দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ ভারতে করোনার ভয়াবহ দ্বিতীয় ঢেউয়ে নাজেহাল দেশটির মানুষ। এশিয়ার অন্যতম পরমাণু শক্তিধর এই দেশটি ছোট্ট ভাইরাসের বিরুদ্ধে চরমভাবেই নাস্তানাবুদ হচ্ছে। মৃত্যুপুরীতে পরিণত হচ্ছে পুরো দেশ।
সাড়ে তিন লাখে ঠেকেছে ভারতের দৈনিক সংক্রমণ। মারা যাচ্ছে প্রতিদিন আড়াই হাজারের উপরে মানুষ। হাসপাতালে বেড নেই, চিকিৎসক নেই, অক্সিজেন নেই, শ্মশানের চুল্লিও যেনো নিভছে না, কবর দেওয়ার জায়গা পর্যন্ত নেই দেশটিতে। গোটা দেশ জুড়ে হাহাকার, স্বজন হারানোর কান্নায় ভারি আকাশ-বাতাস। তারই মধ্যে দেশকে জরুরি পরিষেবা দিয়ে যাচ্ছেন বিভিন্ন পেশার একাধিক কোভিড যোদ্ধারা। স্বাস্থ্যকর্মীদের সঙ্গে রয়েছেন পুলিশকর্মীরাও। তাই দেশের এই সঙ্কটজনক মুহূর্তে নিঃশ্বাস ফেলার সময় নেই তাদের।
বিশ্রামের সময়টুকুও তাদের মিলছে না, তাদের কাছে বিয়ে করার জন্য ছুটি চাওয়া ও তা পাওয়া নিদারুণ এক কষ্ট কল্পনা। খুব স্বাভাবিকভাবেই আগে থেকে বিযের জন্য নিয়ে রাখা ছুটিও বাতিল হয়েছিল রাজস্থানের দুঙ্গারপুর জেলাতে আশা নামে ওই মহিলা কনস্টেবলের।
গত বছর তার বিয়ে ঠিক হয় মে মাসে। করোনার কারণে তা ভেস্তে যায়। এই বছর ৩০ এপ্রিল বিয়ের তারিখ নির্ধারণ করা হয়। কিন্তু এ বছর আবারও একই পরিস্থিতি। তবে এ বছর আর বিয়ে ভাঙতে রাজি নন আশার পরিবার।
বিয়ের ছুটি না পেলেও বিয়ের তারিখ পিছালেন না তারা। যে কারণে গায়ে হলুদের অনুষ্ঠান সারতে হল কর্মক্ষেত্রেই!
বিয়ের জন্য নির্ধারিত ছুটি না পাওয়ায় আশার মন খারাপ দেখে তাকে আনন্দ দিতে এগিয়ে এলেন তারই সমস্ত সহকর্মীরা। পুলিশ স্টেশনের মধ্যেই নূন্যতম আয়োজনে আশার গায়ে হলুদের অনুষ্ঠান সম্পন্ন করলেন তারই সহকর্মীরা। কনের গায়ে হলুদ দিয়ে স্নান করিয়ে দিলেন তারা। ফেসবুকে সেই ঘটনার ছোট্ট একটি ভিডিও শেয়ার করেন আশার সহকর্মীরা।
ভিডিওটিতে দেখা যায় যে সকলে মাস্ক আর ইউনিফর্ম পরেই আশাকে ঘিরে ধরে আচার অনুষ্ঠান পালন করছেন। একটি প্লাস্টিকের চেয়ারে বসিয়ে তাকে নাচাচ্ছে সকলে মিলে। সেইসঙ্গে তারা ধর্মীয় প্রথা মতো গানও ধরেছেন। হলুদ সালোয়ার, লাল ওড়নায় সেজে চেয়ারে বসে রয়েছে সলজ্জ কনে। যেনো বিষাদের মধ্যেও আনন্দের সুর বেজে উঠেছে।
করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে করণীয়
# সব সময় ঘরে থাকি।
# জরুরি প্রয়োজনে বাইরে বের হলে নিয়মগুলো মানি, মাস্ক ব্যবহার করি।
# তিন লেয়ারের সার্জিক্যাল মাস্ক ইচ্ছে করলে ধুয়েও ব্যবহার করতে পারি।
# বাইরে থেকে ঘরে ফেরার পর পোশাক ধুয়ে ফেলি। কিংবা না ঝেড়ে ঝুলিয়ে রাখি অন্তত চার ঘণ্টা।
# বাইরে থেকে এসেই আগে ভালো করে (অন্তত ২০ সেকেণ্ড ধরে) হাত সাবান বা লিকুইড দিয়ে ধুয়ে ফেলি।
# প্লাস্টিকের তৈরি পিপিই বা চোখ মুখ, মাথা একবার ব্যবহারের পর
অবশ্যই ডিটারজেন্ট দিয়ে ভালো করে ধুয়ে শুকিয়ে ব্যবহার করা যেতে পারে।
# কাপড়ের তৈরি পিপিই বা বর্ণিত নিয়মে পরিষ্কার করে পরি।
# চুল সম্পূর্ণ ঢাকে এমন মাথার ক্যাপ ব্যবহার করি।
# হাঁচি কাশি যাদের রয়েছে সরকার হতে প্রচারিত সব নিয়ম মেনে চলি। এছাড়াও খাওয়ার জিনিস, তালা চাবি, সুইচ ধরা, মাউস, রিমোট কন্ট্রোল, মোবাই, ঘড়ি, কম্পিউটার ডেক্স, টিভি ইত্যাদি ধরা ও বাথরুম ব্যবহারের আগে ও পরে নির্দেশিত মতে হাত ধুয়ে নিন। যাদের হাত শুকনো থাকে তারা হাত ধোয়ার পর Moisture ব্যবহার করি। সাবান বা হ্যান্ড লিকুইড ব্যবহার করা যেতে পারে। কেনোনা শুকনো হাতের Crackle (ফাটা অংশ) এর ফাঁকে এই ভাইরাসটি থেকে যেতে পারে। অতি ক্ষারযুক্ত সাবান বা ডিটারজেন্ট ব্যবহার থেকে বিরত থাকাই ভালো।