দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ সার্চ ইঞ্জিনের শীর্ষে থাকা গুগলের নির্ভরযোগ্যতা নিয়ে কোনও প্রশ্নই ওঠে না। সাধারণ ইন্টারনেট ইউজারদের গুগল সার্চের মধ্যেই ফাঁদ পাতে প্রতারকরা।
দেখা যায় যে, নিজের প্রয়োজনে সার্চ করতে গিয়ে উল্টে বিপদে পড়েন অনেকেই। তাই গুগল সার্চে অন্তত কয়েকটি জিনিসের ক্ষেত্রে আপনাকে খুব সাবধানতা অবলম্বন করতে হবে।
ব্যাংকিং সংক্রান্ত যে কোনও লিঙ্ক
গুগল সার্চ করে কোনও ব্যাংকের ওয়েবসাইটে ঢোকার আগে সাবধান হোন। ডুপ্লিকেট ভুয়া ওয়েবসাইট থেকে আপনি হয়তো সর্বস্বান্ত হতে পারেন। তাই ব্যাংকিং-এর ক্ষেত্রে অবশ্যই সরাসরি ওয়েব অ্যাড্রেস টাইপ করে তারপর খুলুন। কিংবা সেই ব্যাঙ্কেরই তৈরি অ্যাপ ব্যবহার করার চেষ্টা করুন। অনলাইন লেনদেনের সময়ও অবশ্যই সতর্ক থাকুন।
অ্যাপ ও সফটওয়্যার
দেখা যায় অনেকেই বিভিন্ন অ্যাপ এবং সফটওয়্যার সরাসরি গুগল সার্চ করে খুঁজে থাকেন। এমন কিছু অ্যাপও থাকে যা গুগল প্লে স্টোরে আদতেও থাকে না। তবে এভাবে ডট এপিকে ফাইল ডাউনলোডের ক্ষেত্রে সবসময়েই ঝুঁকি থেকে যাবে। অজানা সাইট হতে অ্যাপের আকারে ডাউনলোড হতে পারে ম্যালওয়্যারও। ইনস্টল করার সঙ্গে সঙ্গেই আপনার প্রাইভেসির দফারফা করে দেবে। স্মার্টফোনের বারোটা বাজতে পারে।
চিকিৎসা এবং ওষুধ
গুগল সার্চ ব্যবহার করে চিকিৎসা না করাই হবে বুদ্ধিমানের কাজ। টুকটাক শরীর খারাপের প্রাথমিক চিকিৎসা ইত্যাদি দেখতে পারেন তাতে কোনো সমস্যা নেই। তবে শরীর খারাপের ক্ষেত্রে গুগল সার্চ করে কোনও ওয়েবসাইট দেখে চিকিৎসা করা মোটেও বিচক্ষণ মানুষের কাজ নয়। গুগল-এ সার্চ করে হঠাৎ কোনও ওষুধ, সাপ্লিমেন্ট কেনা একেবারেই অনুচিত।
কাস্টমার কেয়ার নম্বর
হয়তো মনে করুন আপনি অনলাইন কোনও জিনিস কিনেছিলেন। সেটি রিটার্ন করার পর রিফান্ড পাবেন। তবে ২ দিন পরেও টাকা আপনি ফেরত পাননি। এমন সময় ভুলেও গুগল করে সেই সংস্থার কাস্টমার কেয়ার নম্বর খুঁজতে যাবেন না। কারণ হলো অনলাইন বিপনন সংস্থার আদলেই নকল ওয়েবসাইট খোলে অনেক প্রতারকরা। সেখানে থাকতে পারে ভুয়া নম্বর। সেই নম্বরে ফোন করলেই হয়তো আপনাকে পড়তে হবে ফাঁদে। তাই এ ব্যাপারে সাবধান।
শেয়ার বাজার কিংবা ট্রেডিং-এর বুদ্ধি
গুগল-এ এ সম্মন্ধে সার্চ করলেই হাজারও ওয়েবসাইট ভরা পরামর্শ আপনি দেখতে পাবেন। তবে নির্দিষ্ট এবং নামী কিছু ওয়েবসাইট ছাড়া শেয়ার বাজার সংক্রান্ত বুদ্ধি না নেওয়াই হবে বুদ্ধিমানের কাজ। একই সঙ্গে বিভিন্ন ভুয়া সংস্থা ‘ট্রেডিং’-এর নাম করে প্রতারণার ফাঁদও পেতে থাকে। তাই এই বিষয়ে গুগল সার্চের উপর বেশি নির্ভর না করাই হবে বুদ্ধিমানের কাজ।
করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে করণীয়
# সব সময় ঘরে থাকি।
# জরুরি প্রয়োজনে বাইরে বের হলে নিয়মগুলো মানি, মাস্ক ব্যবহার করি।
# তিন লেয়ারের সার্জিক্যাল মাস্ক ইচ্ছে করলে ধুয়েও ব্যবহার করতে পারি।
# বাইরে থেকে ঘরে ফেরার পর পোশাক ধুয়ে ফেলি। কিংবা না ঝেড়ে ঝুলিয়ে রাখি অন্তত চার ঘণ্টা।
# বাইরে থেকে এসেই আগে ভালো করে (অন্তত ২০ সেকেণ্ড ধরে) হাত সাবান বা লিকুইড দিয়ে ধুয়ে ফেলি।
# প্লাস্টিকের তৈরি পিপিই বা চোখ মুখ, মাথা একবার ব্যবহারের পর
অবশ্যই ডিটারজেন্ট দিয়ে ভালো করে ধুয়ে শুকিয়ে ব্যবহার করা যেতে পারে।
# কাপড়ের তৈরি পিপিই বা বর্ণিত নিয়মে পরিষ্কার করে পরি।
# চুল সম্পূর্ণ ঢাকে এমন মাথার ক্যাপ ব্যবহার করি।
# হাঁচি কাশি যাদের রয়েছে সরকার হতে প্রচারিত সব নিয়ম মেনে চলি। এছাড়াও খাওয়ার জিনিস, তালা চাবি, সুইচ ধরা, মাউস, রিমোট কন্ট্রোল, মোবাই, ঘড়ি, কম্পিউটার ডেক্স, টিভি ইত্যাদি ধরা ও বাথরুম ব্যবহারের আগে ও পরে নির্দেশিত মতে হাত ধুয়ে নিন। যাদের হাত শুকনো থাকে তারা হাত ধোয়ার পর Moisture ব্যবহার করি। সাবান বা হ্যান্ড লিকুইড ব্যবহার করা যেতে পারে। কেনোনা শুকনো হাতের Crackle (ফাটা অংশ) এর ফাঁকে এই ভাইরাসটি থেকে যেতে পারে। অতি ক্ষারযুক্ত সাবান বা ডিটারজেন্ট ব্যবহার থেকে বিরত থাকাই ভালো।