দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ অনেক সময় দেখা যায় মোবাইল চার্জ হতে বেশি সময় লাগে, এমন সমস্যা প্রায়ই দেখা যায়। আজকের প্রতিবেদনে থাকছে ফোন দেরিতে চার্জ হওয়ার কারণগুলো আসলে কি সে সম্পর্কে।
অনেক সময় দেখা যায়, রাতভর ফোন চার্জে রেখেও শতভাগ চার্জ হয়নি। তাহলে কী কারণে ধীর গতিতে ফোন চার্জ হয় তা না বুঝে বিষয়টি নিয়ে উদ্বিগ্ন হতে হয় অনেককেই। আজকের প্রতিবেদনে থাকছে ফোন দেরিতে চার্জ হওয়ার কারণসমূহ। আজ জেনে নেওয়া যাক এই বিষয়টি।
ক্যাবল সমস্যা
মোবাইল ফোনে ধীরে চার্জ হলে প্রথম কাজ হবে ক্যাবলটি পরীক্ষা করে দেখা। অনেকেই এক ক্যাবল সব ডিভাইসে ব্যবহার করে থাকেন। এটি মোটেও ঠিক নয়। এভাবে অতিরিক্ত ব্যবহারের কারণে ক্যাবলের ভেতরের অংশে ছোট যে কাটা থাকে, সেগুলো আসলে বেঁকে যায়। তাই চার্জ ঠিকমতো না হলে ক্যাবল পাল্টে ফেলতে হবে।
পাওয়ার সোর্স দুর্বল হলে
পিসির মাধ্যমে ফোন চার্জ দিলে খুবই ধীরে চার্জ হবে সেটিই স্বাভাবিক। তাই এটি নিয়ে হা-হুতাশ করার কোনো কিছু নেই। চার্জের জন্য ওয়্যারলেস চার্জার ব্যবহার না করাই উত্তম। একটি ডিভাইসের জন্য একটিই চার্জার রাখবেন। তারপরেও যদি চার্জ ধীরে হয়, তাহলে আপনার বাড়ির বিদ্যুৎ ব্যবস্থায় (হোম-ওয়ারিং) সমস্যাও থাকতে পারে বলে ধরে নিতে হবে।
ব্যাটারির সমস্যা হলে
চার্জার বা ক্যাবল ঠিক থাকলেও অনেক সময় ব্যাটারির সমস্যার কারণে চার্জ খুব ধীর গতিতে হতে পারে। তবে এক্ষেত্রে চার্জ দ্রুততম সময়ের মধ্যে ফুরিয়ে যাওয়া, স্মার্টফোন গরম হওয়া বা অস্বাভাবিক হারে চার্জের পরিমাণ বাড়া-কমার মতো সমস্যাও দেখা দিতে পারে। এসব ক্ষেত্রে ব্যাটারি পরিবর্তন করলে সমস্যার সমাধান হয়ে যায়।
যখন নিজে শত্রু
সারাদিন ফেসবুক চালান সেটি স্বাভাবিক কথা। তাই বলে চার্জে দিয়েও কী আপনাকে ফোন চালাতে হবে? সারাদিন গেম খেলেন সেটিও ভালো কথা। তাই বলে চার্জে দিয়েও কী আপনাকে খেলতে হবে? আপনার এসব অভ্যাসের কারণে ফোন ধীরে ধীরে চার্জ নিতে পারে। চার্জের সময় ফোনের ডিসপ্লে অন থাকলেও চার্জের গতি খুবই কমে যায়।
চার্জিং পোর্টের সমস্যা
অনেক সময় চার্জিং পোর্টেও সমস্যা দেখা দিতে পারে। এক্ষেত্রে চার্জার ঠিকভাবে সংযোগ না পাওয়ার কারণে চার্জিং প্রক্রিয়াও ব্যাহত হয়ে থাকে। সে কারণে ফোন খুব ধীর গতিতে চার্জ হলে অনুমোদিত সার্ভিস সেন্টার হতে আপনার চার্জিং পোর্ট সারিয়ে নিতে হবে।
করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে করণীয়
# সব সময় ঘরে থাকি।
# জরুরি প্রয়োজনে বাইরে বের হলে নিয়মগুলো মানি, মাস্ক ব্যবহার করি।
# তিন লেয়ারের সার্জিক্যাল মাস্ক ইচ্ছে করলে ধুয়েও ব্যবহার করতে পারি।
# বাইরে থেকে ঘরে ফেরার পর পোশাক ধুয়ে ফেলি। কিংবা না ঝেড়ে ঝুলিয়ে রাখি অন্তত চার ঘণ্টা।
# বাইরে থেকে এসেই আগে ভালো করে (অন্তত ২০ সেকেণ্ড ধরে) হাত সাবান বা লিকুইড দিয়ে ধুয়ে ফেলি।
# প্লাস্টিকের তৈরি পিপিই বা চোখ মুখ, মাথা একবার ব্যবহারের পর
অবশ্যই ডিটারজেন্ট দিয়ে ভালো করে ধুয়ে শুকিয়ে ব্যবহার করা যেতে পারে।
# কাপড়ের তৈরি পিপিই বা বর্ণিত নিয়মে পরিষ্কার করে পরি।
# চুল সম্পূর্ণ ঢাকে এমন মাথার ক্যাপ ব্যবহার করি।
# হাঁচি কাশি যাদের রয়েছে সরকার হতে প্রচারিত সব নিয়ম মেনে চলি। এছাড়াও খাওয়ার জিনিস, তালা চাবি, সুইচ ধরা, মাউস, রিমোট কন্ট্রোল, মোবাই, ঘড়ি, কম্পিউটার ডেক্স, টিভি ইত্যাদি ধরা ও বাথরুম ব্যবহারের আগে ও পরে নির্দেশিত মতে হাত ধুয়ে নিন। যাদের হাত শুকনো থাকে তারা হাত ধোয়ার পর Moisture ব্যবহার করি। সাবান বা হ্যান্ড লিকুইড ব্যবহার করা যেতে পারে। কেনোনা শুকনো হাতের Crackle (ফাটা অংশ) এর ফাঁকে এই ভাইরাসটি থেকে যেতে পারে। অতি ক্ষারযুক্ত সাবান বা ডিটারজেন্ট ব্যবহার থেকে বিরত থাকাই ভালো।