দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ ধামরাইয়ের এক দশম শ্রেণীর ছাত্র মিনি পদ্মাসেতু নির্মাণ করে তাক লাগিয়ে দিয়েছে। প্রতিভাবান ওই স্কুল ছাত্রের নাম সোহাগ আহমেদ।
মাটি, বাঁশ এবং সিমেন্ট দিয়ে নানা কারুকাজের মাধ্যমে হুবুহু ফুটিয়ে তোলা হয়েছে মূল পদ্মা সেতুর অবয়বটি। যা তাক লাগিয়ে দিয়েছে এলাকার মানুষদের। তার বানানো এই মিনি পদ্মাসেতু দেখেই স্বাদ মেটাচ্ছেন আসল পদ্মা সেতু না দেখা মানুষদের। সেতুটি দেখতে প্রতিদিনই সকাল হতে সন্ধ্যা পর্যন্ত ধামরাইয়ের সুতিপাড়া এলাকায় তার বাড়িতে ভিড় জমাচ্ছেন অসংখ্য দর্শনার্থী।
অত্র এলাকার ভালুম আতাউর রহমান খান স্কুল ও কলেজের দশম শ্রেণীর শিক্ষার্থী সোহাগ আহমেদের বাড়িতে গিয়ে দেখা যায়, ঘরের পাশের ফাকা জায়গায় বাঁশ এবং মাটির কাঠামোতে সিমেন্টের প্রলেপ দিয়ে বানানো হয়েছে এই মিনি পদ্মাসেতুটি। মূল পদ্মাসেতু ছাড়াও রেললাইন, ল্যাম্পপোস্টসহ অনেক কিছুই রয়েছে এই ডামি সেতুটিতে।
আবার নিচে মাটি খুঁড়ে রূপ দেওয়া হয়েছে কৃত্রিম পদ্মা নদী। দুই লেনের মাঝখানে ফুলের চারাসহ এক প্রান্তে রয়েছে চেকপোস্টও। রাতের বেলা ল্যাম্পপোস্টগুলোতে আলো জ্বললে আরোও সুন্দর হয়ে উঠে সোহাগের এই পদ্মা সেতুটি।
এই বিষয়ে স্কুলছাত্র সোহাগ আহমেদ সংবাদ মাধ্যমকে বলেছেন, ‘প্রথম যেদিন পদ্মা সেতুর স্প্যান বসে, সেদিন থেকেই স্বপ্ন দেখছি ওইরকম একটা সেতু বানাবো আমি নিজেই। সেই লক্ষে ২০১৯ সালে আমি প্রথম এই সেতু বানানোর কাজ শুরু করি, তবে তা টেকাতে পারিনি। তখন মাটি দিয়ে বানিয়েছিলাম, তাই বৃষ্টির পানিতে ভেঙে গিয়েছিলো।
গত বছরের এক নভেম্বর পুনরায় সেতু নির্মাণ কাজ শুরু করেছি। দীর্ঘ ৫ মাস পর চলতি বছরের ২৬ মার্চ আমার পদ্মা সেতু বানানোর কাজ শেষ হয়েছে। তবে এবার মাটির ওপর সিমেন্ট দিয়ে সেটি প্লাস্টার করে দিয়েছি। যাতে করে আগের বারের মতো সেতুর মাটি গলে না যায়।’
উচ্ছ্বসিত সোহাগ আরও বলেছেন, ‘পড়াশুনা ও বাড়ির কাজের পাশাপাশি আমি এই পদ্মা সেতু তৈরির কাজ করছি। এতোদিনের পরিশ্রমের পর এটা বানাতে পেরে আমার খুবই ভালো লাগছে। অনেক লোক আসছে আমার সেতুটি দেখার জন্য। যেই দেখছে সেই প্রশংসাও করছে।’
সোহাগের বাবা সুলতান আলী বলেন, ‘প্রথম যখন সোহাগ এই সেতুটি বানানো শুরু করে তখন লেখাপড়ায় ব্যাঘাত হবে ভেবে তাকে অনেক বকাঝকাও করতাম, ধমক দিয়ে বলতাম পড়াশোনা বাদ দিয়া কি করস এইগুলা! এখন সোহাগের বানানো পদ্মা সেতু দেখতে দূর-দূরান্ত হতে বহু মানুষ আসছে ও প্রশংসা করছে। এতে সত্যিই গর্বে আমার বুক ভরে যাচ্ছে। সবাই আমার ছেলের জন্য দোয়া করবেন যেনো সে বড় হয়ে একজন ভালো মানের ইঞ্জিনিয়ার হতে পারে।’
স্থানীয় সুতিপাড়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান রেজাউল করিম বলেছেন, ‘আমি নিজেও গিয়ে মিনি পদ্মাসেতুটা দেখে এসেছি। অনেক সুন্দর হয়েছে তার কাজটা। প্রতিদিনই নানা জায়গা হতে লোকজন সেতুটি দেখতে আসছে। তাই আমরা এলাকাবাসী সোহাগকে নিয়ে সত্যিই গর্বিত।’
করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে করণীয়
# সব সময় ঘরে থাকি।
# জরুরি প্রয়োজনে বাইরে বের হলে নিয়মগুলো মানি, মাস্ক ব্যবহার করি।
# তিন লেয়ারের সার্জিক্যাল মাস্ক ইচ্ছে করলে ধুয়েও ব্যবহার করতে পারি।
# বাইরে থেকে ঘরে ফেরার পর পোশাক ধুয়ে ফেলি। কিংবা না ঝেড়ে ঝুলিয়ে রাখি অন্তত চার ঘণ্টা।
# বাইরে থেকে এসেই আগে ভালো করে (অন্তত ২০ সেকেণ্ড ধরে) হাত সাবান বা লিকুইড দিয়ে ধুয়ে ফেলি।
# প্লাস্টিকের তৈরি পিপিই বা চোখ মুখ, মাথা একবার ব্যবহারের পর অবশ্যই ডিটারজেন্ট দিয়ে ভালো করে ধুয়ে শুকিয়ে ব্যবহার করা যেতে পারে।
# কাপড়ের তৈরি পিপিই বা বর্ণিত নিয়মে পরিষ্কার করে পরি।
# চুল সম্পূর্ণ ঢাকে এমন মাথার ক্যাপ ব্যবহার করি।
# হাঁচি কাশি যাদের রয়েছে সরকার হতে প্রচারিত সব নিয়ম মেনে চলি। এছাড়াও খাওয়ার জিনিস, তালা চাবি, সুইচ ধরা, মাউস, রিমোট কন্ট্রোল, মোবাই, ঘড়ি, কম্পিউটার ডেক্স, টিভি ইত্যাদি ধরা ও বাথরুম ব্যবহারের আগে ও পরে নির্দেশিত মতে হাত ধুয়ে নিন। যাদের হাত শুকনো থাকে তারা হাত ধোয়ার পর Moisture ব্যবহার করি। সাবান বা হ্যান্ড লিকুইড ব্যবহার করা যেতে পারে। কেনোনা শুকনো হাতের Crackle (ফাটা অংশ) এর ফাঁকে এই ভাইরাসটি থেকে যেতে পারে। অতি ক্ষারযুক্ত সাবান বা ডিটারজেন্ট ব্যবহার থেকে বিরত থাকাই ভালো।