দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সাম্প্রতিক বাংলাদেশ সফরকে কেন্দ্র করে পশ্চিমবঙ্গের রাজ্য রাজনীতিতে ব্যাপক আলোচনা-সমালোচনা চলছে। এবার পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি বললেন, মোদি বাংলাদেশে গিয়েও দাঙ্গা বাঁধিয়েছেন।
মোদির বাংলাদেশ সফর নিয়ে তর্ক-বিতর্ক চরম পর্যায়ে উঠেছে। ওই রাজ্যে নির্বাচনী প্রচারণা চালানোর সময় পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি অভিযোগ করেছেন যে, অল্প সময়ের জন্য বাংলাদেশে গিয়েও ‘নরেন্দ্র মোদি সেখানে দাঙ্গা বাঁধিয়ে এসেছেন।’
ওই সফরে গিয়ে মোদি আসলে পশ্চিমবঙ্গের ভোটের প্রচার চালিয়েছেন বলেও মমতা ব্যানার্জি অভিযোগ করেন।
বিজেপি অবশ্য যথারীতি এই অভিযোগ অস্বীকার করে প্রকাশ্যেই বলেছে, বাংলাদেশের অত্যাচারিত হিন্দুদের জন্য সহমর্মিতা দেখানোতে কোনো অন্যায় কিছু নেই।
মাত্র দু’দিনের রাষ্ট্রীয় সফর সেরে নরেন্দ্র মোদি বাংলাদেশ হতে ফিরে এসেছেন তাও দিনদশেক হতে চলেছে। তবে ওই সফরকে কেন্দ্র করে এখনও আলোড়িত হচ্ছে দেশটির পশ্চিমবঙ্গের নির্বাচনী রাজনীতি।
মোদির সফরের সময় বাংলাদেশের নানা প্রান্তে যে সহিংসতা বিক্ষোভ ও প্রতিবাদ হয়েছে, তার প্রতি ইঙ্গিত করে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী ও তৃণমূল কংগ্রেসের নেত্রী মমতা ব্যানার্জি রবিবার বিকেলে হুগলী জেলার খানাকুলে এক জনসভায় নরেন্দ্র মোদীকে তীব্র ভাষায় আক্রমণ করেন।
মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘আপনি আগে দিল্লি গিয়ে দিল্লিটা সামলান! দিল্লির তো সর্বনাশ করে এসেছেন! মাত্র তিন দিনের জন্য বাংলাদেশ গিয়েছিলেন। ওখানে গিয়েও দাঙ্গা লাগিয়ে দিয়ে এসেছেন, আগে নিজেকে সামলান!
আপনি নিজেকে কী ভাবেন? অতিমানব না ঈশ্বর? দাঙ্গা করে, খুন করিয়ে আবার আপনাদের চোখ দিয়ে জলও পড়ে! ভালো নাটক করতে জানেন আপনারা!’
ইতিপূর্বেও মমতা ব্যানার্জি অভিযোগ করেছিলেন, বাংলাদেশ সফরে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি আসলে পশ্চিমবঙ্গের ভোটের প্রচার চালাচ্ছেন – তাই তার সেই দেশের ভিসা বাতিল করা উচিত।
বাংলাদেশের যশোর ও গোপালগঞ্জে হিন্দুদের দু’মন্দিরে মোদির সফরের পটভূমিতেই তিনি ওই মন্তব্য করেছেন।
পশ্চিমবঙ্গ বিজেপির সিনিয়র নেতা এবং মুখপাত্র ও শমীক ভট্টাচার্য অবশ্য দাবি করেছেন যে, বিদেশ সফরে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী অভ্যন্তরীণ রাজনীতির তাস খেলেছেন, মানুষ সেই কথা বিশ্বাস করবেন না।
করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে করণীয়
# সব সময় ঘরে থাকি।
# জরুরি প্রয়োজনে বাইরে বের হলে নিয়মগুলো মানি, মাস্ক ব্যবহার করি।
# তিন লেয়ারের সার্জিক্যাল মাস্ক ইচ্ছে করলে ধুয়েও ব্যবহার করতে পারি।
# বাইরে থেকে ঘরে ফেরার পর পোশাক ধুয়ে ফেলি। কিংবা না ঝেড়ে ঝুলিয়ে রাখি অন্তত চার ঘণ্টা।
# বাইরে থেকে এসেই আগে ভালো করে (অন্তত ২০ সেকেণ্ড ধরে) হাত সাবান বা লিকুইড দিয়ে ধুয়ে ফেলি।
# প্লাস্টিকের তৈরি পিপিই বা চোখ মুখ, মাথা একবার ব্যবহারের পর অবশ্যই ডিটারজেন্ট দিয়ে ভালো করে ধুয়ে শুকিয়ে ব্যবহার করা যেতে পারে।
# কাপড়ের তৈরি পিপিই বা বর্ণিত নিয়মে পরিষ্কার করে পরি।
# চুল সম্পূর্ণ ঢাকে এমন মাথার ক্যাপ ব্যবহার করি।
# হাঁচি কাশি যাদের রয়েছে সরকার হতে প্রচারিত সব নিয়ম মেনে চলি। এছাড়াও খাওয়ার জিনিস, তালা চাবি, সুইচ ধরা, মাউস, রিমোট কন্ট্রোল, মোবাই, ঘড়ি, কম্পিউটার ডেক্স, টিভি ইত্যাদি ধরা ও বাথরুম ব্যবহারের আগে ও পরে নির্দেশিত মতে হাত ধুয়ে নিন। যাদের হাত শুকনো থাকে তারা হাত ধোয়ার পর Moisture ব্যবহার করি। সাবান বা হ্যান্ড লিকুইড ব্যবহার করা যেতে পারে। কেনোনা শুকনো হাতের Crackle (ফাটা অংশ) এর ফাঁকে এই ভাইরাসটি থেকে যেতে পারে। অতি ক্ষারযুক্ত সাবান বা ডিটারজেন্ট ব্যবহার থেকে বিরত থাকাই ভালো।