দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ বর্তমান বিশ্বে বেশিরভাগ মানুষ জিমেইল অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করেন। তবে আপনার অ্যাকাউন্টটি নিরাপদ কিনা সেটি কিভাবে বুঝবেন বা কিভাবে আপনার জিমেইল অ্যাকাউন্ট হ্যাকার থেকে সুরক্ষিত রাখবেন?
চিঠি আদানপ্রদানের বদলে একটা মেইলের মাধ্যমেই সমস্ত ঝামেলামুক্ত থাকা যায়। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে মেইলের গুরুত্বও যেনো পাল্লা দিয়ে বেড়েছে। তাই নিজেদের জিমেইল অ্যাকাউন্ট সুরক্ষিত রাখার জন্য কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ গ্রহণ করা একান্ত দরকার।
জিমেইল অ্যাকাউন্ট সুরক্ষিত রাখার কয়েকটি উপায় এক নজরে দেখে নিন:
টু ফ্যাক্টর অথেনটিকেশন: ব্যবহারকারীর অ্যাকাউন্টটি সুরক্ষিত রাখতে টু ফ্যাক্টর অথেনটিকেশন ফিচার খুব প্রয়োজনীয় একটি জিনিস। এই ফিচারে এক্সট্রা লেয়ার ওটিপি সুবিধা থাকায় অ্যাকাউন্ট হ্যাকের সম্ভাবনা খুবই কম থাকে।
আনসাবস্ক্রাইব: জিমেইল অ্যাকাউন্ট সুরক্ষিত রাখার জন্য আরেকটি প্রয়োজনীয় ফিচার হলো আনসাবস্ক্রাইব। অপ্রয়োজনীয় বা সন্দেহজনক কোনো মেইল বার বার আসলে আন-সাবস্ক্রাইব করুন। বার বার ডিলেট করার বিড়ম্বনা হতে মুক্তির পাশাপাশি সন্দেহজনক মেইল হতে জিমেইল অ্যাকাউন্ট সুরক্ষিতও থাকবে।
ইউজ ফিল্টার: উজ ফিল্টার ফিচারের মাধ্যমে অ্যাকাউন্টে বিভিন্ন ধরনের মেইল হতে প্রয়োজনীয় কিংবা বাছাইকৃত মেইল অন্য ফোল্ডারে সরিয়ে নেওয়া যাবে। এটি গুরুত্বপূর্ণ মেইল হারিয়ে যাওয়ার বিড়ম্বনা থেকেও রক্ষা করে। এই ফিচার ব্যবহারের মাধ্যমে অ্যাকাউন্ট বন্ধ হয়ে গেলেও গুরুত্বপূর্ণ মেইলগুলো সংরক্ষণ করে রাখা যাবে।
আনডু সেন্ট মেসেজ: এই ফিচার চালু করলে ভুলবশত মেইল পাঠানোর সঙ্গে সঙ্গে তা বাতিলও করা সম্ভব। তাৎক্ষণিকভাবে মেইল বাতিলের জন্য সেটিংসে গিয়ে গিয়ার আইকনে ক্লিক করলেই আনডু সেন্ট মেসেজে গিয়ে অপশনটি সিলেক্ট করতে হবে। তবে এক্ষেত্রে জিমেইল ৩০ সেকেন্ডের বেশি সময় দেয় না,তাই আনডু করলে এই ৩০ সেকেন্ডের মধ্যেই আনডু করতে হবে।
করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে করণীয়
# সব সময় ঘরে থাকি।
# জরুরি প্রয়োজনে বাইরে বের হলে নিয়মগুলো মানি, মাস্ক ব্যবহার করি।
# তিন লেয়ারের কাপড়ের মাস্ক ইচ্ছে করলে ধুয়েও ব্যবহার করতে পারি।
# বাইরে থেকে ঘরে ফেরার পর পোশাক ধুয়ে ফেলি। কিংবা না ঝেড়ে ঝুলিয়ে রাখি অন্তত চার ঘণ্টা।
# বাইরে থেকে এসেই আগে ভালো করে (অন্তত ২০ সেকেণ্ড ধরে) হাত সাবান বা লিকুইড দিয়ে ধুয়ে ফেলি।
# প্লাস্টিকের তৈরি পিপিই বা চোখ মুখ, মাথা একবার ব্যবহারের পর অবশ্যই ডিটারজেন্ট দিয়ে ভালো করে ধুয়ে শুকিয়ে ব্যবহার করা যেতে পারে।
# কাপড়ের তৈরি পিপিই বা বর্ণিত নিয়মে পরিষ্কার করে পরি।
# চুল সম্পূর্ণ ঢাকে এমন মাথার ক্যাপ ব্যবহার করি।
# হাঁচি কাশি যাদের রয়েছে সরকার হতে প্রচারিত সব নিয়ম মেনে চলি। এছাড়াও খাওয়ার জিনিস, তালা চাবি, সুইচ ধরা, মাউস, রিমোট কন্ট্রোল, মোবাই, ঘড়ি, কম্পিউটার ডেক্স, টিভি ইত্যাদি ধরা ও বাথরুম ব্যবহারের আগে ও পরে নির্দেশিত মতে হাত ধুয়ে নিন। যাদের হাত শুকনো থাকে তারা হাত ধোয়ার পর Moisture ব্যবহার করি। সাবান বা হ্যান্ড লিকুইড ব্যবহার করা যেতে পারে। কেনোনা শুকনো হাতের Crackle (ফাটা অংশ) এর ফাঁকে এই ভাইরাসটি থেকে যেতে পারে। অতি ক্ষারযুক্ত সাবান বা ডিটারজেন্ট ব্যবহার থেকে বিরত থাকাই ভালো।