দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ আমরা অনেকেই জানি ‘আনারস জ্বরের ঔষধ’। শুধু জ্বর-ই নয়, নানা অসুখ-বিসুখকে দূরে রাখতে এবং সংক্রমণ দমন করতেও সাহায্য করে এই আনারস।
সংক্রমণ দমন করতে
ব্রোমেলিন এনজাইম রয়েছে আনারসে, যা সংক্রমণ দমন করে থাকে। নিয়মিতভাবে আনারস খেলে খেলাধুলা করতে গিয়ে পাওয়া আঘাত কিংবা ক্ষত খুব সহজেই সেরে যাবে।
দাঁত সুস্থ রাখতে
প্রাকৃতিক উপায়ে আনারস দাঁতের দাগ দূর করে দাঁতকে আরও সাদা করতে সাহায্য করে।
ক্যান্সার প্রতিরোধ করতে
আনারস ক্যান্সার প্রতিরোধেও বিশেষ ভূমিকা রাখে বলে সাম্প্রতিক এক গবেষণায় উঠে এসেছে। আনারস শরীরের ইমিউন কোষগুলোকে সক্রিয় করে তোলে। এমন একটি তথ্য প্রকাশ করেছে ক্যান্সার লেটার ম্যাগাজিন।
স্লিম হতে
আনারসে রয়েছে শরীরের জন্য প্রয়োজনীয় নানা রকম উপাদান এবং আঁশ। এই আঁশ অনেকক্ষণ পেট ভরা রাখে ও সহজে খিদে পায় না। অর্থাৎ কম খেলেও শরীরের প্রয়োজনীয় ভিটামিনের অভাব পূরণ করে থাকে আনারস। এটির মাধ্যমে সহজেই ওজন কমানো যায়।
আনারস চর্বিমুক্ত করে
আনারসের আঁশ, এনজাইম এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট শরীর হতে বিষাক্ত পদার্থ বের করে দিতে সাহায্য করে থাকে। আনারস কোলেস্টরেল এবং চর্বিমুক্ত হওয়ায় শরীরে রক্ত জমাট হতে বাঁধা দেয়।
চোখের উপকার করে
আনারসে রয়েছে বিটা ক্যারোটিন এবং ভিটামিন ‘এ’, যা দৃষ্টিশক্তি বাড়াতে সাহায্য করে। তাছাড়া নিয়মিতভাবে আনারস খেলে বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে চোখের যেসব সমস্যা দেখা দিয়ে থাকে, সেগুলো দূর করে থাকে।
হজমশক্তি বাড়ায়
আনারসে থাকা শরীরের জন্য প্রয়োজনীয় ভিটামিন ‘এ’, ক্যালশিয়াম, পটাশিয়াম ও ফসফরাস দেহের পুষ্টির অভাব পূরণ করে, আবার হজমশক্তি বাড়িয়ে কোষ্ঠকাঠিন্যও দূর করে থাকে।
সাবধানতা
আনারস যেমন অনেক ভালো একটি জিনিস তবে এর কিছু প্রতিক্রিয়াও রয়েছে। যেমন আনারস থেকে অনেকের অ্যালার্জি হয়। বিশেষ করে ঠোঁট ফুলে যাওয়া কিংবা গলায় জিভে এক ধরনের অস্বস্তি বোধ হওয়া। এ রকম হলে আনারস না খাওয়াই হবে বুদ্ধিমানের কাজ। তবে আনারস কাটার পর ভালো করে ধুয়ে নিলে এলার্জির আশঙ্কা অনেকটা কমে যায়।
করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে করণীয়
# সব সময় ঘরে থাকি।
# জরুরি প্রয়োজনে বাইরে বের হলে নিয়মগুলো মানি, মাস্ক ব্যবহার করি।
# তিন লেয়ারের সার্জিক্যাল মাস্ক ইচ্ছে করলে ধুয়েও ব্যবহার করতে পারি।
# বাইরে থেকে ঘরে ফেরার পর পোশাক ধুয়ে ফেলি। কিংবা না ঝেড়ে ঝুলিয়ে রাখি অন্তত চার ঘণ্টা।
# বাইরে থেকে এসেই আগে ভালো করে (অন্তত ২০ সেকেণ্ড ধরে) হাত সাবান বা লিকুইড দিয়ে ধুয়ে ফেলি।
# প্লাস্টিকের তৈরি পিপিই বা চোখ মুখ, মাথা একবার ব্যবহারের পর
অবশ্যই ডিটারজেন্ট দিয়ে ভালো করে ধুয়ে শুকিয়ে ব্যবহার করা যেতে পারে।
# কাপড়ের তৈরি পিপিই বা বর্ণিত নিয়মে পরিষ্কার করে পরি।
# চুল সম্পূর্ণ ঢাকে এমন মাথার ক্যাপ ব্যবহার করি।
# হাঁচি কাশি যাদের রয়েছে সরকার হতে প্রচারিত সব নিয়ম মেনে চলি। এছাড়াও খাওয়ার জিনিস, তালা চাবি, সুইচ ধরা, মাউস, রিমোট কন্ট্রোল, মোবাই, ঘড়ি, কম্পিউটার ডেক্স, টিভি ইত্যাদি ধরা ও বাথরুম ব্যবহারের আগে ও পরে নির্দেশিত মতে হাত ধুয়ে নিন। যাদের হাত শুকনো থাকে তারা হাত ধোয়ার পর Moisture ব্যবহার করি। সাবান বা হ্যান্ড লিকুইড ব্যবহার করা যেতে পারে। কেনোনা শুকনো হাতের Crackle (ফাটা অংশ) এর ফাঁকে এই ভাইরাসটি থেকে যেতে পারে। অতি ক্ষারযুক্ত সাবান বা ডিটারজেন্ট ব্যবহার থেকে বিরত থাকাই ভালো।