দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ সম্প্রতি বিকাশে পেমেন্ট করার সিস্টেম চালু করেছে দেশের জনপ্রিয় রাইড শেয়ারিং উবার। কিন্তু বিকাশে পেমেন্ট করতে গিয়ে উবারের গ্রাহকরা হেনস্থার শিকার হচ্ছেন।
আর এই হেনস্থা করছেন স্বয়ং চালকরা। বিকাশে পেমেন্টের কথা শুনলেই তারা যেনো ‘তেলে-বেগুনে’ জ্বলে ওঠেন। এর কারণ কী? ওইসব চালকদের প্রশ্ন করা হয়েছিলো আপনাদের কী সমস্যা? আপনার কোম্পানির করা নিয়ম অনুযায়ী আমরা ভাড়া পরিশোধ করছি। টাকা কি বিকাশে পেমেন্ট হচ্ছে না? এমন প্রশ্ন করা হলে উত্তর দিচ্ছেন পেমেন্ট অবশ্যই হচ্ছে, কিন্তু ওই টাকা আমরা আর কখনও পাবো না! কেনো তারা আর কোনো দিন বিকাশে করা পেমেন্টের টাকা পাবেন না সেটি তারাই জানেন।
একজন গ্রাহক এই বক্তব্য দিয়েছেন। তিনি গত ৮ অক্টোবর রাতে শেওড়াপাড়া থেকে ভাষাণটেকে আসছিলেন। তিনি ওই রাইডে উঠার পরেই উনাকে যেনো ‘চিমটি দিয়ে’ ধরার মতো করে ধরে বসেন ওই চালক (স্বপন GA271628)। ওই চালক বলেন, কেনো আপনারা বিকাশ করেন, বিকাশ করলে আমরা টাকা পাইনা ইত্যাদি ইত্যাদি। ওই কথাগুলো ওই চালক বলেন ক্ষিপ্ত হয়ে। উবার তাদের চালকদের কি ধরনের নির্দেশনা দিয়েছে যে একজন গ্রাহকের সঙ্গে এমন ব্যবহার করতে পারেন?
শুধু চালকই নয়, উবারের ভাড়া নিয়েও রয়েছে নানা রকম অভিযোগ। ওই গ্রাহক উবারের ভাড়া নিয়েও প্রশ্ন করেন। কারণ রাইড শেয়ারিং এর সময় দেখানো হয় এক রেট। কিন্তু রাইড শেষ হওয়ার পর দেখা যায় অনেক বেশি ধরা হয়েছে। কেনো বেশি? ওখানে দেখানো হচ্ছে সময় চার্জ। জ্যামে পড়ে আটকে থাকলে সময় চার্জ হওয়ার কথা। অথচ ওই রাইডটিতে সময় লেগেছে মাত্র ৩৪ মিনিট। শ্যাওড়া পাড়া থেকে ভাষাণটেক পকেট গেট আসছে সময় লেগেছে ৩৪ মিনিট (9:37 PM হতে 10:12 PM পর্যন্ত) উবারের মেইলে পাওয়া তথ্য মতে। তাহলে প্রশ্ন হলো কোথায় লেট হলো? কোথায় জ্যামে পড়লো গাড়ি? জ্যামে পড়লে কি এই ৩৪ মিনিটে আসা সম্ভব হতো? ওই গ্রাহক ওই স্থানে যাওয়ার সময় ১৩৪ টাকা বিল দিলেন আর আসার সময় তাকে অতিরিক্ত আরও ১০৪ টাকা দিতে হয়েছে কেনো?
উবার কর্তৃপক্ষ নিশ্চয়ই এই প্রশ্নের জবাব দিতে পারবেন? ওই রাইডের ছবিগুলোও (গ্রাহকের নাম ব্যতিরেকে) যথারিতি প্রকাশ করা হলো তথ্যের প্রমাণ হিসেবে।
উবারের মতো জনপ্রিয় রাইড শেয়ারিং কোম্পানি গ্রাহকদের নানা দুর্ভোগ কমাবেন সেই প্রত্যাশা আমাদের সকলের।
করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে করণীয়
# সব সময় ঘরে থাকি।
# জরুরি প্রয়োজনে বাইরে বের হলে নিয়মগুলো মানি, মাস্ক ব্যবহার করি।
# তিন লেয়ারের সার্জিক্যাল মাস্ক ইচ্ছে করলে ধুয়েও ব্যবহার করতে পারি।
# বাইরে থেকে ঘরে ফেরার পর পোশাক ধুয়ে ফেলি। কিংবা না ঝেড়ে ঝুলিয়ে রাখি অন্তত চার ঘণ্টা।
# বাইরে থেকে এসেই আগে ভালো করে (অন্তত ২০ সেকেণ্ড ধরে) হাত সাবান বা লিকুইড দিয়ে ধুয়ে ফেলি।
# প্লাস্টিকের তৈরি পিপিই বা চোখ মুখ, মাথা একবার ব্যবহারের পর
অবশ্যই ডিটারজেন্ট দিয়ে ভালো করে ধুয়ে শুকিয়ে ব্যবহার করা যেতে পারে।
# কাপড়ের তৈরি পিপিই বা বর্ণিত নিয়মে পরিষ্কার করে পরি।
# চুল সম্পূর্ণ ঢাকে এমন মাথার ক্যাপ ব্যবহার করি।
# হাঁচি কাশি যাদের রয়েছে সরকার হতে প্রচারিত সব নিয়ম মেনে চলি। এছাড়াও খাওয়ার জিনিস, তালা চাবি, সুইচ ধরা, মাউস, রিমোট কন্ট্রোল, মোবাই, ঘড়ি, কম্পিউটার ডেক্স, টিভি ইত্যাদি ধরা ও বাথরুম ব্যবহারের আগে ও পরে নির্দেশিত মতে হাত ধুয়ে নিন। যাদের হাত শুকনো থাকে তারা হাত ধোয়ার পর Moisture ব্যবহার করি। সাবান বা হ্যান্ড লিকুইড ব্যবহার করা যেতে পারে। কেনোনা শুকনো হাতের Crackle (ফাটা অংশ) এর ফাঁকে এই ভাইরাসটি থেকে যেতে পারে। অতি ক্ষারযুক্ত সাবান বা ডিটারজেন্ট ব্যবহার থেকে বিরত থাকাই ভালো।