দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ মিয়ানমারে সামরিক অভ্যুত্থান ঘটনার পর দেশটির রাখাইন রাজ্যে বসবাসরত প্রায় ৬ লাখ রোহিঙ্গা মুসলমানের পরিস্থিতি আরও সংকটপূর্ণ হতে পারে বলে আশঙ্কা করেছে জাতিসংঘ।
জাতিসংঘের মুখপাত্র যখন রোহিঙ্গাদের নিয়ে এমন আশঙ্কা প্রকাশ করলো, তখন মিয়ানমারের সার্বিক পরিস্থিতি নিয়ে সংস্থাটির নিরাপত্তা পরিষদ জরুরি বৈঠকেও বসতে চলেছে। ধারণা করা হচ্ছে যে, নিরাপত্তা পরিষদের ১৫টি সদস্য রাষ্ট্র রুদ্ধদ্বার বৈঠকে পরিস্থিতি পর্যালোচনা করে পদক্ষেপ গ্রহণ করবে।
এক সংবাদ সম্মেলনে এই বিষয়ে জাতিসংঘের মুখপাত্র স্তেফানে দুজারিচ বলেন, ‘রাখাইন রাজ্যে এখনও প্রায় ৬ লাখ রোহিঙ্গা রয়েছেন, যাদের মধ্যে মধ্যে প্রায় ১ লাখ ২০ হাজার রোহিঙ্গা সেখানকার বন্দিশিবিরে রয়েছেন। এসব রোহিঙ্গা স্বাধীনভাবে চলাফেরা করতেও পারেন না এবং মৌলিক স্বাস্থ্য ও শিক্ষাসেবা থেকেও এরা বঞ্চিত।’
স্তেফানে দুজারিচ বলেন, ‘তাই আমরা আশঙ্কা করছি যে, বর্তমান ঘটনা তাদের পরিস্থিতি আরও এক সংকটপূর্ণ করে তুলতে পারে। ’
২০১৭ সালে মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে সামরিক অভিযান হতে প্রাণভয়ে পালিয়ে বাংলাদেশে আসেন সেখানকার ৭ লাখেরও বেশি রোহিঙ্গা মুসলমান, যাদের আশ্রয় হয়েছে বাংলাদেশের শরণার্থী শিবিরে। তারপর জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস ও পশ্চিমা দেশগুলো মিয়ানমার সামরিক বাহিনীর বিরুদ্ধে রাখাইনে ‘জতিগত নির্মূল এবং গণহত্যা’ চালানোর অভিযোগ তোলে। তবে মিয়ানমার সামরিক বাহিনী এই অভিযোগ বরাবরই অস্বীকার করে আসছিলো।
১ ফেব্রুয়ারি ভোরে এক সামরিক অভ্যুত্থানের মাধ্যমে মিয়ানমারের রাষ্ট্রপতি উইন মিন্ত, ক্ষমতাসীন দলের নেত্রী অং সান সু চি-সহ শাসকদলের শীর্ষ কয়েকজন নেতাকে আটক করে দেশটির নিয়ন্ত্রণ গ্রহণ করে সেনাবাহিনী।
গত নভেম্বরে অনুষ্ঠিত নির্বাচনে সু চির ন্যাশনাল লিগ ফর ডেমোক্র্যাসি (এনএলডি) সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন করেছিলো। তবে এ ফলাফল নিয়ে মিয়ানমারের বেসামরিক সরকার ও প্রভাবশালী সামরিক বাহিনীর মধ্যে কয়েকদিন ধরেই দ্বন্দ্ব ও উত্তেজনা চলতে থাকায় এই সামরিক অভ্যুত্থান ঘটেছে বলে জানিয়েছে বিবিসিসহ সংবাদ মাধ্যমগুলো।
করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে করণীয়
# সব সময় ঘরে থাকি।
# জরুরি প্রয়োজনে বাইরে বের হলে নিয়মগুলো মানি, মাস্ক ব্যবহার করি।
# তিন লেয়ারের সার্জিক্যাল মাস্ক ইচ্ছে করলে ধুয়েও ব্যবহার করতে পারি।
# বাইরে থেকে ঘরে ফেরার পর পোশাক ধুয়ে ফেলি। কিংবা না ঝেড়ে ঝুলিয়ে রাখি অন্তত চার ঘণ্টা।
# বাইরে থেকে এসেই আগে ভালো করে (অন্তত ২০ সেকেণ্ড ধরে) হাত সাবান বা লিকুইড দিয়ে ধুয়ে ফেলি।
# প্লাস্টিকের তৈরি পিপিই বা চোখ মুখ, মাথা একবার ব্যবহারের পর
অবশ্যই ডিটারজেন্ট দিয়ে ভালো করে ধুয়ে শুকিয়ে ব্যবহার করা যেতে পারে।
# কাপড়ের তৈরি পিপিই বা বর্ণিত নিয়মে পরিষ্কার করে পরি।
# চুল সম্পূর্ণ ঢাকে এমন মাথার ক্যাপ ব্যবহার করি।
# হাঁচি কাশি যাদের রয়েছে সরকার হতে প্রচারিত সব নিয়ম মেনে চলি। এছাড়াও খাওয়ার জিনিস, তালা চাবি, সুইচ ধরা, মাউস, রিমোট কন্ট্রোল, মোবাই, ঘড়ি, কম্পিউটার ডেক্স, টিভি ইত্যাদি ধরা ও বাথরুম ব্যবহারের আগে ও পরে নির্দেশিত মতে হাত ধুয়ে নিন। যাদের হাত শুকনো থাকে তারা হাত ধোয়ার পর Moisture ব্যবহার করি। সাবান বা হ্যান্ড লিকুইড ব্যবহার করা যেতে পারে। কেনোনা শুকনো হাতের Crackle (ফাটা অংশ) এর ফাঁকে এই ভাইরাসটি থেকে যেতে পারে। অতি ক্ষারযুক্ত সাবান বা ডিটারজেন্ট ব্যবহার থেকে বিরত থাকাই ভালো।