দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ এখন থেকে রাইড শেয়ারিং সেবা সার্ভিস উবারে বিকাশ দিয়ে পেমেন্ট করতে পারবেন। এক বিজ্ঞপ্তিতে বিকাশ এই তথ্য দিয়েছে।
জানা গেছে, উবার রাইডের ভাড়া বিকাশে পরিশোধ করার সেবা নিতে হলে উবার অ্যাপের ‘টাচ’ মেনু হতে ‘পেমেন্ট’ কিংবা ‘ওয়ালেট’ নির্বাচন করতে হবে। তারপর নির্বাচন করতে হবে ‘অ্যাড পেমেন্ট মেথড’। পরের ধাপে গিয়ে বিকাশ নির্বাচন করে বিকাশ অ্যাকাউন্টের প্রয়োজনীয় তথ্য সংযুক্ত করতে হবে। প্রক্রিয়াটি সম্পন্ন হলেই গ্রাহক একটি নোটিফিকেশন পাবেন। এই পেমেন্ট পদ্ধতিতে একবার বিকাশ অ্যাকাউন্ট যুক্ত করলে পরবর্তী সব রাইডের ভাড়া স্বয়ংক্রিয়ভাবে পরিশোধ হয়ে যাবে। তখন আর বিকাশ অ্যাকাউন্টের প্রয়োজনীয় তথ্য সংযুক্ত করতে হবে না। এই সব তথ্য সেভ হয়ে থাকবে।
তাছাড়াও দুর্বল নেটওয়ার্ক, গেটওয়ের বিরতি বা অ্যাকাউন্টে অপর্যাপ্ত ব্যালেন্সের কারণে কখনও কখনও গ্রাহকের লেনদেনে যে বিলম্ব ঘটে তাও এখানে এড়ানো সম্ভব হবে বলে জানানো হয়েছে।
এ সম্পর্কে উবার এশিয়া-প্যাসিফিক অঞ্চলের ডিরেক্টর, বিজনেস ডেভেলপমেন্ট নন্দিনী মহেশ্বরী বলেন, বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে বিকাশের মতো শীর্ষস্থানীয় ফিনটেক প্রতিষ্ঠানের অবদানের প্রতি আমরা সব সময় সম্মান জানাই। এই পার্টনারশিপ গড়ার মাধ্যমে আমাদের গ্রাহকদের বিকাশের মতো পেমেন্ট অপশনের সঙ্গে যুক্ত করতে পেরে আমরা সত্যিই আনন্দিত। বিশ্ব মহামারির এই সময় যখন শহরগুলো আবার সচল হতে শুরু করেছে ঠিক তখন নিরাপদ, ক্যাশলেস লেনদেনের মাধ্যমে সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিত করার গুরুত্ব আমরা সব সময় অনুধাবন করেছি। এই পার্টনারশিপ নগদ টাকার ওপর নির্ভরতা কমিয়ে দেশের ডিজিটাল আর্থিক অবকাঠামো আরও উন্নততর করতে ভূমিকা রাখবে।
এ সম্পর্কে বিকাশের চীফ কমার্শিয়াল অফিসার মিজানুর রশিদ বলেন, মহামারির এই সময় আলিপে এর সঙ্গে পার্টনারশিপে বিকাশের মাধ্যমে উবার রাইডের স্বয়ংক্রিয় পেমেন্ট গ্রাহকদের জন্য আরও স্বস্তি বয়ে আনবে বলে আমি মনে করি। নতুন এই ডিজিটাল পেমেন্টের অভিজ্ঞতা নিরবচ্ছিন্ন রাইড শেয়ারিং সেবাকে আরও নিশ্চিত করলো। অপরদিকে রাইড শেয়ারিং সেবার শীর্ষ প্রতিষ্ঠান উবারের পেমেন্ট বিকাশের সেবা তালিকায় যুক্ত হওয়ার কারণে আমাদের বৈচিত্র্যময় সেবা সম্ভার আরও অনেকটাই সমৃদ্ধ হলো।
উল্লেখ্য যে, উবার ২০১৬ সালে বাংলাদেশে কার্যক্রম শুরু করার পর হতে প্রথম রাইডশেয়ারিং প্রতিষ্ঠান হিসেবে দেশের বিভিন্ন শহরের চালক ও যাত্রীদের নিরবচ্ছিন্ন সেবা দিয়ে আসছেন। রাজধানী ঢাকার পাশাপাশি চট্টগ্রাম, সিলেট এবং কক্সবাজারের মতো শহরে সফলতার সঙ্গে তাদের কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছে।
করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে করণীয়
# সব সময় ঘরে থাকি।
# জরুরি প্রয়োজনে বাইরে বের হলে নিয়মগুলো মানি, মাস্ক ব্যবহার করি।
# তিন লেয়ারের সার্জিক্যাল মাস্ক ইচ্ছে করলে ধুয়েও ব্যবহার করতে পারি।
# বাইরে থেকে ঘরে ফেরার পর পোশাক ধুয়ে ফেলি। কিংবা না ঝেড়ে ঝুলিয়ে রাখি অন্তত চার ঘণ্টা।
# বাইরে থেকে এসেই আগে ভালো করে (অন্তত ২০ সেকেণ্ড ধরে) হাত সাবান বা লিকুইড দিয়ে ধুয়ে ফেলি।
# প্লাস্টিকের তৈরি পিপিই বা চোখ মুখ, মাথা একবার ব্যবহারের পর
অবশ্যই ডিটারজেন্ট দিয়ে ভালো করে ধুয়ে শুকিয়ে ব্যবহার করা যেতে পারে।
# কাপড়ের তৈরি পিপিই বা বর্ণিত নিয়মে পরিষ্কার করে পরি।
# চুল সম্পূর্ণ ঢাকে এমন মাথার ক্যাপ ব্যবহার করি।
# হাঁচি কাশি যাদের রয়েছে সরকার হতে প্রচারিত সব নিয়ম মেনে চলি। এছাড়াও খাওয়ার জিনিস, তালা চাবি, সুইচ ধরা, মাউস, রিমোট কন্ট্রোল, মোবাই, ঘড়ি, কম্পিউটার ডেক্স, টিভি ইত্যাদি ধরা ও বাথরুম ব্যবহারের আগে ও পরে নির্দেশিত মতে হাত ধুয়ে নিন। যাদের হাত শুকনো থাকে তারা হাত ধোয়ার পর Moisture ব্যবহার করি। সাবান বা হ্যান্ড লিকুইড ব্যবহার করা যেতে পারে। কেনোনা শুকনো হাতের Crackle (ফাটা অংশ) এর ফাঁকে এই ভাইরাসটি থেকে যেতে পারে। অতি ক্ষারযুক্ত সাবান বা ডিটারজেন্ট ব্যবহার থেকে বিরত থাকাই ভালো।