দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ বাড়ি তৈরির কত সরঞ্জাম রয়েছে। খড়ের বাড়ি, টিনের বাড়ি, কাঠের বাড়ি, পাকা বাড়ি আরও কত রকমের বাড়ি। তবে এবার তৈরি হয়েছে বিয়ারের কৌটা দিয়ে তৈরি বাড়ি!
অনলাইন পত্রিকা বলেছে, যুক্তরাষ্ট্রের এক ব্যক্তি তাঁর পুরো বাড়ির আচ্ছাদন তৈরি করেছেন বিয়ারের খালি কৌটা (ক্যান) দিয়ে। বাড়ির বিভিন্ন আসবাবপত্র তৈরিতেও ক্যান ব্যবহার করেছেন মিল্কোভিচ নামের জনৈক ব্যক্তি। এ জন্য ৫০ হাজারের বেশি ক্যান লেগেছে। আর ক্যান সংগ্রহ করে এসব কাজে অতিবাহিত হয়েছে ১৮ বছর। ‘বিয়ার ক্যান হাউস’ নামের এ বাড়ি টেক্সাস অঙ্গরাজ্যের হিউস্টন শহরে অবস্থিত।
মিল্কোভিচ বাড়ি নির্মাণের প্রকল্পটি শুরু করেন ১৯৬৮ সালে। বাড়ির সামনের ও পেছনের অংশের আচ্ছাদন তৈরিতে তিনি প্রথমে বিভিন্ন ধাতুর টুকরা, কংক্রিট, মার্বেল, পাথর ও রেডউডের ব্যবহার করেন। এর কিছু দিন পর তাতে বিয়ারের ক্যান ব্যবহার শুরু করেন তিনি। আর এটি তিনি ১৮ বছর ধরে করতে থাকেন। মিল্কোভিচ পেশায় একজন ডিজাইনার ছিলেন বলে জানা গেছে।
ওই বাড়িটির ফটক ও চারপাশের দেয়ালে ব্যবহার করা হয়েছে ক্যানের নিচের রূপালি অংশ। উপরের অংশ দিয়ে তৈরি করা হয়েছে এক ধরনের পর্দা। এটি বাড়ির সামনে ছাদ থেকে নিচ পর্যন্ত ঝুলিয়ে রাখা হয়েছে। এ ছাড়া ক্যান দিয়ে বানানো হয়েছে ঝাড়বাতি, বায়ুকল ও চাইম। সব মিলিয়ে ৫০ হাজারের বেশি ক্যান ব্যবহার করা হয়েছে এই বাড়িতে। অধিকাংশ বিয়ার ক্যান মিল্কোভিচ নিজেই খালি করেছেন। বাকিগুলো তাঁর স্ত্রী ও প্রতিবেশীদের দেওয়া। মিল্কোভিচ আশির দশকে মারা যাওয়ার আগ পর্যন্ত ওই বাড়িতেই থাকতেন। এরপর সেখানে থাকতেন তাঁর স্ত্রী। কিন্তু নব্বইয়ের দশকে স্ত্রীর মৃত্যুর পর বাড়িটি ফাঁকা হয়ে যায়। ১০ বছর আগে ‘ওরেঞ্জ শো সেন্টার ফর ভিশনারি আর্ট’ নামের একটি অলাভজনক প্রতিষ্ঠান সেটি দেখাশোনার দায়িত্ব নেয়।
সেই বিখ্যাত বিয়ার ক্যান দিয়ে তৈরি বাড়িটি বর্তমানে পর্যটকদের জন্য উন্মুক্ত করে দেওয়া হয়েছে। সেখানে প্রবেশ মূল্য ধরা হয়েছে দুই ডলার। আর গাইড নিয়ে ঢুকতে চাইলে লাগবে পাঁচ ডলার। পর্যটকদের কথা মাথায় রেখে বাড়ির ভেতরে বসানো হয়েছে উপহার সামগ্রির একটি দোকানও। প্রতিদিন বহু পর্যটক আসছেন মিল্কোভিচ-এর বিয়ার ক্যান দিয়ে তৈরি বাড়িটি দেখার জন্য। সূত্র : লস অ্যাঞ্জেলেস টাইমস।