দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ আন্দিজ পর্বতমালা এলাকায় বিরল প্রজাতির ২০টি শকুনের বিষক্রিয়ার কারণ খুঁজে বের করতে তদন্ত করছে চিলির স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়।
অনলাইন সংবাদে বলা হয়েছে, কনডর শকুন নামের বিলুপ্তপ্রায় এই পাখিগুলো বিশ্বের অন্যতম বড় পাখি। পাখিগুলো ৯ ফুটের চেয়েও বেশি প্রশস্ত। আন্দিজ পর্বতমালা এলাকাতেই এদের বসবাস। এই শকুনগুলোর ২০টিকে রোববার মুমূর্ষু অবস্থায় চিলির লসআন্দেজ টাউনের কাছে পাওয়া যায়। এলাকাটি চিলির রাজধানী সান্টিয়াগো থেকে ৮০ কিলোমিটার পূর্বে অবস্থিত।
বিষাক্রান্ত পাখিগুলোর মধ্যে দু’টির মৃত্যু হয়েছে, বাকি ১৮টিকে পশু হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়ার পর সেগুলো সুস্থ হয়ে উঠছে বলে জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ। মৃত গরু, শিয়ালের বিষাক্ত মাংস খাওয়ার মাধ্যমে শকুনগুলো অসুস্থ হয়ে পড়েছে বলে ধারণা করছে কর্তৃপক্ষ। অনেক উঁচুতে মুক্তভাবে উড়তে পারার জন্য খ্যাত এই পাখিগুলোকে নিচ দিয়ে উড়ে যাওয়ার সময় পাথরে ধাক্কা খেতে দেখে বিষয়টি কর্তৃপক্ষের গোচরে আনে প্রত্যদর্শীরা।
চিলির পশুসম্পদ বিভাগের আঞ্চলিক পরিচালক পাবলো ভেরগারা বলেছেন, ‘অসুস্থ কোনো মৃত প্রাণী বা সেই প্রাণীকে খেয়েছে এমন কোনো মৃত প্রাণী খেয়ে পাখিগুলো ফসফরেট যৌগের বিষক্রিয়ায় আক্রান্ত হয়েছে। সূত্র : বিবিসি।
বিলুপ্তপ্রায় পাখি সংরক্ষণে ওই দেশের পশুসম্পদ মন্ত্রণালয় যে উদ্যোগ গ্রহণ করেছে তা বিশ্বের অন্যান্য দেশ বিশেষ করে বাংলাদেশের জন্য শিক্ষনীয় বিষয়। কারণ আমাদের দেশে মৃত পশু পাখি তো দূরের কথা হর-হামেশায় জ্যান্ত পশু-পাখি শিকারীদের কবলে পড়ে অথচ তার কোন আইনী ব্যবস্থা আমাদের চোখে পড়ে না। এই খবর পড়ে আমরা অন্তত একটু সচেতন হবো। আমাদের পশু-পাখি রক্ষায় আমরাও সমবেতভাবে এগিয়ে আসবো।