দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে পড়া প্রাণঘাতি করোনা ভাইরাস নিয়ে বিজ্ঞানীদের যেনো ঘুম হারাম। দিনকে দিন হু হু করে বৃদ্ধি পাচ্ছে মৃতের সংখ্যা। এর মধ্যে চীনা বিশেষজ্ঞের দাবি করেছেন এপ্রিলের শেষে নিয়ন্ত্রণে আসবে করোনা।
প্রাণঘাতি এই ভাইরাসটির কোনো প্রতিষেধক আবিষ্কার না হওয়ার কারণে চরম আতঙ্কের মধ্যে দিন কাটাতে হচ্ছে সাধারণ মানুষকে। তবে ইতিমধ্যে আশার বাণী শুনিয়েছেন চীনের বিশেষজ্ঞ জুং নানশান।
আগামী এপ্রিল মাসের শেষের দিকে প্রাণঘাতি এই ভাইরাসটি নিয়ন্ত্রণে আসতে পারে বলে মন্তব্য করেছেন চীনের শ্বাসতন্ত্রের রোগ ওই বিশেষজ্ঞ জুং নানশান। বুধবার চীনের শেনজেন টেলিভিশনকে দেওয়া এক একান্ত সাক্ষাৎকারে তিনি এই মন্তব্য করেছেন।
জুং নানশান বলেছেন, করোনা প্রতিরোধে বিশ্বের দেশগুলো যেভাবে কার্যকরী পদক্ষেপ গ্রহণ করছে তাতে আমার মনে হচ্ছে এ মাসের শেষদিকে মহামারিটি নিয়ন্ত্রণে চলে আসবে। তবে আগামী বসন্তে আরও একটি ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব হবে কিনা তা নিয়ে অনিশ্চয়তা রয়েই গেছে বলেও মন্তব্য করেছেন এই বিশেষজ্ঞ।
ওয়ার্ল্ডওমিটারস ওয়েবসাইটের তথ্য মতে, করোনা ভাইরাসে এই পর্যন্ত সবচেয়ে বেশি আক্রান্ত হয়েছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে, ২ লাখ ৪৪ হাজার ৩২০ জন মানুষ এই ভাইরাসটিতে আক্রান্ত হয়েছেন। বিশ্বের সবচেয়ে বেশি মানুষ মারা গেছে ইতালিতে, ১৩ হাজার ৯১৫ জন। করোনা ভাইরাসে বিশ্বে এই পর্যন্ত ৫৩ হাজার ১৯০ জন মারা গেছে। অপরদিকে সর্বশেষ তথ্য মতে মোট আক্রান্ত হয়েছে ১০ লাখ ১৪ হাজার ৩৮৬ জন।
করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে করণীয়
# সব সময় ঘরে থাকি।
# জরুরি প্রয়োজনে বাইরে বের হলে নিয়মগুলো মানি, মাস্ক ব্যবহার করি।
# তিন লেয়ারের সার্জিক্যাল মাস্ক ইচ্ছে করলে ধুয়েও ব্যবহার করতে পারি।
# বাইরে থেকে ঘরে ফেরার পর পোশাক ধুয়ে ফেলি। কিংবা না ঝেড়ে ঝুলিয়ে রাখি অন্তত চার ঘণ্টা।
# বাইরে থেকে এসেই আগে ভালো করে (অন্তত ২০ সেকেণ্ড ধরে) হাত সাবান বা লিকুইড দিয়ে ধুয়ে ফেলি।
# প্লাস্টিকের তৈরি পিপিই বা চোখ মুখ, মাথা একবার ব্যবহারের পর অবশ্যই ডিটারজেন্ট দিয়ে ভালো করে ধুয়ে শুকিয়ে ব্যবহার করা যেতে পারে।
# কাপড়ের তৈরি পিপিই বা বর্ণিত নিয়মে পরিষ্কার করে পরি।
# চুল সম্পূর্ণ ঢাকে এমন মাথার ক্যাপ ব্যবহার করি।
# হাঁচি কাশি যাদের রয়েছে সরকার হতে প্রচারিত সব নিয়ম মেনে চলি। এছাড়াও খাওয়ার জিনিস, তালা চাবি, সুইচ ধরা, মাউস, রিমোট কন্ট্রোল, মোবাই, ঘড়ি, কম্পিউটার ডেক্স, টিভি ইত্যাদি ধরা ও বাথরুম ব্যবহারের আগে ও পরে নির্দেশিত মতে হাত ধুয়ে নিন। যাদের হাত শুকনো থাকে তারা হাত ধোয়ার পর Moisture ব্যবহার করি। সাবান বা হ্যান্ড লিকুইড ব্যবহার করা যেতে পারে। কেনোনা শুকনো হাতের Crackle (ফাটা অংশ) এর ফাঁকে এই ভাইরাসটি থেকে যেতে পারে। অতি ক্ষারযুক্ত সাবান বা ডিটারজেন্ট ব্যবহার থেকে বিরত থাকাই ভালো।