দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ মিসরের পরিস্থিতি ঘোলাটে হওয়ার পর মুরসিকে কোথায় রাখা হয়েছে এ নিয়ে বিতর্ক শুরু হয়। দেশটির স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ইঙ্গিত দিয়েছেন, সাবেক স্বৈরশাসক মুবারক ও মুরসিকে একই কারাগারে রাখা হবে!
গত ক’দিন ধরেই নানা জল্পনা চলছিল। মুরসি পরিবার বার বার দাবি করেছে, মুরসিকে সেনা বাহিনী গুম করেছে। কারণ সেনা বাহিনী মুরসিকে কোথায় রেখেছিল তা কাওকে বলেনি। যে কারণে মুরসিকে নিয়ে গত কয়েকদিন ধরে চলেছে নানা ধরনের প্রচার প্রপাগাণ্ডা। অবশেষে মুরসির রিমাণ্ড মঞ্জুর করার মাধ্যমে সে সমস্যার কিছুটা নিরসন হয়েছে বলে ধারনা করা হচ্ছে।
খবরে বলা হয়েছে, মিসরের সদ্য ক্ষমতাচ্যুত প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ মুরসিকে রাজধানী কায়রোর তোরাহ কারাগারে স্থানান্তর করা হতে পারে। বর্তমানে ওই কারাগারেই আটক আছেন সাবেক স্বৈরশাসক হোসনি মুবারক। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মোহাম্মদ ইব্রাহিম গত ২৭ জুলাই এ ইঙ্গিত দিয়েছেন।
উল্লেখ্য, সরকারবিরোধী বিক্ষোভের মুখে গত ৩ জুলাই মুরসিকে ক্ষমতাচ্যুত করে সেনাবাহিনী। এরপর থেকে তাঁকে অজ্ঞাত স্থানে রাখা হয়েছে। গত শুক্রবার তাঁকে ১৫ দিনের আটকাদেশ দেন কায়রোর একটি আদালত। ফিলিস্তিনের কট্টরপন্থী সংগঠন হামাসের সঙ্গে সম্পর্ক, সেনা হত্যা, অপহরণসহ বেশকিছু অভিযোগে তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে। আদালতের আদেশের দিন থেকেই তাঁকে আটক দেখানো হয়। যদিও তাঁর বর্তমান অবস্থান সম্পর্কে এখনো প্রকাশ্যে কিছু জানানো হয়নি।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ইব্রাহিম জানান, মুরসির অভিযোগ তদন্তকারী বিচারপতিই ঠিক করবেন তাঁকে কোথায় রাখা হবে। তবে ‘খুব সম্ভবত তাঁকে তোরাহ কারাগারে’ নেওয়া হতে পারে। তিন দশকের সাবেক স্বৈরশাসক শাসক মুবারক ওই কারাগারেই আটক আছেন। ২০১১ সালের গোড়ার দিকে গণ-অভ্যুত্থানের মুখে ক্ষমতা ছাড়তে বাধ্য হন তিনি। গত বছরের ২ জুন তাঁর যাবজ্জীবন কারাদণ্ড হয় মুবারকের। বর্তমানে তাঁর পুনর্বিচার চলছে বলে সংবাদ সংস্থার খবরে বলা হয়েছে। সূত্র : হিন্দুস্তান টাইমস।