দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ দেশের ইলেকট্রনিক্স জায়ান্ট ওয়ালটন ঈদ উপলক্ষ্যে নতুন মডেলের স্মার্ট ফ্রিজ বাজারে নিয়ে এলো। ইন্টারনেট অব থিংকস (আইওটি) বেজড নন-ফ্রস্ট এই স্মার্ট ফ্রিজ বিশ্বের যেকোনো প্রান্তে বসেই মোবাইলে নিয়ন্ত্রণ করা যাবে।
ইন্টেলিজেন্ট ইনভার্টার প্রযুক্তির এই ফ্রিজটি ৫০ শতাংশেরও বেশি বিদ্যুৎ সাশ্রয়ী। এই ফ্রিজের আয়োনাইজার সিস্টেম স্বয়ংক্রিয়ভাবেই জীবাণু ধ্বংস করতে সক্ষম। রয়েছে ডোর অ্যালার্ম, হিউম্যান ডিটেক্টরসহ অত্যাধুনিক নানা রকম ফিচার। আবার এর ডিজাইনেও রয়েছে আভিজাত্যের ছাপ। 6A9 মডেলের এই ফ্রিজটির দাম ৮০ হাজার ৯শ’ টাকা।
জানা যায়, ফ্রিজে প্রতিদিন বা মাসিক কতোটুকু বিদ্যুৎ খরচ হচ্ছে? কতো বিল আসছে? ভোল্টেজ লো নাকি হাই? কম্প্রেসার কী ওভারলোডে চলছে? এসব তথ্য জানা যাবে ওয়ালটনের এই স্মার্ট ফ্রিজে।
ঈদের বিশেষ উপহার হিসেবে নতুন মডেলের এই স্মার্ট ফ্রিজটি বাজারে ছেড়েছে ওয়ালটন ফ্রিজ গবেষণা এবং উন্নয়ন বিভাগের প্রকৌশলীরা। তারা বাংলাদেশে এই প্রথম বিশ্বের লেটেস্ট প্রযুক্তির স্মার্ট ফ্রিজ তৈরি করেছে। যা শুধু ওয়ালটনের জন্যই নয়; দেশীয় প্রকৌশলী তথা বাংলাদেশের জন্যও এক বিশাল মাইলফলক হিসেবে দেখা হচ্ছে।
ওয়ালটন স্মার্ট ফ্রিজে রয়েছে এআই বা আর্টিফিসিয়াল ইন্টেলিজেন্স বেজড থ্রিডি ম্যাট্রিক্স স্পিড অপটিমাইজেশন টেকনোলজি। আরও রয়েছে ব্যাপক বিদ্যুৎ সাশ্রয়ী ইন্টেলিজেন্ট ইনভার্টার কম্প্রেসার। এতে ব্যবহৃত হচ্ছে সিএফসি ও এইচএফসিমুক্ত সম্পূর্ণ পরিবেশবান্ধব আর৬০০এ রেফ্রিজারেন্ট। ফ্রিজের ভেতরে রয়েছে এলইডি লাইট। এতে বিদ্যুৎ সাশ্রয় হবে ৫০ শতাংশেরও বেশি। নন-ফ্রস্ট হওয়ার কারণে ভেতরের বডিতে কোনো বরফ জমবে না। আয়োনাইজার প্রযুক্তি থাকায় সংরক্ষিত খাবারের গায়ে কোনো রকম ব্যাকটেরিয়া বা ভাইরাসের জীবাণু থাকলে তা স্বয়ংক্রিয়ভাবেই ধ্বংস হয়ে যাবে। ওয়ালটন স্মার্ট ফ্রিজের দরজা ১ মিনিটের বেশি খোলা থাকলে এর ডোর অ্যালার্ম সিস্টেম স্বয়ংক্রিয়ভাবেই বেজে উঠবে।
করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে করণীয়
# সব সময় ঘরে থাকি।
# জরুরি প্রয়োজনে বাইরে বের হলে নিয়মগুলো মানি, মাস্ক ব্যবহার করি।
# তিন লেয়ারের সার্জিক্যাল মাস্ক ইচ্ছে করলে ধুয়েও ব্যবহার করতে পারি।
# বাইরে থেকে ঘরে ফেরার পর পোশাক ধুয়ে ফেলি। কিংবা না ঝেড়ে ঝুলিয়ে রাখি অন্তত চার ঘণ্টা।
# বাইরে থেকে এসেই আগে ভালো করে (অন্তত ২০ সেকেণ্ড ধরে) হাত সাবান বা লিকুইড দিয়ে ধুয়ে ফেলি।
# প্লাস্টিকের তৈরি পিপিই বা চোখ মুখ, মাথা একবার ব্যবহারের পর
অবশ্যই ডিটারজেন্ট দিয়ে ভালো করে ধুয়ে শুকিয়ে ব্যবহার করা যেতে পারে।
# কাপড়ের তৈরি পিপিই বা বর্ণিত নিয়মে পরিষ্কার করে পরি।
# চুল সম্পূর্ণ ঢাকে এমন মাথার ক্যাপ ব্যবহার করি।
# হাঁচি কাশি যাদের রয়েছে সরকার হতে প্রচারিত সব নিয়ম মেনে চলি। এছাড়াও খাওয়ার জিনিস, তালা চাবি, সুইচ ধরা, মাউস, রিমোট কন্ট্রোল, মোবাই, ঘড়ি, কম্পিউটার ডেক্স, টিভি ইত্যাদি ধরা ও বাথরুম ব্যবহারের আগে ও পরে নির্দেশিত মতে হাত ধুয়ে নিন। যাদের হাত শুকনো থাকে তারা হাত ধোয়ার পর Moisture ব্যবহার করি। সাবান বা হ্যান্ড লিকুইড ব্যবহার করা যেতে পারে। কেনোনা শুকনো হাতের Crackle (ফাটা অংশ) এর ফাঁকে এই ভাইরাসটি থেকে যেতে পারে। অতি ক্ষারযুক্ত সাবান বা ডিটারজেন্ট ব্যবহার থেকে বিরত থাকাই ভালো।