দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ গবেষকদের ধারণা নভেল করোনা ভাইরাসের প্রতিষেধক বা ভ্যাকসিন তৈরি সম্পন্ন হয়েছে। এবার কেবল অপেক্ষা মানবদেহে ট্রায়াল কিংবা পরীক্ষামূলক প্রয়োগের। যা আজ (বৃহস্পতিবার) করা হচ্ছে।
জার্মানির ভ্যাকসিন প্রস্তুতকারক এবং নিয়ন্ত্রক সংস্থা গতকাল (বুধবার) সে ট্রায়ালেরই সবুজ সংকেত দিয়েছে জার্মান সংস্থা বায়োএনটেক এবং মার্কিন ওষুধ প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠান ফাইজারকে। এই দুই সংস্থার যৌথ প্রচেষ্টা সফল হলে বিশ্ব পেয়ে যেতে পারে বহুল আলোচিত করোনার আকাঙ্ক্ষিত ভ্যাকসিন।
জার্মান সংবাদমাধ্যম ডয়েচে ভেলের তথ্য অনুযায়ী জানা যায়, আপাতত ১৮ থেকে ৫৫ বছর বয়সী ২০০ সুস্থ মানুষের দেহে প্রাথমিকভাবে প্রয়োগ করা হবে এই ভ্যাকসিন। চলতি মাসেই এই ট্রায়াল শুরু হবে। এতে সাফল্য পাওয়া গেলে ওই ভ্যাকসিন গুরুতর অসুস্থ করোনা রোগীর দেহেও প্রয়োগ করা হবে।
এই জার্মান স্বাস্থ্যমন্ত্রী জেন্স স্ফান বলেছেন, ‘আশার কথা হলো যে, আমরা করোনা ভাইরাসের ভ্যাকসিনের ট্রায়াল শুরু করতে পারছি। তবে ভ্যাকসিনটি পরীক্ষায় সফল হলে বাজারে আসতে কয়েক মাস সময় লাগতে পারে।’
ওদিকে যুক্তরাজ্যের অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকদের তৈরি একটি ভ্যাকসিনের ট্রায়াল শুরু হচ্ছে আজ (বৃহস্পতিবার)। কোন ভ্যাকসিনটি সবার আগে করোনায় আক্রান্তের আরোগ্যে কাজে লাগে সেটিই এখন দেখার বিষয়।
করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে করণীয়
# সব সময় ঘরে থাকি।
# জরুরি প্রয়োজনে বাইরে বের হলে নিয়মগুলো মানি, মাস্ক ব্যবহার করি।
# তিন লেয়ারের সার্জিক্যাল মাস্ক ইচ্ছে করলে ধুয়েও ব্যবহার করতে পারি।
# বাইরে থেকে ঘরে ফেরার পর পোশাক ধুয়ে ফেলি। কিংবা না ঝেড়ে ঝুলিয়ে রাখি অন্তত চার ঘণ্টা।
# বাইরে থেকে এসেই আগে ভালো করে (অন্তত ২০ সেকেণ্ড ধরে) হাত সাবান বা লিকুইড দিয়ে ধুয়ে ফেলি।
# প্লাস্টিকের তৈরি পিপিই বা চোখ মুখ, মাথা একবার ব্যবহারের পর অবশ্যই ডিটারজেন্ট দিয়ে ভালো করে ধুয়ে শুকিয়ে ব্যবহার করা যেতে পারে।
# কাপড়ের তৈরি পিপিই বা বর্ণিত নিয়মে পরিষ্কার করে পরি।
# চুল সম্পূর্ণ ঢাকে এমন মাথার ক্যাপ ব্যবহার করি।
# হাঁচি কাশি যাদের রয়েছে সরকার হতে প্রচারিত সব নিয়ম মেনে চলি। এছাড়াও খাওয়ার জিনিস, তালা চাবি, সুইচ ধরা, মাউস, রিমোট কন্ট্রোল, মোবাই, ঘড়ি, কম্পিউটার ডেক্স, টিভি ইত্যাদি ধরা ও বাথরুম ব্যবহারের আগে ও পরে নির্দেশিত মতে হাত ধুয়ে নিন। যাদের হাত শুকনো থাকে তারা হাত ধোয়ার পর Moisture ব্যবহার করি। সাবান বা হ্যান্ড লিকুইড ব্যবহার করা যেতে পারে। কেনোনা শুকনো হাতের Crackle (ফাটা অংশ) এর ফাঁকে এই ভাইরাসটি থেকে যেতে পারে। অতি ক্ষারযুক্ত সাবান বা ডিটারজেন্ট ব্যবহার থেকে বিরত থাকাই ভালো।