দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ রক্তদান একটি উপকারী কাজ তা আমরা জানি। তবে যখন তখন ইচ্ছে করলেই রক্ত দেওয়া যায় না। এর একটা সময় অসময় রয়েছে। রক্তদান কখন করা যাবে না সেই বিষয়টি আজ জেনে নিন।
রক্তদান একটি উপকারী কাজ তা আমরা জানি। তবে যখন তখন ইচ্ছে করলেই রক্ত দেওয়া যায় না। এর একটা সময় অসময় রয়েছে। রক্তদান কখন করা যাবে না সেই বিষয়টি আজ জেনে নিন।
রক্তদান কখন করা যাবে না
# এইচআইভি, হাইপারটেনশন, কার্ডিয়াক অ্যারেস্ট, মৃগীরোগ কিংবা হেপাটাইটিস থাকলে রক্তদান করা যাবে না।
# ম্যালেরিয়ায় আক্রান্ত ব্যক্তির ক্ষেত্রে সুস্থ হওয়ার কমপক্ষে এক বছর না হওয়া পর্যন্ত রক্ত দেওয়া যাবে না। কারণ এক বছর পর্যন্ত ম্যালেরিয়ার জীবাণু শরীর বহন করে।
# আপনার দেহে হিমোগ্লোবিনের মাত্রা পর্যাপ্ত না থাকলে সাময়িক সময়ের জন্যে আপনাকে রক্তদানে অবশ্যই বিরত থাকতে হবে। পুরুষদের ক্ষেত্রে এটা ১২.৫ ও মহিলাদের ক্ষেত্রে এটা হবে ১৩।
# আকুপাংচার, কান ফুটো কিংবা ট্যাটু করাবার সঙ্গে সঙ্গেই রক্তদান করা যাবে না। তাছাড়াও যে সুঁই দিয়ে করা হয়েছে, তা জীবাণুমুক্ত ছিল কি না- এটা যদি নিশ্চিত জানা না থাকে তাহলে আপনাকে একবছর অপেক্ষা করতে হবে।
# কোনো ফ্লুতে আক্রান্ত হলে সুস্থ হওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে।
# গর্ভবতী ও সদ্য প্রসব করেছেন এমন মায়েরাও রক্তদান করতে পারবে না।
# ব্লাড ক্যান্সারে আক্রান্ত ব্যক্তি কখনও রক্তদান করতে পারবেন না। তবে অন্যান্য ক্যান্সারে আক্রান্ত কেও তার সর্বশেষ সার্জারি, কেমোথেরাপি কিংবা রেডিয়েশনের ৫ বছর অতিক্রম হওয়ার পর রক্তদান করতে পারেন।
# রক্তদানের ২৪ ঘণ্টার পূর্বে যদি কেও মদ্যপান করেন তাহলে রক্তদান করতে পারবেন না।
# দাঁত বা মুখের কোনো অপারেশন হলেও রক্তদানে অপেক্ষা করতে হবে।
# নিজের দেহে রক্ত নিলে অন্তত একবছর সময় পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে।
# বিদেশে গেলে ফিরে আসার পর অন্তত কিছুদিন অপেক্ষা করতে হবে।
# ধূমপান করার অন্তত চার ঘণ্টা পর্যন্ত রক্তদান করা যাবে না।
# বড় কোনো সার্জারি হয়ে থাকলে কমপক্ষে ৬ মাস ও ছোট সার্জারি হলে কমপক্ষে ২ মাস অপেক্ষা করতে হবে রক্তদানের জন্য।
# এন্ডোস্কোপি করাবার পর কমপক্ষে চার মাস পর্যন্ত রক্তদান করা যায় না।
# ডা. সাজেদুল ইসলাম নাহিম -এর লেখা অবলম্বনে।
করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে করণীয়
# সব সময় ঘরে থাকি।
# জরুরি প্রয়োজনে বাইরে বের হলে নিয়মগুলো মানি, মাস্ক ব্যবহার করি।
# তিন লেয়ারের সার্জিক্যাল মাস্ক ইচ্ছে করলে ধুয়েও ব্যবহার করতে পারি।
# বাইরে থেকে ঘরে ফেরার পর পোশাক ধুয়ে ফেলি। কিংবা না ঝেড়ে ঝুলিয়ে রাখি অন্তত চার ঘণ্টা।
# বাইরে থেকে এসেই আগে ভালো করে (অন্তত ২০ সেকেণ্ড ধরে) হাত সাবান বা লিকুইড দিয়ে ধুয়ে ফেলি।
# প্লাস্টিকের তৈরি পিপিই বা চোখ মুখ, মাথা একবার ব্যবহারের পর অবশ্যই ডিটারজেন্ট দিয়ে ভালো করে ধুয়ে শুকিয়ে ব্যবহার করা যেতে পারে।
# কাপড়ের তৈরি পিপিই বা বর্ণিত নিয়মে পরিষ্কার করে পরি।
# চুল সম্পূর্ণ ঢাকে এমন মাথার ক্যাপ ব্যবহার করি।
# হাঁচি কাশি যাদের রয়েছে সরকার হতে প্রচারিত সব নিয়ম মেনে চলি। এছাড়াও খাওয়ার জিনিস, তালা চাবি, সুইচ ধরা, মাউস, রিমোট কন্ট্রোল, মোবাই, ঘড়ি, কম্পিউটার ডেক্স, টিভি ইত্যাদি ধরা ও বাথরুম ব্যবহারের আগে ও পরে নির্দেশিত মতে হাত ধুয়ে নিন। যাদের হাত শুকনো থাকে তারা হাত ধোয়ার পর Moisture ব্যবহার করি। সাবান বা হ্যান্ড লিকুইড ব্যবহার করা যেতে পারে। কেনোনা শুকনো হাতের Crackle (ফাটা অংশ) এর ফাঁকে এই ভাইরাসটি থেকে যেতে পারে। অতি ক্ষারযুক্ত সাবান বা ডিটারজেন্ট ব্যবহার থেকে বিরত থাকাই ভালো।