দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ করোনা নিরাময়ের দাবি করে প্রতারণামূলক মেইলও পাঠাতে পারে সাইবার দুর্বৃত্তরা। এতে ক্লিক করলেই ব্যক্তিগত তথ্য চুরি হয়ে যেতে পারে- এই বলে সাবধান করা হয়েছে।
সাইবার নিরাপত্তা প্রতিষ্ঠান প্রুফপ্রিন্ট গত ফেব্রুয়ারি মাসে এই ধরনের মেইল পাওয়া কথা জানিয়েছিলো। এতে রহস্যময় একজন চিকিৎসক করোনার ওষুধ আবিষ্কার করেছেন বলেও দাবি করা হয়েছে। এই মেইলের কয়েক রকম সংস্করণ তৈরি করে ব্যবহারকারীর কাছে পাঠানো হয়েছিলো। এতে কেও উৎসাহ দেখিয়ে ক্লিক করলেই একটি ওয়েবপেজে নিয়ে লগইন করতে বলছে। এভাবেই ব্যক্তিগত তথ্য হাতিয়ে নেয় সাইবার ক্রাইম দুর্বৃত্তরা।
ট্যাক্স ফেরত মেইল
সাইবার নিরাপত্তা প্রতিষ্ঠান মাইমকাস্ট কয়েক সপ্তাহ পূর্বে এই ধরনের প্রতারণামূলক মেইল শনাক্ত করেছিলো। ওই মেইলে ট্যাক্স ফেরতসংক্রান্ত নানা সুবিধার কথা বলা হয়েছিলো। ক্লিক করলে ভুয়া সরকারি পেজে নিয়ে যায় ও তখন আর্থিক তথ্য ও ট্যাক্সের তথ্য দিতে বলা হয়। এতে ফান্ডের জন্য ঢুকতে গেলেই সর্বনাশ ঘটতে পারে বলে সাবধান করেছেন বিশেষজ্ঞরা।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার নকল মেইল!
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) ওয়েবপেজ নকল করে অনেক ভুয়া ই-মেইল ক্যাম্পেইন চালিয়েছে সাইবার দুর্বৃত্তরা। এতে দাবি করা হয় যে, তাদের পাঠানো তথ্য মেইল প্রাপক কীভাবে করোনা ভাইরাস প্রতিরোধ করতে পারবেন, তা বলা রয়েছে! এতে আরও বলা হয়, অল্প ব্যবস্থার মধ্যেই করোনা প্রতিরোধ করা সম্ভব। তবে প্রুফপ্রিন্ট বলছে যে, এই ধরনের ভুয়া মেইলে কোনো দরকারি পরামর্শই থাকে না। এতে এজেন্ট টেসলা কিলগারের মতো ক্ষতিকর প্রোগ্রামই থাকে। এটি ইনস্টল হয়ে গেলে অনলাইনে ব্যবহারকারী কী কী লেখেন, তা পুরোটাই টের পেয়ে যায় সাইবার দুর্বৃত্তরা।
আতঙ্ক ধরানো মেইলটি
সাইবার দুর্বৃত্তরা করোনা নিয়ে মানুষের আতঙ্ককে কাজে লাগিয়ে মেইল করতে পারে বলেও সাবধান করেছেন বিশেষজ্ঞরা। এমনই একধরনের মেইল শনাক্ত করেছে কোফেন্স নামে একটি সাইবার নিরাপত্তা প্রতিষ্ঠান। তাদের দাবি হলো, সেন্টারস ফর ডিজিজ কন্ট্রোল অ্যান্ড প্রিভেনশনের (সিডিসি) নাম করে ভুয়া মেইলও পাঠায় সাইবার দুর্বৃত্তরা। এই মেইলে করোনা নিয়ে নানা ভীতিকর কথা বলা হয়েছে। তারপর এটি মাইক্রোসফটের লগইন পেজে নিয়ে যাওয়া হয়। কেও ই–মেইল এবং পাসওয়ার্ড দিলে তা হাতিয়ে নেয় ওইসব দুর্বৃত্তরা।
সাহায্য চেয়ে মেইল পাঠানো
সাইবার নিরাপত্তা প্রতিষ্ঠান ক্যাসপারস্কির তথ্য অনুযায়ী জানা যায়, করোনার পরিস্থিতি নিয়ে প্রতারণামূলক বিভিন্ন মেইলও পাঠাতে পারে দুর্বৃত্তরা। কোনো মেইলে ওষুধ উৎপাদনের জন্য অর্থ সাহায্য চাওয়া হতে পারে, আবার কোনোটিতে মৃত্যুশয্যাশায়ী কারও নাম করে অর্থ চাওয়া হতে পারে। এইসব অর্থ বিটকয়েনে পরিশোধ করতে বলা হয়ে থাকে। ক্যাসপারস্কি ইতিমধ্যেই ৫১৩ ধরনের প্রতারণামূলক মেইলও শনাক্ত করেছে। এই ধরনের প্রতিটি মেইলে, ভাইরাস, ম্যালওয়্যার কিংবা ক্ষতিকর প্রোগ্রাম যুক্ত করে দিয়েছে সাইবার দুর্বৃত্তরা।