দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ বিশ্বব্যাপি দাপিয়ে বেড়াচ্ছে করোনা। প্রাণঘাতি করোনা ভাইরাসের সংক্রমণে সারাবিশ্বে ১৮ লাখের বেশি মানুষ মারা যাবে বলে একটি গবেষণায় উঠে এসেছে। গবেষকরা অনুমান করছেন যে, বিভিন্ন দেশের সরকার যদি নাগরিকদের পরীক্ষা, কোয়ারেন্টিন করা ও সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখাসহ কঠোর জনস্বাস্থ্য ব্যবস্থা নিশ্চিত করার জন্য দ্রুত পদক্ষেপ গ্রহণ করে তবেই লাখ লাখ জীবন বাঁচানো সম্ভব।
বিশ্বব্যাপি দাপিয়ে বেড়াচ্ছে করোনা। প্রাণঘাতি করোনা ভাইরাসের সংক্রমণে সারাবিশ্বে ১৮ লাখের বেশি মানুষ মারা যাবে বলে একটি গবেষণায় উঠে এসেছে। গবেষকরা অনুমান করছেন যে, বিভিন্ন দেশের সরকার যদি নাগরিকদের পরীক্ষা, কোয়ারেন্টিন করা ও সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখাসহ কঠোর জনস্বাস্থ্য ব্যবস্থা নিশ্চিত করার জন্য দ্রুত পদক্ষেপ গ্রহণ করে তবেই লাখ লাখ জীবন বাঁচানো সম্ভব।
গত ২৬ মার্চ ব্রিটেনের ইম্পেরিয়াল কলেজ হতে সম্পাদিত ওই গবেষণাটি প্রকাশ করা হয় । তবে তাৎক্ষণিক হস্তক্ষেপ না করলে এই বছরের মধ্যেই পৃথিবীর সব মানুষ করোনা ভাইরাসে সংক্রমিত হতে পারে এবং সেক্ষেত্রে ৪ কোটি মানুষ মারা যেতে পারে বলেও গবেষণাটিতে দাবি করা হয়।
দ্রুত কঠোর নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা আরোপ করার কারণে সপ্তাহে প্রতি ১ লাখ মানুষের মধ্যে ০.২ জন করে মারা যাচ্ছে। যদি একই পদক্ষেপগুলো নিতে দেরি করা হতো তাহলে সপ্তাহে প্রতি ১ লাখ মানুষের মধ্যে ১.৬ জন মানুষ মৃত্যুবরণ করতো। যে কারণে প্রায় ১.৫ কোটি মানুষ প্রাণ হারাতো এবং পৃথিবীর ২৪০ কোটি মানুষ করোনায় আক্রান্ত হতো।
তবে করোনা ভাইরাসের কারণে কী পরিমাণ সামাজিক এবং অর্থনৈতিক ক্ষতি হবে সে বিষয়ে কোনো তথ্য উঠে আসেনি ওই রিপোর্টে। এই গবেষণার একজন গবেষক বলেন, ‘অনেক বেশি ক্ষতি হবে ও অসমানুপাতিক হারে হবে এই ক্ষতির পরিমাণ। বিশেষ করে স্বল্প আয়ের সংস্থার ক্ষেত্রে এটি হবে।’
সংবাদ সংস্থা এএফপি’র প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, ইম্পেরিয়াল কলেজের এই গবেষণাটি ভাইরাসের সংক্রামকতা, আনুমানিক মৃত্যুর হার, জনসংখ্যার ভিত্তিক ও সামাজিক কারণগুলোর বর্তমান তথ্যের উপর ভিত্তি করেই সম্পাদন করা হয়েছে।
ইম্পেরিয়াল কলেজ তার সর্বশেষ প্রতিবেদনে ব্রিটেন সরকারকে ভাইরাস প্রতিরোধের প্রয়াস চালিয়ে যাওয়ার জন্য উৎসাহিত করেছে। বিশ্বব্যাপি করোনা প্রতিরোধে আরও কার্যকরি পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে বলে মন্তব্য করা হয়।