দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ দেহের সুস্থতার জন্যে আমরা অনেক কিছুই করে থাকি। এর প্রভাবও পড়ে ত্বকে। ত্বকের ক্ষেত্রে আমরা সবাই একটু বেশিই যত্ন নিয়ে থাকি। সুন্দর ত্বকের জন্য কয়েকটি খাবার সম্পর্কে আজ আলোচনা করা হবে।
আপনি কী জানেন? যেসব নামী দামী প্রসাধনী আপনার ত্বকের উপকার করছে বলে আপনি ভাবছেন, সেগুলোর পার্শপ্রতিক্রিয়াই বেশি? সুন্দর ত্বকের জন্য এতোকিছু প্রয়োজন নেই, প্রয়োজন কেবল সঠিক কিছু খাবারের। এমন কিছু খাবার, যেগুলো খাওয়া ও ত্বকে মাখা উভয়ই ক্ষেত্রেই উপকারী। এগুলো আপনার ত্বককে করে তোলে ভেতর থেকে আরও উজ্জ্বল এবং সুস্থ।
স্ট্রবেরী
স্ট্রবেরীতে রয়েছে কমলা বা আঙ্গুরের চেয়ে বেশি পরিমাণে ভিটামিন সি, যা ত্বকের বলিরেখা রোধের জন্যে বেশ কার্যকর। এটি ত্বকে বাড়তি আর্দ্রতা যুগিয়ে ত্বককে করে তোলে আরও কোমল ও লাবণ্যময়। এছাড়া দই এবং মধুর সঙ্গে এটি মিশিয়ে লাগাতে পারেন ত্বকে। পেয়ে যাবেন খুব সহজেই কোমল প্রাকৃতিক ত্বক।
অলিভ অয়েল
প্রাচীনকাল থেকেই রূপচর্চায় অলিভ অয়েলের ব্যবহার হয়ে আসছে। প্রাচীন রোমানরা ত্বকচর্চায় অলিভ ওয়েল ব্যবহার করতেন।রাতে ঘুমাবার আগে মুখের ত্বকে ম্যাসাজ করতে পারেন অলিভ ওয়েল দিয়ে। এটি আপনার ত্বককে করবে কোমল এবং উজ্জ্বল। আরও ভালো ফল পেতে সালাদের সঙ্গে মিশিয়ে নিন খানিকটা অলিভ অয়েল। ত্বক ও স্বাস্থ্য দুটোই থাকবে ভালো।
মিষ্টি কুমড়া
এই অতি পরিচিত সবজি মিষ্টি কুমড়া আপনার ত্বক থেকে বয়সের ছাপ কমিয়ে আনতে সাহায্য করবে। কুমড়ায় রয়েছে ভিটামিন এ এবং সি ও রয়েছে প্রচুর এন্টি অক্সিডেন্ট। খাবার পাশাপাশি কুমড়োর পেস্ট বানিয়ে খানিকটা টকদই এবং মধু মিশিয়ে মুখের ত্বকে লাগিয়ে অপেক্ষা করতে হবে ১০ মিনিট পর্যন্ত। দেখবেন এতে করে আপনার ত্বক হয়ে উঠেছে নরম এবং কোমল। এভাবেই আপনার ত্বকের যত্ন নিন।
গ্রীন টি
এখন যথেষ্ট সহজলভ্য গ্রীন টি। এটি শুধু আপনার ওজন কমাতেই সাহায্য করে না বরং আপনার ত্বকের জন্যেও ভীষণভাবে উপকারী। এমনকি এটা স্কিন ক্যান্সারকেও রাখে অনেক দূরে। গ্রীন টির ব্যবহৃত টি ব্যাগ ফ্রিজে রেখে ঠাণ্ডা করুন। এরপর চোখের উপর লাগিয়ে রাখুন ১০ মিনিট সময় ধরে। এটা আপনার চোখের কালি এবং ফোলাভাব দূর করবে খুব সহজেই।
বেদানা
বেদানার রস গ্রীন টির চেয়ে দ্রুত কাজ করে ত্বকের বলিরেখা কমিয়ে দিতে। প্রতিদিন খানিকটা বেদানা আপনার খাদ্যতালিকায় রাখুন। খাবার পাশাপাশি খানিকটা ওটমিলের সঙ্গে বেদানার রস মিশিয়ে মুখে মেখে রাখুন ১০ মিনিট সময় ধরে। এতে নিমেষেই পেয়ে যাবেন সুন্দর ত্বক।
করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে করণীয়
# সব সময় ঘরে থাকি।
# জরুরি প্রয়োজনে বাইরে বের হলে নিয়মগুলো মানি, মাস্ক ব্যবহার করি।
# তিন লেয়ারের সার্জিক্যাল মাস্ক ইচ্ছে করলে ধুয়েও ব্যবহার করতে পারি।
# বাইরে থেকে ঘরে ফেরার পর পোশাক ধুয়ে ফেলি। কিংবা না ঝেড়ে ঝুলিয়ে রাখি অন্তত চার ঘণ্টা।
# বাইরে থেকে এসেই আগে ভালো করে (অন্তত ২০ সেকেণ্ড ধরে) হাত সাবান বা লিকুইড দিয়ে ধুয়ে ফেলি।
# প্লাস্টিকের তৈরি পিপিই বা চোখ মুখ, মাথা একবার ব্যবহারের পর
অবশ্যই ডিটারজেন্ট দিয়ে ভালো করে ধুয়ে শুকিয়ে ব্যবহার করা যেতে পারে।
# কাপড়ের তৈরি পিপিই বা বর্ণিত নিয়মে পরিষ্কার করে পরি।
# চুল সম্পূর্ণ ঢাকে এমন মাথার ক্যাপ ব্যবহার করি।
# হাঁচি কাশি যাদের রয়েছে সরকার হতে প্রচারিত সব নিয়ম মেনে চলি। এছাড়াও খাওয়ার জিনিস, তালা চাবি, সুইচ ধরা, মাউস, রিমোট কন্ট্রোল, মোবাই, ঘড়ি, কম্পিউটার ডেক্স, টিভি ইত্যাদি ধরা ও বাথরুম ব্যবহারের আগে ও পরে নির্দেশিত মতে হাত ধুয়ে নিন। যাদের হাত শুকনো থাকে তারা হাত ধোয়ার পর Moisture ব্যবহার করি। সাবান বা হ্যান্ড লিকুইড ব্যবহার করা যেতে পারে। কেনোনা শুকনো হাতের Crackle (ফাটা অংশ) এর ফাঁকে এই ভাইরাসটি থেকে যেতে পারে। অতি ক্ষারযুক্ত সাবান বা ডিটারজেন্ট ব্যবহার থেকে বিরত থাকাই ভালো।