দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ যদি আপনি যথেষ্ট পরিমাণ মাছ, মাংস, বাদাম, ডিম, দুধ এবং প্রোটিন সমৃদ্ধ খাবার না খান তাহলে আপনার স্বাস্থ্যের উপর সার্বিক প্রভাব পড়তে পারে। শরীরে প্রোটিনের ঘাটতি বোঝার উপায় জেনে নিন।
কিছু লক্ষণ দেখে আপনি নিজেই বুঝতে পারবেন আপনার শরীরে প্রোটিনের ঘাটতি রয়েছে কতোটা। আজ জেনে নিন কীভাবে বুঝবেন শরীরে প্রোটিনের ঘাটতি রয়েছে।
ঘনঘন অসুস্থ হচ্ছেন
আপনি যদি পরিমিতভাবে খাবার গ্রহণ না করেন তাহলে আপনি নিশ্চিতভাবেই অসুস্থ হবেন। প্রোটিন হলো প্রতিদিনকার সুষম খাবারের অন্যতম একটি খাদ্য উপাদান। যদি ঘন ঘন শারীরিক অসুস্থতা লেগেই থাকে তাহলে বুঝতে হবে প্রোটিন স্বল্পতায় ভুগছেন।
দুর্বল বা ক্ষুধার্ত বোধ করা
আপনার শরীরে নিয়মিত প্রোটিন নিলে শরীরে যথেষ্ট পরিমাণ যেমন শক্তি থাকবে ঠিক তেমনি আপনি একটু পরপরই ক্ষুধার্ত বোধ করবেন না। প্রোটিন না নিলে এর উল্টোটাও ঘটতে পারে।
ওজন কমানো
ওজন কমানোর অর্থই হলো খাবার কমিয়ে দেওয়া না। প্রোটিন তো একদম না। শরীরের চর্বি কমানোর জন্যই নিয়মিত প্রোটিন গ্রহণের কোনো বিকল্প নেই। আপনি যদি প্রোটিন কম খান, তাহলে আপনি যতোই শরীরচর্চা বা ডায়েট করেন না কেনো, তাতে ওজন কমাতে পারবেন না।
হারাচ্ছেন সাধের চুল
আপনি দেখলেন যে, সকাল বেলায় মাথায় হাত বুলাতে গিয়ে খেয়াল করছেন হাতের সঙ্গে এক গোছা চুল বেরিয়ে এসেছে। এরকম লক্ষণ দেখলে আপনাকে ধরেই নিতে হবে আপনি প্রোটিন স্বল্পতায় ভুগছেন।
ত্বকে প্রদাহ
প্রোটিন স্বল্পতার জন্য মাঝে-মধ্যেই ত্বকের প্রদাহসহ চুলকানি এবং এলার্জির মতো সমস্যা দেখা দিতে পারে। বিশেষ করে ত্বকের এই সমস্যাটি হয়ে থাকে আপনার উরু এবং পশ্চাৎদেশে।
পা ফেটে যাওয়া
প্রোটিন আপনার রক্তকণিকাগুলোর মধ্যে পর্যাপ্ত পরিমাণ লবণ ও পানি ধরে রাখতে সাহায্য করে থাকে। যদি প্রোটিন স্বল্পতা থাকে তাহলে ফ্লুইড পার্শ্ববর্তী টিস্যুগুলোতে ঢুকে যাবে। হার্ভার্ড হেলথ পাবলিকেশনের এক তথ্যে জানা যায়, সে কারণে প্রোটিন স্বল্পতার জন্য অনেকের পা ফেটে যেতে পারে।
করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে করণীয়
# সব সময় ঘরে থাকি।
# জরুরি প্রয়োজনে বাইরে বের হলে নিয়মগুলো মানি, মাস্ক ব্যবহার করি।
# তিন লেয়ারের সার্জিক্যাল মাস্ক ইচ্ছে করলে ধুয়েও ব্যবহার করতে পারি।
# বাইরে থেকে ঘরে ফেরার পর পোশাক ধুয়ে ফেলি। কিংবা না ঝেড়ে ঝুলিয়ে রাখি অন্তত চার ঘণ্টা।
# বাইরে থেকে এসেই আগে ভালো করে (অন্তত ২০ সেকেণ্ড ধরে) হাত সাবান বা লিকুইড দিয়ে ধুয়ে ফেলি।
# প্লাস্টিকের তৈরি পিপিই বা চোখ মুখ, মাথা একবার ব্যবহারের পর অবশ্যই ডিটারজেন্ট দিয়ে ভালো করে ধুয়ে শুকিয়ে ব্যবহার করা যেতে পারে।
# কাপড়ের তৈরি পিপিই বা বর্ণিত নিয়মে পরিষ্কার করে পরি।
# চুল সম্পূর্ণ ঢাকে এমন মাথার ক্যাপ ব্যবহার করি।
# হাঁচি কাশি যাদের রয়েছে সরকার হতে প্রচারিত সব নিয়ম মেনে চলি। এছাড়াও খাওয়ার জিনিস, তালা চাবি, সুইচ ধরা, মাউস, রিমোট কন্ট্রোল, মোবাই, ঘড়ি, কম্পিউটার ডেক্স, টিভি ইত্যাদি ধরা ও বাথরুম ব্যবহারের আগে ও পরে নির্দেশিত মতে হাত ধুয়ে নিন। যাদের হাত শুকনো থাকে তারা হাত ধোয়ার পর Moisture ব্যবহার করি। সাবান বা হ্যান্ড লিকুইড ব্যবহার করা যেতে পারে। কেনোনা শুকনো হাতের Crackle (ফাটা অংশ) এর ফাঁকে এই ভাইরাসটি থেকে যেতে পারে। অতি ক্ষারযুক্ত সাবান বা ডিটারজেন্ট ব্যবহার থেকে বিরত থাকাই ভালো।