দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ প্রাণঘাতি করোনা ভাইরাস মহামারির কারণে ব্যবসা-বাণিজ্যে ভাটা পড়েছে বিশ্বের প্রায় প্রত্যেকটি দেশেই। রেস্তোরাঁ ও হোটেলসহ অনেক প্রতিষ্ঠান বন্ধ রয়েছে। ব্যতিক্রম ঘটেনি জার্মানিতেও।
অন্যান্য প্রতিষ্ঠানের মতোই করোনায় বিপদে পড়েছে জার্মানির বিয়ার উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানগুলো। হাজার হাজার লিটার বিয়ার নষ্ট হওয়ার উপক্রম হয়েছে। শেষমেশ উপায় না দেখে একটি প্রতিষ্ঠান বিনামূল্যে বিতরণ শুরু করেছে বিয়ার।
বিয়ার ফেলে দেওয়ার বদলে ক্রেতাদের মধ্যে বিনামূল্যে বিতরণ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে জার্মানির ভিলিঙ্গার ব্রাউহাইস নামে একটি প্রতিষ্ঠান। ইতিমধ্যে জার্মানির হেসে রাজ্যের এই প্রতিষ্ঠানটি ২ হাজার ৬০০ লিটার বিয়ার বিতরণ করেছে বলেও জানা যায় আন্তর্জাতিক সংবাদ মাধ্যম সূত্রে।
প্রতিষ্ঠানের মালিক ফ্রানৎস মাস্ট সংবাদ মাধ্যমকে বলেছেন, ‘জনগণকে আমরা ধন্যবাদ জানাতে চাই। আমরা আশা করবো যে, বর্তমানে যারা আসছেন, তারা পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলেও এভাবেই আমাদের সঙ্গেই থাকবেন।’
এই বিয়ার বিভিন্ন এলাকার রেস্তোরাঁ, বার এবং হোটেলে সরবরাহ করার কথা। তবে করোনা মহামারির কারণে সব বন্ধ হয়ে যাওয়ায় বিপদে পড়েছেন ভিলিঙ্গার ব্রাউহাইস। এখন ধীরে ধীরে জার্মানির বিভিন্ন রাজ্যে সবকিছুই খুলতে শুরু করেছে। যে কারণে পরিস্থিতি পুরোপুরি স্বাভাবিক হওয়ার আগে নতুন বিয়ার উৎপাদনে যেতে হবে এই প্রতিষ্ঠানটিকে।
এদিকে ফ্রি বিয়ার নিতে ভিড় জমাচ্ছেন ক্রেতারা। প্রায় প্রতিদিনই সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখা এবং মাস্ক পরাসহ নানা নির্দেশনা মেনে সকাল থেকে লাইনে দাঁড়িয়ে বিয়ার নিতে দেখা গেছে অনেককেই।
উল্লেখ্য, করোনা মহামারিতে অন্যন্য খাতের মতোই জার্মানির বিয়ার উৎপাদনকেও ব্যাপকভাবে ব্যাহত করেছে। গ্রীষ্মকালে পুরো জার্মানি জুড়ে নানা ধরনের বিয়ার উৎসবের আয়োজন করা হয়। তবে এবার বাভারিয়ার রাজ্যের বিখ্যাত অক্টোবর ফেস্টসহ অন্যসব বিয়ার উৎসব বাতিল ঘোষণা করা হয়েছে করোনা ভাইরাসের কারণে। চীন ও ইতালিতেও রফতানি বন্ধ হয়ে গেছে।
এই অবস্থায় এই খাতে বড় ধরনের ধস নামার আশঙ্কা প্রকাশ করেছে জার্মানির বিয়ার উৎপাদকদের সংগঠন ডয়চে ব্রাউয়ার বুন্ড।
করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে করণীয়
# সব সময় ঘরে থাকি।
# জরুরি প্রয়োজনে বাইরে বের হলে নিয়মগুলো মানি, মাস্ক ব্যবহার করি।
# তিন লেয়ারের সার্জিক্যাল মাস্ক ইচ্ছে করলে ধুয়েও ব্যবহার করতে পারি।
# বাইরে থেকে ঘরে ফেরার পর পোশাক ধুয়ে ফেলি। কিংবা না ঝেড়ে ঝুলিয়ে রাখি অন্তত চার ঘণ্টা।
# বাইরে থেকে এসেই আগে ভালো করে (অন্তত ২০ সেকেণ্ড ধরে) হাত সাবান বা লিকুইড দিয়ে ধুয়ে ফেলি।
# প্লাস্টিকের তৈরি পিপিই বা চোখ মুখ, মাথা একবার ব্যবহারের পর অবশ্যই ডিটারজেন্ট দিয়ে ভালো করে ধুয়ে শুকিয়ে ব্যবহার করা যেতে পারে।
# কাপড়ের তৈরি পিপিই বা বর্ণিত নিয়মে পরিষ্কার করে পরি।
# চুল সম্পূর্ণ ঢাকে এমন মাথার ক্যাপ ব্যবহার করি।
# হাঁচি কাশি যাদের রয়েছে সরকার হতে প্রচারিত সব নিয়ম মেনে চলি। এছাড়াও খাওয়ার জিনিস, তালা চাবি, সুইচ ধরা, মাউস, রিমোট কন্ট্রোল, মোবাই, ঘড়ি, কম্পিউটার ডেক্স, টিভি ইত্যাদি ধরা ও বাথরুম ব্যবহারের আগে ও পরে নির্দেশিত মতে হাত ধুয়ে নিন। যাদের হাত শুকনো থাকে তারা হাত ধোয়ার পর Moisture ব্যবহার করি। সাবান বা হ্যান্ড লিকুইড ব্যবহার করা যেতে পারে। কেনোনা শুকনো হাতের Crackle (ফাটা অংশ) এর ফাঁকে এই ভাইরাসটি থেকে যেতে পারে। অতি ক্ষারযুক্ত সাবান বা ডিটারজেন্ট ব্যবহার থেকে বিরত থাকাই ভালো।