪টি খিত্তাও যোগ করা হয়েছে।