দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক॥ বর্তমানে স্মার্টফোন আগের মোবাইল ফোনের মত অবস্থায় নেই। এখন স্মার্টফোন মানে কম্পিউটারের মতই শক্তিশালী একটি ডিভাইস। বর্তমানে শক্তিশালী এসব স্মার্টফোনের বদৌলতে অনেক সহজ হয়েছে গোয়েন্দাগিরি। খুব সহজেই এর ব্যবহারকারীর সকল তথ্য হাতিয়ে নেয়া যায় স্মার্টফোন হ্যাকিং এর মাধ্যমে।
গবেষকরা জানিয়েছেন, রুটকিট নামে ম্যালওয়্যার দিয়ে হ্যাক করা স্মার্টফোন এর ব্যবহারকারীর ওপর গোয়েন্দাগিরি করতে পারে। মুহূর্তে হাতিয়ে নিতে পারে এর ব্যবহারকারীর সকল ব্যক্তিগত তথ্য। সাধারণত ব্লুটুথ বা জিপিএস ব্যবহার করে টেক্সট মেসেজিংয়ের মাধ্যমে রুটকিট ম্যালওয়্যার স্মারটফোনে ছড়ানোও এখন অনেক সহজ। এ রুটকিট ম্যালওয়্যার দিয়ে জিপিএস প্রযুক্তির মাধ্যমে ব্যবহারকারী তার স্মারটফোন নিয়ে কোথায় অবস্থা করছেন, সম্প্রতি কোথায় কোথায় গিয়েছেন, কার কার সাথে যোগাযোগ করেছেন তার তথ্যও হ্যাকার হাতিয়ে নিতে পারে।
বর্তমানে মোবাইল ফোন মানেই একটি কম্পিউটার। আজ থেকে ১০ বছর আগের মোবাইল ফোনের সাথে বর্তমানের মোবাইলের রয়েছে বিরাট পরিবর্তন। আজ থেকে ১০ বছর আগে মানুষ যা ভাবতেই পারেনি তাই এখন মোবাইলে সম্ভব! কম্পিউটারে সাধারণত স্পাইওয়্যার বা ম্যালওয়্যার সফটওয়্যার দিয়ে হ্যাকিং করা হয়ে থাকে। কিন্তু বর্তমানে স্মার্টফোনেও এ জাতীয় হ্যাকিং সফটওয়্যার ব্যবহারের মাধ্যমে ব্যবহারকারীর সকল তথ্য পাচার করা হচ্ছে।
এদিকে সম্প্রতি অ্যামেরিকার গোয়েন্দা তথ্য ফাঁসকারী স্নোডেনের তথ্য অনুযায়ী মার্কিন সরকার অনেকের উপর গোয়েন্দা নজরদারি করতে স্মারটফোন ব্যবহার করেছেন। তাছাড়া ভারত সরকার সে দেশের মোবাইল অপারেটরদের রেকর্ড করা গ্রাহকদের কল রেকর্ডে সরাসরি প্রবেশ করে বলে জানা গেছে।
সূত্রঃ ইন্ডিয়া টাইমস।