দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ চাঁদের কক্ষে এবার তৈরি করা হবে বাড়ি। সম্প্রতি এমনই চমকপ্রদ খবর দিয়েছে মার্কিন মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসা!
এই প্রকল্পের জন্য নানা সংস্থার সঙ্গে প্রতিযোগিতা গ্রহণের মাধ্যমে নাসার বাজি জিতে নিয়েছে মার্কিন প্রতিরক্ষা সামগ্রী নির্মাণকারী সংস্থা নর্থরপ গ্রুম্যান কর্পোরেশন। তাদের সঙ্গে ৯৩৫ মিলিয়ন ডলারের চুক্তিও করেছে নাসা।
বলা হচ্ছে যে, মহাকাশচারীরা চাঁদে পাড়া দেওয়ার পথে এসব বাড়িতে বিশ্রাম গ্রহণ করবেন, সঙ্গে প্রয়োজনীয় পড়াশোনা বা গবেষণার কাজও সেরে নিতে পারেন তারা। তবে কবে শুরু হবে এই নির্মাণ কাজ? তা এখনও জানানো হয়নি। তথ্য: সংবাদ প্রতিদিন।
ইতিপূর্বে চীন ঘোষণা করেছিল যে, তারা চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে বাসস্থান তৈরি করবেন। উদ্দেশ্য হলো একটাই। মহাকাশে পাড়ি দেওয়ার সময় যাতে কোনও আশ্রয়স্থল পান নভোচরীরা। তাতে গবেষণার কাজও আরও সহজ হবে বলে ধারণা তাদের। ২০৩০ সালের মধ্যে তাদের এই কাজ শুরু হওয়ার কথা রয়েছে। এরই মাঝে নাসার এই ঘোষণা এলো।
মার্কিন মহাকাশ গবেষণা সংস্থাটি জানিয়েছে, এই নতুন পরিকল্পনায় চন্দ্রে অবতরণের ক্ষেত্রেও অনেকটা সুবিধা হবে। তাছাড়াও এতে বৈজ্ঞানিক গবেষণার কাজও চালানো যাবে। ভবিষ্যতে নভোচারীদের সুবিধার কথা ভেবে তাই পরিকল্পনা করেছে নাসা। চাঁদের কক্ষপথে ‘ঘর’ বানানো তো কম চ্যালেঞ্জের বিষয় নয়। তাই নাসার ‘আর্টেমিস প্রজেক্ট’ অর্থাৎ বেসরকারি সংস্থার হাত ধরেই মহাকাশযাত্রাকে আরও এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার লক্ষ্যে তাদের যে প্রকল্প, তাতে অংশ নিয়েছিল বেশ কয়েকটি নামী-দামি সংস্থা। তবে সবার মধ্যে থেকে এবার বাজিমাত করলো নর্থরপ গ্রুম্যান।
নাসার এই ‘আর্টেমিস প্রজেক্ট’ সম্প্রতি বেশ জনপ্রিয় ও কার্যকরিও হয়েছে। স্পেস এক্স, নর্থরপ, ভার্জিন গ্যালাকটিকের মতো বেশ কয়েকটি নামী আন্তর্জাতিক সংস্থা, যারা মূলত উচ্চপ্রযুক্তির সামগ্রী নির্মাতা বলেই বেশি পরিচিত, তাদের মধ্যে জোর প্রতিযোগিতা শুরু হয়েছে। নর্থরপ গ্রুম্যানও তেমনি প্রতিরক্ষা সামগ্রী তৈরিতে সিদ্ধহস্ত। এফ-২০’র মতো যুদ্ধবিমানের নির্মাতা এই মার্কিন বহুজাতিক সংস্থাটি। এবার তাদের উপরেই নাসা দায়িত্ব দিতে যাচ্ছে চাঁদের কক্ষপথে বাড়ি তৈরি করার জন্য। অস্থায়ী যেমন তেমন বাড়ি নয়, দীর্ঘমেয়াদি থাকার বাড়ি তৈরি করবে নর্থরপ গ্রুম্যান। তার জন্য ৯৩৫ মিলিয়ন মার্কিন ডলারের প্রকল্পও নিয়েছেন তারা।
করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে করণীয়
# সব সময় ঘরে থাকি।
# জরুরি প্রয়োজনে বাইরে বের হলে নিয়মগুলো মানি, মাস্ক ব্যবহার করি।
# তিন লেয়ারের সার্জিক্যাল মাস্ক ইচ্ছে করলে ধুয়েও ব্যবহার করতে পারি।
# বাইরে থেকে ঘরে ফেরার পর পোশাক ধুয়ে ফেলি। কিংবা না ঝেড়ে ঝুলিয়ে রাখি অন্তত চার ঘণ্টা।
# বাইরে থেকে এসেই আগে ভালো করে (অন্তত ২০ সেকেণ্ড ধরে) হাত সাবান বা লিকুইড দিয়ে ধুয়ে ফেলি।
# প্লাস্টিকের তৈরি পিপিই বা চোখ মুখ, মাথা একবার ব্যবহারের পর অবশ্যই ডিটারজেন্ট দিয়ে ভালো করে ধুয়ে শুকিয়ে ব্যবহার করা যেতে পারে।
# কাপড়ের তৈরি পিপিই বা বর্ণিত নিয়মে পরিষ্কার করে পরি।
# চুল সম্পূর্ণ ঢাকে এমন মাথার ক্যাপ ব্যবহার করি।
# হাঁচি কাশি যাদের রয়েছে সরকার হতে প্রচারিত সব নিয়ম মেনে চলি। এছাড়াও খাওয়ার জিনিস, তালা চাবি, সুইচ ধরা, মাউস, রিমোট কন্ট্রোল, মোবাই, ঘড়ি, কম্পিউটার ডেক্স, টিভি ইত্যাদি ধরা ও বাথরুম ব্যবহারের আগে ও পরে নির্দেশিত মতে হাত ধুয়ে নিন। যাদের হাত শুকনো থাকে তারা হাত ধোয়ার পর Moisture ব্যবহার করি। সাবান বা হ্যান্ড লিকুইড ব্যবহার করা যেতে পারে। কেনোনা শুকনো হাতের Crackle (ফাটা অংশ) এর ফাঁকে এই ভাইরাসটি থেকে যেতে পারে। অতি ক্ষারযুক্ত সাবান বা ডিটারজেন্ট ব্যবহার থেকে বিরত থাকাই ভালো।