দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে আসছে ‘স্মার্ট গান’, যা কেবলমাত্র নির্ধারিত ব্যক্তির হাত দিয়েই ব্যবহার করা যাবে। অর্থাৎ বন্দুকের নিরাপত্তা ব্যবস্থায় নির্ধারিত এক বা একাধিক ব্যক্তিই কেবলমাত্র বন্দুকটিকে সক্রিয় করতে পারবেন।
মঙ্গলবার বার্তা সংস্থা রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানানো হয়। গত শুক্রবার বন্দুক নির্মাতা লোডস্টার ওয়ার্কস একটি ৯ মিলিমিটারের স্মার্ট হ্যান্ডগান প্রকাশ্যে আনেন। আরেক নির্মাতা স্মার্টগানজ এলএলসি বলেছে, অনেকটা একই ধরনের তাদের তৈরি একটি বন্দুক আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর এজেন্টরা পরীক্ষা-নীরিক্ষা করছেন। চলতি বছরই এই স্মার্ট গান বাণিজ্যিকভাবে বাজারে পাওয়া যাবে বলে মনে করছে প্রতিষ্ঠান দুটি।
লোডস্টারের সহ-প্রতিষ্ঠাতা গ্যারেথ গ্লেসার বলেছেন যে, বন্দুক নিয়ে খেলতে গিয়ে শিশুরা গুলিবিদ্ধ হওয়ার ঘটনা শোনার পর তিনি স্মার্ট বন্দুক তৈরিতে অনুপ্রাণিত হন। এই ধরনের বন্দুকে ব্যবহারকারীর পরিচয় প্রমাণের প্রযুক্তি থাকায় অন্য কেওই গুলি চালানোর চেষ্টা করলে সেটি নিষ্ক্রিয় থাকবে। এতে অনাকাঙ্ক্ষিতভাবে গুলিবিদ্ধ হওয়ার ট্র্যাজেডি আটকানোও সম্ভব হবে।
এই ধরনের প্রযুক্তির ব্যবহার আত্মহত্যা ঠেকাতেও সাহায্য করবে। বন্দুক হারিয়ে গেলে কিংবা চুরি হলে সেটিকে অকেজোও করে দেওয়া যাবে। পুলিশ কর্মকর্তা এবং কারারক্ষীদের বাড়তি নিরাপত্তা দেবে এই বিশেষ গান।
আগে তৈরি বেশিরভাগ স্মার্ট গান প্রোটোটাইপগুলোতে নিরাপত্তার জন্য হয়তো আঙুলের ছাপ, নাহয় রেডিও ফ্রিকোয়েন্সি ব্যবহার করা হতো। রেডিও ফ্রিকোয়েন্সি প্রযুক্তি ব্যবহৃত হলে সঙ্গে সঙ্গে গুলি বের হবে, যখন বন্দুকে থাকা চিপ কাছাকাছি অন্য কোনো চিপের সঙ্গে যোগাযোগ করতেও পারবে। সেক্ষেত্রে দ্বিতীয় চিপ সাধারণত হাতের আংটি বা ব্রেসলেটে বসানো থাকে।
লোডস্টার তাদের বন্দুকে আঙুলের ছাপ এবং চিপ শনাক্তকরণ উভয় প্রযুক্তিই ব্যবহার করছে। সেইসঙ্গে থাকছে একটি পিন প্যাড। আঙুলের ছাপে মুহূর্তের মধ্যেই বন্দুক আনলক করা যাবে। তবে চিপ প্রযুক্তি কাজ করবে কেবল ফোনের অ্যাপ থেকে নির্দেশ পাওয়ার পর। পিন প্যাড রাখা হচ্ছে মূলত ব্যাকআপ হিসেবে ব্যবহারের জন্য।
জানা গেছে, পানিতে ভেজা থাকলে অবা অন্য কোনো প্রতিকূল পরিবেশে আঙুলের ছাপ কাজ না করলে তখন এই পিন কোড ব্যবহার করে বন্দুক আনলক করা সম্ভব হবে। একটি বন্দুকে একাধিক ব্যবহারকারীর অনুমোদনও থাকতে পারে। তথ্যসূত্র: একুশে টেলিভিশন।
করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে করণীয়
# সব সময় ঘরে থাকার চেষ্টা করি।
# জরুরি প্রয়োজনে বাইরে বের হলে নিয়মগুলো মানি, মাস্ক ব্যবহার করি।
# তিন লেয়ারের কাপড়ের মাস্ক ইচ্ছে করলে ধুয়েও ব্যবহার করতে পারি।
# বাইরে থেকে ঘরে ফেরার পর পোশাক ধুয়ে ফেলি। কিংবা না ঝেড়ে ঝুলিয়ে রাখি অন্তত চার ঘণ্টা।
# বাইরে থেকে এসেই আগে ভালো করে (অন্তত ২০ সেকেণ্ড ধরে) হাত সাবান বা লিকুইড দিয়ে ধুয়ে ফেলি।
# প্লাস্টিকের তৈরি পিপিই বা চোখ মুখ, মাথা একবার ব্যবহারের পর অবশ্যই ডিটারজেন্ট দিয়ে ভালো করে ধুয়ে শুকিয়ে ব্যবহার করা যেতে পারে।
# কাপড়ের তৈরি পিপিই বা বর্ণিত নিয়মে পরিষ্কার করে পরি।
# চুল সম্পূর্ণ ঢাকে এমন মাথার ক্যাপ ব্যবহার করি।
# হাঁচি কাশি যাদের রয়েছে সরকার হতে প্রচারিত সব নিয়ম মেনে চলি। এছাড়াও খাওয়ার জিনিস, তালা চাবি, সুইচ ধরা, মাউস, রিমোট কন্ট্রোল, মোবাই, ঘড়ি, কম্পিউটার ডেক্স, টিভি ইত্যাদি ধরা ও বাথরুম ব্যবহারের আগে ও পরে নির্দেশিত মতে হাত ধুয়ে নিন। যাদের হাত শুকনো থাকে তারা হাত ধোয়ার পর Moisture ব্যবহার করি। সাবান বা হ্যান্ড লিকুইড ব্যবহার করা যেতে পারে। কেনোনা শুকনো হাতের Crackle (ফাটা অংশ) এর ফাঁকে এই ভাইরাসটি থেকে যেতে পারে। অতি ক্ষারযুক্ত সাবান বা ডিটারজেন্ট ব্যবহার থেকে বিরত থাকাই ভালো।